Showing posts with label India. Show all posts
Showing posts with label India. Show all posts

Jan 7, 2024

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in Dhaka on April 8, 2007. (Photo: AFP)

 ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান - একদার ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি জনবহুল দেশে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। এ বছরের মধ্যে তিনটি দেশেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর জের ধরেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো চিরাচরিত সাংঘর্ষিক রাজনীতি, পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং দমন-পীড়ণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

বিশে^র আটশ কোটির বেশি জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে। কিন্তু দরিদ্র সীমার নিচে বাসকারী পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক বাস করে এ অঞ্চলে। সাত দশকের বেশি আগে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও এ বিপুল দরিদ্র এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষম মানুষের জীবনের চরম দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সত্যিকার গণতন্ত্রের অভাব, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্চাচারী এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সীমাহীন দুর্নীতি এবং সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দরিদ্র, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নীতিমালা এবং কার্যক্রমের ঘাটতি।

দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশেই জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত, নির্যাতিত এবং ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীর অন্তভুক্ত। ভারতে যেমন মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সম্প্রদায় অবহেলা এবং নিপীড়ণের শিকার, তেমনি পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু এবং উপজাতি জনগোষ্ঠী অধিকতর বঞ্চিত এবং নির্যাতিত। নেপালে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ও মুসলিম, শ্রীলংকায় হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা একইভাবে অবহেলিত এবং পশ্চাৎপদ। 

Dec 22, 2023

বিজয়: ১৯৭১ বনাম ২০২৩

Photo: AFP

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্ত, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম, হাজারো স্বজনহারা পরিবারের আর্তনাদ এবং কোটি শরনার্থীর বাস্তুহারা হবার বেদনার মহাসাগর পেরিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয় সেদিন। 

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় সত্ত্বা যা ভেতো বাঙালিকে যোদ্ধা জাতিকে রুপান্তরিত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছে, বিজয়ের দিন বাঙালির সেই “চির উন্নত মম শির” উদযাপ‌নের দিন। এই সোনালি দিন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের শত বিপত্তির মুখেও অটল বিশ্বাস, সুদক্ষ পরিচালনা এবং “জ্ব‌লে পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়” সত্ত্বার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হবার দিন। 

বিপুল ত্যাগ এবং অমূল‌্য রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা, আর তাই বিজয়ের দিনে পাঁচ দশকের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বর্তমানকে মূল্যায়ন করে ভাবার দিন -- পাকিস্তানি শোষণ এবং বঞ্চণা থেকে বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমরা কি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়সহ সামগ্রিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি? 

Jun 25, 2023

জন্মভূমি ও শরণার্থী

Rohingya refugee in a camp in Bangladesh. (Photo: UNOPS)

বাড়ি সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা, শুধুমাত্র এই কারণেই নয় যে আমরা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, বড় হয়েছি এবং সেখানেই বাস করি। প্রকৃতপক্ষে বাড়ি বলতে ইট, পাথর, টিন, কাঠ বা বাঁশের কোন কাঠামো বোঝায় না। বাড়ি হলো সেই জায়গা যা ভালবাসা, মায়া এবং যত্নে লালিত।

আমাদের মাতৃভূমি বাড়িরই একটি বর্ধিত সংস্করণ, যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। 

কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আমরা ভালোবাসা এবং যত্নের বাইরেও মূলত জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই দীর্ঘ বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ সময় হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকুরি ও আয় রোজগারের পথ হারিয়ে নিঃস্ব এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।

এহেন অবস্থা সত্ত্বেও শান্তি ও ভরসার বিষয় ছিলো যে বিশ্বের কোটি কোটি ঘর-বাড়িহীন ও দেশহীন মানুষের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান। কারণ আর যাই হোক আমাদের ঘর-বাড়ি ও জন্মভূমি আছে, যা তাদের নেই। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-র তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখের মতো।

মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়, এবং তাদের অনেক নামে ডাকা হয় - উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ইত্যাদি। তারা সবাই তাদের প্রিয় স্থান - বাড়ি এবং স্বদেশ থেকে বঞ্চিত।

