Dec 22, 2023

বিজয়: ১৯৭১ বনাম ২০২৩

Photo: AFP

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্ত, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম, হাজারো স্বজনহারা পরিবারের আর্তনাদ এবং কোটি শরনার্থীর বাস্তুহারা হবার বেদনার মহাসাগর পেরিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয় সেদিন। 

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় সত্ত্বা যা ভেতো বাঙালিকে যোদ্ধা জাতিকে রুপান্তরিত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছে, বিজয়ের দিন বাঙালির সেই “চির উন্নত মম শির” উদযাপ‌নের দিন। এই সোনালি দিন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের শত বিপত্তির মুখেও অটল বিশ্বাস, সুদক্ষ পরিচালনা এবং “জ্ব‌লে পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়” সত্ত্বার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হবার দিন। 

বিপুল ত্যাগ এবং অমূল‌্য রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা, আর তাই বিজয়ের দিনে পাঁচ দশকের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বর্তমানকে মূল্যায়ন করে ভাবার দিন -- পাকিস্তানি শোষণ এবং বঞ্চণা থেকে বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমরা কি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়সহ সামগ্রিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি? 

Jun 25, 2023

জন্মভূমি ও শরণার্থী

Rohingya refugee in a camp in Bangladesh. (Photo: UNOPS)

বাড়ি সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা, শুধুমাত্র এই কারণেই নয় যে আমরা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, বড় হয়েছি এবং সেখানেই বাস করি। প্রকৃতপক্ষে বাড়ি বলতে ইট, পাথর, টিন, কাঠ বা বাঁশের কোন কাঠামো বোঝায় না। বাড়ি হলো সেই জায়গা যা ভালবাসা, মায়া এবং যত্নে লালিত।

আমাদের মাতৃভূমি বাড়িরই একটি বর্ধিত সংস্করণ, যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। 

কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আমরা ভালোবাসা এবং যত্নের বাইরেও মূলত জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই দীর্ঘ বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ সময় হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকুরি ও আয় রোজগারের পথ হারিয়ে নিঃস্ব এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।

এহেন অবস্থা সত্ত্বেও শান্তি ও ভরসার বিষয় ছিলো যে বিশ্বের কোটি কোটি ঘর-বাড়িহীন ও দেশহীন মানুষের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান। কারণ আর যাই হোক আমাদের ঘর-বাড়ি ও জন্মভূমি আছে, যা তাদের নেই। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-র তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখের মতো।

মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়, এবং তাদের অনেক নামে ডাকা হয় - উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ইত্যাদি। তারা সবাই তাদের প্রিয় স্থান - বাড়ি এবং স্বদেশ থেকে বঞ্চিত।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...