Showing posts with label pandemic. Show all posts
Showing posts with label pandemic. Show all posts

Jun 17, 2022

ক‌রোনা মহামারী ও আমাদের পরিবেশগত পাপসমুহ

ইনানী বিচ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ (ছবিঃ এএফপি)

২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়। সারা বিশ্ব তখন করোনা মহামারীর প্রবল প্রতাপে বিপর্যন্ত। ইতালীয় একজন প্রাণীবিদ একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন যেখানে একটি জেলিফিশকে ভেনিস শহরের হ্রদের নির্মল জলে বিশাল অট্টালিকার প্রতিবিম্বের সাথে খেলা করতে দেখা যায়। করোনা মহামারীর কারণে শূন্য হয়ে পড়ার পূর্বে ভেনিস ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সে বছরের মার্চ মাসের ৯ তারিখে কঠোর লকডাউন শুরু হলে ভেনিস শহর পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। জেলিফিশের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং অনেকে বলতে শুরু করে, “প্রকৃতি আবার ভেনিস শহরকে ফেরৎ নিয়ে নিচ্ছে।”

ভেনিস তার অসামান্য পরিবেশগত সৌন্দর্য, নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে একাধারে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং ইউরোপের অন্যতম রোমান্টিক নগরী হিসেবে নন্দিত। কিন্তু ভেনিসের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য তার বোঝাস্বরুপ, কারণ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক এ নগরীতে ঘুরতে আসেন।        

সচরাচর দ্রুতগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও প্রমোদতরীর অন্তহীন চলাচলে ভেনিসের খাল ও হ্রদের জল বিরতিহীনভাবে আন্দোলিত হতে থাকে। তাতে ভেনিস যেন অসহায়ভাবে হাঁপিয়ে ওঠে। পর্যটনের এ দূষণ ছাড়াও নিকটবর্তী পোর্তো মার্ঘেরা শিল্প এলাকা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য নি:সরণ ভেনিসের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরুপ। আর তাই করোনাকালে জনজীবনে স্থবিরতা ভেনিসের পরিবেশের জন্য শাপে বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।

হাজারো মাইল দূরে বাংলাদেশের সাগরদুহিতা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে করোনা মহামারীকালে এক প্রাকৃতিক পুনর্জাগর লক্ষ্য করা গেছে। এর সূচনা হয় ২০২০ সালের ২৬ মার্চে দেশব্যাপী লকডাউনের পর।

এপ্রিল মাসে বহু বছর পর বঙ্গোপসাগরে ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গেছে। সাগরতটের প্রতিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সাগরলতা (Beach Morning Glory) আবার নতুন করে জেগে উঠতে শুরু করে। এ লতাগুল্মটি রেলরোড ভাইন নামেও পরিচিত। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্তহীন চলাচল, নির্বিচার দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে এ গুরুত্বপূর্ণ গুল্মটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে পরিবেশবিদগণ মনে করতেন।

যদিও কক্সবাজার ভেনিসের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র নয়, তবুও জনবহুল বাংলাদেশের এ নগরীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক বেড়াতে আসে। কিন্তু দু:খজনক হলো এ বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সিংহভাগ পৃথিবীর এ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না এবং যত্রতত্র ময়লা ও আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা করেন।

যদিও করোনা মহামারী গোটা বি‌শ্বের জন্য এক মহাবিপর্যয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, কিন্তু ভেনিস ও কক্সবাজারে প্রকৃতির নবজাগরণ ছিল এ মহাসংকটের কতিপয় ইতিবাচক দিকের মধ্যে অন্যতম। 

গল্প: সোনালী ভোর

Credit: gardenersworld.com ভাগ্য নিয়ন্তার লীলাচক্রে ঠিক এমনি করে অমিতের দেখা পেয়ে যাবে, কোনদিন কল্পনাও করেনি অঞ্জন। বেশ কয়েক বছর আগে তন্নতন্...