Jul 7, 2022

বিয়ের অনুষ্ঠানে আতিশয্য আর নয়

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য (Photo: Unsplash)

সময়কাল ২০২০। গোটা পৃথিবী করোনা মহামারীর প্রকোপে আক্রান্ত। বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় এক খ্রিস্টান এক যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে করোনা মহামারী সংক্রান্ত সরকারি বিধিমালা মেনে। গির্জায় বিয়ে আশীর্বাদ এবং বরের বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের মাত্র দশজন করে আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা নামার আগেই গোটা অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

করোনা মহামারীকালে এমন অনেক সংক্ষিপ্ত ও অনাড়ম্বর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ অবস্থায় এমন বিয়ে একপ্রকার অকল্পনীয় বটে।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য। এসব অনাবশ্যক বাগাড়ম্বরের সাথে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন মিল নেই বললেই চলে। 

এহেন জৌলুসপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার উল্টোপিঠে আমরা দেখতে পাই দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক দূরাবস্থা যেখানে বিশ্বের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ বাস করে যাদের মাথাপিছু দৈনিক আয় দুই মার্কিন ডলারেরও নিচে।  

ভারতীয় ধনী ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে বর্তমানে “বিগ ফ্যাট ইন্ডিয়ান ওয়েডিং” (Big Fat Indian Wedding) কথাটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে

২০১৮ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়েতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এ যাবত কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। 

May 19, 2022

৫০ বছরে বাংলাদেশ: স্বাধীনতা, অধিকার ও উন্নয়ন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ প্রজ্জলন (ছবিঃ এএফপি)

 সারা বিশ্বের ন্যায় করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও ২০২১ সালটি ছিল জাতির জন্য একটি উৎসবমুখর ও তাৎপর্য্যপূর্ণ বছর। সে বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত ‘মুজিব বর্ষ’-র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানমালার বর্ণাঢ্য সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের জেষ্ঠ্যা কন্যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের শেষদিকে ডিসেম্বর মাসে জাতি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।

শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোটা বছর জুড়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তার চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালা মঞ্চস্থ হয়েছে ১৭-২৬ মার্চ। দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ একগুচ্ছ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে শামিল হয়েছেন।

মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে এরূপ উচ্চমার্গীয় শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শ্রেষ্ঠ দাবিদার। কারণ তার সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণেই বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। আক্ষরিক অর্থেই মুজিব ছিলেন এক মহান ও দূরদর্শী নেতা, যিনি তার গোটা জীবন জনগণের সুখ ও দু:খে পাশে থেকে অতিবাহিত করেছেন এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যে বারংবার অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এ কারণে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের অধিকাংশ সময়ই জেলখানায় কাটাতে হয়েছে।

স্বাধীনতার পর চরমভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে তাকে সর্বগ্রাসী দারিদ্র ও ক্ষুধাসহ এবং অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু জনগণ ও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল সর্বদা অতুলনীয় ও অতলস্পর্শী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে তার বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো এবং মর্মান্তিক অধ্যায়।

যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, তেমনিভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও দেশের জনগণ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী উদ্বেলিত ছিল। 

৫০ বছর আগের এই দিনে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি বাঙালি আনন্দ ও স্বস্তির অশ্রুজল বিসর্জন করেছিল। কেননা সেদিন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নি:শর্ত আত্মসমর্পণের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।

Jun 24, 2020

Time to say adieu to extravagant weddings

 

In India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long events full of unnecessary grandeur. (Photo: Unsplash)

A Bangladeshi Christian couple recently tied the knot at a Catholic church in Gazipur district of central Bangladesh in the presence of 10 relatives.

The wedding Mass was followed by a simple reception including lunch attended only by a handful of relatives from both sides. The whole program came to an end before sunset.

This was a Covid-19-protocoled marriage ceremony allowed under government-mandated health guidelines. There are many such weddings in the pipeline. In normal circumstances, it would have been unthinkable.

In South Asian nations including India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long extravagant events full of unnecessary grandeur. They have little in common with culture and traditions.

It is in striking contrast to the staggering socioeconomic situation in South Asia, home to one third of the world’s poor who survive on less than US$2 per day.

Jun 14, 2020

South Asia's ticking Covid-19 time bomb

Funeral workers in Bangladeshi capital Dhaka bury a person who died from Coronavirus (Photo by Stephan Uttom/UCA News)
The Covid-19 pandemic might have hit South Asia a little late, but the damage has already been done.

More than three months after the ordeal began, the region’s 1.7 billion people, one fifth of the world’s population, are passing their days and nights in fear of a grave human tragedy.

Major South Asian countries have seen a jump in daily infections from a month ago. In early May, Bangladesh was recording 400-500 infections; now it averages 2,500 a day. India has been registering about 10,000 new cases daily, up from about 2,500 in May.

Infections and deaths continue to surge in the region every day, yet India, Pakistan, Bangladesh, Sri Lanka and Nepal have eased nationwide lockdowns that somewhat managed to tame the deadly virus but failed to stop it effectively. 

Current trends in most South Asian nations indicate that the easing of the restrictions and heath emergency rules are most likely to fuel the spread of the pandemic that has rocked even the richest and most developed countries in the West.

South Asia’s massive population, extreme poverty, weak human resources and poor healthcare systems provide perfect conditions for a looming humanitarian disaster.

Home, homeland and aliens

Rohingya refugees arrive in Bangladesh from Rakhine state of Myanmar in 2017 (Photo: AFP)

Home is a place always close to our hearts, not only because we were born, grew up and belong there but also because home is where there is love and care.

Our homeland is an extended version of home, which in addition invokes our patriotism.

Due to the Covid-19 pandemic and long lockdowns, we have been staying home not only because we love and care but mostly to save lives. But this long confinement at home has not been loving and caring for everyone as people are under pressure from loss of work and income, mental anguish and fear of death.

The troubles are even more dire for tens of thousands of internal and overseas migrant workers who returned home penniless and hopeless.

Despite this turmoil, people should remain calm and consider themselves luckier than the millions of poor souls around the world who are deprived of home and homeland.

There are nearly 70.8 million forcibly displaced people in the world, according to United Nations refugee agency UNHCR.

People are displaced by natural disasters and conflicts, and they are referred to by many names — refugees, stateless, internally displaced persons, asylum seekers, etc.

Maybe we should call them aliens, because they are alienated from what we all love — home and homeland.

May 7, 2020

ঢাকার আর্মেনীয় ই‌তিহাস ও ঐ‌তি‌হ্যের শেষ অ‌ভিভাবক


আর্মেনিয়ান এপোস্ট‌লিক চার্চ অব হ‌লি রেজু‌রেকশন (Armenian Church of Holy Resurrection)
Courtesy: Armenian Church of Bangladesh

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান স্ট্রি‌‌টে ‌অগুনতি সুউচ্চ আবা‌সিক ভবনের মাঝখা‌নে নীরবে, কিন্তু গর্বভরে দাঁড়িয়ে এক‌টি শ্বেতকায় দ্বিতল গির্জা।

লা‌গোয়া সমা‌ধি‌ক্ষে‌ত্রে অ‌নেকগু‌লো কবর যেগু‌লো আর্মেনীয়দের স্মৃ‌তি ব‌য়ে চ‌লে‌ছে যারা আজকের বাংলাদেশের এ রাজধানী শহ‌রে একদা বস‌ত ক‌রে‌ছে ও প্রাণত্যাগ করেছে।

১৭৮১ খ্রিস্টা‌ব্দে নি‌র্মিত আর্মেনিয়ান এপোস্ট‌লিক চার্চ অব হ‌লি রেজু‌রেকশন (Armenian Church of Holy Resurrection) শুধুমাত্র এক‌টি ঐ‌তিহা‌সিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাই নয়, এ‌টি ঢাকার একদার সমৃদ্ধশালী আর্মেনীয় সম্প্রদা‌য়ের সাক্ষ্যদান ক‌রে চ‌লে‌ছে, যারা অষ্টাদশ ও উনবিংশ শত‌কে এ মহানগরীর অর্থ‌নৈ‌তিক ও সামা‌জিক জীবন‌কে  সুসমৃদ্ধ ক‌রে‌ছে।

আর্মেনীয় চা‌র্চের অদূ‌রে, ১৮৬৮ খ্রিস্টা‌ব্দে স্থা‌পিত হ‌লিক্রস ক্যাথ‌লিক চার্চ, যেখা‌নে খ্রিস্টান সম্প্রদা‌য়ের উ‌ল্লেখ‌যোগ্যসংখ্যক লো‌ক বসবাস ক‌রে।

আর্মেনিয়ান স্ট্রীট ও আরমা‌নি‌টোলা কা‌লের গ‌র্ভে মি‌শে যাওয়া এক গৌরবময় ই‌তিহা‌সের সাক্ষী। কিন্তু এ ই‌তিহাস ও ঐ‌তিহ্য হয়‌তোবা বিস্তৃতির অতলে হা‌রি‌য়ে যে‌তো য‌দি না এক মহানুভব আর্মেনীয় তা ভা‌লোবে‌সে রক্ষা কর‌তেন। তি‌নি মাই‌কেল যো‌সেফ মা‌র্টিন, ঢাকায় বসবাসকারী সর্ব‌শেষ আর্মেনীয়।

তিন দশ‌কের বে‌শি সময় ধ‌রে মা‌র্টিন ছি‌লেন এ চা‌র্চের সর্ব‌শেষ আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক (Warden)। মূলত তার একক প্র‌চেষ্টার ফ‌লেই চার্চ‌টি আক্ষ‌রিক অ‌র্থে এক ভগ্নস্তুপ থে‌কে পুনর্জন্ম লাভ ক‌রে।

মা‌র্টি‌নের তিন মে‌য়ে - এ‌লিনর, ক্রি‌স্টিন ও শে‌রিল - বেশ অ‌নেক আ‌গে কানাডায় অ‌ভিবাসী হিসে‌বে থিতু হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু মা‌র্টিন ও তার স্ত্রী ভে‌রো‌নিকা বাংলা‌দে‌শে র‌য়ে যান চার্চের দেখা‌শোনা কর‌তে।

‌ভে‌রো‌নিকা ২০০৩ খ্রিস্টা‌ব্দে মারা যান এবং তা‌র অ‌ন্তিম শয্যা হয় এ চা‌র্চেরই সমা‌ধি‌ক্ষে‌ত্রে। বার্ধক্যজ‌নিত স্বাস্থ্যহা‌নির কার‌ণে অ‌নেকটা বাধ্য হ‌য়ে  ২০১৪ খ্রিস্টা‌ব্দে মা‌র্টিন কানাডা চ‌লে যান। ত‌বে বাংলা‌দেশ ত্যা‌গের পূ‌র্বে তিনি এ চা‌র্চের তত্ত্বাবধায়‌কের দা‌য়িত্ব (Wardenship) হস্তান্তর ক‌রেন যুক্তরা‌ষ্ট্রের লস এ‌ঞ্জেলস নিবাসী আর্মেনীয় ব্যবসায়ী আর্মেন আরসলা‌নিয়া‌নের হা‌তে।

এ বছ‌রের ১০ এ‌প্রিল মা‌র্টিন কানাডা‌তে তার মে‌য়ে ও না‌তি-নাতনী‌দের সা‌ন্নি‌ধ্যে শা‌ন্তিপূর্ণভা‌বে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ ক‌রেন। তার দেহাবসা‌নের মাধ্য‌মে ঢাকার আর্মেনীয় ঐ‌হিত্য বাস্ত‌বিক অ‌র্থেই ই‌তিহা‌সের অংশ হ‌য়ে গেল।

ঢাকার আর্মেনীয় চার্চ ও ঐ‌তিহ্য রক্ষায় ‌মার্টি‌নের অসামান্য অবদান‌কে স্মরণ ক‌রে আ‌র্মেন আরসলা‌নিয়ান তার প্র‌তি বি‌শেষ শ্রদ্ধা জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

"তার বহু ব্য‌ক্তিগত ত্যাগস্বীকার ও চা‌র্চের প্র‌তি সম্পূর্ণ ভ‌ক্তি ব্য‌তিত এ চার্চ ও ঢাকার আর্মেনীয় ঐ‌তি‌হ্য বহুলাং‌শে টি‌কে থাক‌তে পারত না," আ‌র্মেন ব‌লেন। বর্তমা‌নে ৬০ বছর বয়সী আর্মে‌নের জন্ম আ‌র্জে‌ন্টিনার রাজধানী বু‌য়েন্স আয়া‌র্সে।

তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, "‌তি‌নি ও তার প‌রিবারের ব্যাপক ও অসাধারণ প্র‌চেষ্টার ফ‌লে আমা‌দের এ অ‌নিন্দ্যসুন্দর চার্চ‌টি রক্ষা পে‌য়ে‌ছে। এ অবদান চিরস্মরণীয় হ‌য়ে থাক‌বে।"

বিশ্বজু‌ড়ে হাজা‌রো অ‌ভিবাসী আর্মেনীয়র ম‌তো আর্মেনের বাবা ও মা ১৯২০ খ্রিস্টা‌ব্দের দি‌কে তৎকালীন অ‌টোমান সাম্রা‌জ্যে সংঘ‌টিত ভয়াল " আর্মেনীয় গণহত্যা" থে‌কে প্রাণ বাঁচা‌তে আর্জে‌ন্টিনা‌তে পা‌লি‌য়ে যান। পরবর্তী‌তে তি‌নি যুক্তরা‌ষ্ট্রে অ‌ভিবাসী হন।

আর্মেন প্র‌তি বছর ক‌য়েকবার বাংলা‌দে‌শে আ‌সেন চার্চের তদার‌কি করার জন্য।

মাই‌কেল যো‌সেফ মা‌র্টিন (Michael Joseph Martin)
Courtesy: Armenian Church of Bangladesh

Mar 12, 2020

South Asia’s rape scourge and moral degradation

Parents protest against the school authorities after a eight-year-old girl was allegedly raped by a school boy, at the Sacred Heart Convent School in Beas in India's Punjab state on December 16, 2019. (Photo by Narinder Nanu/AFP)
Seven years after the brutal gang rape and death of a college student on a bus in India’s federal capital New Delhi, a Court issued an execution order for four convicts on Jan. 7.


The 2012 barbaric assault on a 23-year-old medical student triggered massive street demonstrations and a nationwide reckoning over rape and sexual violence against women in India.



It led to changes in the anti-rape law, including the introduction of the death penalty. But changes in legislation have done little to change the scenario in India.

In 2018, India was ranked the most dangerous country in the world to be a woman due to the high risk of sexual violence and slave labor, according to a global survey by the Thomson Reuters Foundation.


Each day on average, some 100 women are raped in India. In 2016, India recorded 39,608 rape cases, at least 520 of them of children below the age of six, according to data released by the National Crime Records Bureau.

Jan 2, 2020

The illusion of human rights in South Asia

An Indian policeman walks past as people hold a candlelight vigil in Bangalore on Dec. 6 in support of sexual assault victims and against the rape and murder of a 27-year-old veterinarian in Hyderabad. (Photo: Manjunath Kiran/AFP)

Only hours after police in the southern Indian city of Hyderabad killed in "an encounter" all four men accused of the rape and murder of a veterinarian, many people in the country exploded in wild cheers.
Men and women chanted cheerful slogans and came rushing to congratulate police, flooded them with flower petals and distributed sweets. Some even set off firecrackers in great delight.
"This is what these filthy animals deserved and the police have done a great job," some chanted as people from all walks of life, including politicians and film stars, hailed the police as heroes.
The police had assuaged public anger over a case that provoked street protests after the brutal rape and murder on Nov. 27.
Only a few people including rights activists questioned how the extrajudicial killing of the accused on Dec. 6 was permitted in a country famed as "the world's largest democracy."
Ranjana Kumari, director of the Center for Social Research, a social advocacy group, termed the police action an "utter violation" of human rights and "a total failure" of the criminal justice system, warning that India was moving toward a vigilante justice system.
There is little doubt that the accused men committed the most serious crime, but in the 21st century we cannot rely on stray bullets to deliver quick justice. This is nothing but committing one crime to obliterate another one.
The Hyderabad case represents a common feature of human rights violations in many countries in today's world, including those in South Asia.

Dec 13, 2019

Forgotten and invisible: modern-day slaves

Indian sex workers look out from their brothel in the red light district of Kamathipura in Mumbai. Socially conservative India, Bangladesh and Pakistan do not permit legal prostitution but all have brothels spilling with sex workers. (Photo: AFP)
In today’s modern world overshadowed by extravagant globalization, materialism and consumerism, it is very common for people to forget about people who are less fortunate.
These people with relative fortune and comfort might get a jolt if asked what they think about slavery and slaves. In most cases, the answer is likely to be simple: slavery was abolished in the 19th century.
The British parliament passed its Slavery Abolition Act in 1833 and the US government made the 13th amendment to the constitution in 1865, marking the official abolition of slavery.
However, slavery didn’t end with its abolition 154 years ago. It has just changed forms and continues to plague millions of people in the world today.  
The International Day for the Abolition of Slavery on Dec. 2 passed almost unnoticed in much of the globe as if our world today has almost pulled itself out of the curse of slavery.
The reality is that about 40 million people are trapped in various forms of modern-day slavery and one in every four victims are children, according to the United Nations.

South Asia: a region of rising intolerance

Muslims protest against the verdict of India’s Supreme Court to award Hindus control of the bitterly disputed Ayodhya holy site for a Hindu temple, widely seen as a victory for Narendra Modi’s ruling BJP. (Photo: Arun Sankar/AFP)

“When a fire engulfs the city, even the temple cannot escape.” That is an old proverb but it still resonates strongly in a world today that is overshadowed by increasing intolerance and extremism.

The proxy wars in the Middle East, the constant global export of extremist Salafist Islam by some Persian Gulf countries, the deadly terrorism of transnational jihadist outfits like Islamic State and Al-Qaeda, the state-sponsored campaign of annihilation of Uyghur Muslims in China and the brutal ethnic cleansing of Rohingya Muslims in Myanmar. The list is ever-increasing.
South Asia is home to more than a quarter of the world’s population and is well advanced in intolerance and extremism, having exited British colonial rule (1757-1947), during which time the imperialists adopted a divide-and-rule policy that stoked communal tensions and led to the bloody 1947 partition of India and Pakistan along religious lines.


50 Years of Truth, Love and Dialogue



A dance troupe kicks off Radio Veritas Asia’s 50thanniversary celebrations at the Catholic Bishops’ Conference of Bangladesh (CBCB) center in Dhaka on Nov. 1 (Photo by Stephan Uttom/ucanews)



In 1983, 10-year-old Ashik Iqbal was given a small radio and a list of stations to listen to by his elder brother to overcome times of boredom in their village in Bangladesh's northern Rajshahi district.

One of the stations was the Bengali Service of Radio Veritas Asia (RVA).

Iqbal, a Muslim, found the RVA programs very interesting, and became a regular listener of the Philippines-based Catholic shortwave radio service.

"RVA programs can attract and hold a listener's attention for ages. It is a voice of people like me. There are various religiously-affiliated media but the RVA is different. It is Christian but doesn't limited itself within religious boundaries," Iqbal, now 47, told ucanews.

RVA first went on air in 1969, while the Bengali Service stated in 1980.

Mar 21, 2019

Repatriation of the Rohingya: Real deal or mind game?

Rohingya Muslims enter Shahporir Dwip Island in Bangladesh after crossing the Naf River on Sept. 13, 2017 to escape a military crackdown in Myanmar's Rakhine State. The Rohingya issue remains a thorny political and diplomatic problem between the neighboring countries. (Photo by Stephan Uttom/ucanews.com)    
The failed attempt to send 150 refugees out of over one million currently residing in overcrowded camps in Cox's Bazar back to Rakhine State in Myanmar was the first concrete step for their repatriation.
The problem is that none of those in the first batch of 2,260 refugees due to be sent home were willing to go. Most of them responded by fleeing their temporary shelters and going into hiding. Others held daylong protests opposing the repatriation move.
Dhaka has been working enthusiastically to return the Rohingya to Myanmar but the deal has been delayed several times after a repatriation deal was signed in January of this year.
The first deal, inked without any third party involvement, sparked an international outcry.
Bangladesh, one of the world's most densely populated and impoverished nations, was forced to sign the deal as it creaks under the weight of domestic pressures including a shortage of resources. Finding more resources to feed some one million refugees has invited a backlash from many Bangladeshis.

Yet the deal failed to defuse the mounting international criticism of Myanmar's handling of the crisis. It did not include third party oversight and, importantly, lacked any input from those at the center of the crisis — the Rohingya.

That being said, none of the deals signed so far have taken into account the key concerns and demands of the Rohingya, including calls for justice over the atrocities they have suffered, the return of their property, reparations for the damage done, and the right to citizenship in Myanmar.


Dec 8, 2017

Why Bangladeshi elections are a time for violence against minorities

Hindus walk past a burned down house after a Muslim mob attack in northern Bangladesh in this file photo


A rally of 19 minority rights' groups in Bangladesh has condemned "ethnic cleansing" of Rohingya Muslims in Myanmar.
The rally also called for protection of minorities in Bangladesh, particularly Buddhists, amid rising anger against Buddhist-majority Myanmar.   
The mass gathering was held in the capital, Dhaka, on Sept. 14.
By some estimates, more than 400,000 Rohingya have fled Myanmar's Rakhine State as refugees since a new round of ethnic violence flared in late August.
Islamic radicals have reportedly threatened to avenge persecution of Rohingya, prompting the Bangladesh government to beef-up security in the Buddhist-majority areas of Cox's Bazar and Chittagong.


The Forgotten People: Bihari Refugees of Bangladesh


The Bihari refugees - 160,000 people who have lived like animals in congested makeshift camps, all over Bangladesh, for more than 40 years.

Dec 9, 2013

Killing innocents is no mark of a great nation

India's border guards have killed hundreds of people along Indo-Bangla border in the past decades
All living things will die some day. In fact, every day about 150,000 people die around the world because of illness, accident and, increasingly, from war, acts of terror and ethnic or religious conflicts.
In Bangladesh, a growing number have died in the last decade for the most trivial of reasons – gunned down by Indian border guards for allegedly trespassing on Indian territory along a 4,100 km border
About 1,000 people have been killed in the last 10 years at the hands of India’s Border Security Force (BSF). Most have been unarmed Bangladeshi villagers as India maintains a ‘shoot-to-kill’ policy.

India and Bangladesh share a common history, and Bangladesh is India’s largest trade partner. The popular culture of India has been enthusiastically embraced across the border. And yet, border guards shoot first and ask questions later.
Ironic, then, that Indian media has claimed that Bangladesh was found to be the most trusted nation in a recent online survey, with Russia a close second. 

If this is the case, then why does the BSF kill so many people along the Bangladesh border? Or to put it another way, if the survey truly reflects the mindset of Indian citizens about Bangladesh, then is there not a disconnect among India’s politicians and government officials?

India has every right to prevent illegal immigration, smuggling and anti-government militant activities, but that right does not extend to the indiscriminate slaughter of innocents. There is no justification for a shoot first policy.
The killings went largely unabated and with no formal investigations or punishment – despite high-level talks between the two countries and promises to end the policy – until the death of a teenage Bangladeshi girl more than two years ago.
Felani Khatun, 15, was returning home from a visit to India with her father on January 7, 2011. Neither had travel documents, so they opted to use a bamboo ladder to scale the barbed wire fence installed by the BSF to protect the border.
Felani’s father made it safely across the fence, but his young daughter’s clothes got snagged on the fence and a BSF guard shot her dead.
Her lifeless body hung on the fence for hours, later becoming a symbol for Bangladeshis of the ongoing injustice of the border policy. It prompted an unprecedented global outcry.
In the years that followed, the number of such killings dropped while diplomatic and international pressure increased. And last month, after massive criticism at home and abroad, a trial was started to prosecute the border guard who killed Felani.
Bangladeshis had high hopes for justice, at least in one case among hundreds of others, from the world’s largest democracy. But their hopes were short lived.
A special court in West Bengal last Friday acquitted Amiya Ghosh, the man who killed Felani Khatun.
Outraged Bangladeshis believed that the trial held symbolic value and that if justice was done, then BSF guards would think carefully before they fired on unarmed civilians along the border.
India’s High Commissioner to Bangladesh has said the verdict is not final, but few have any faith that Felani’s killer will ever be brought to justice.
As a much larger, more prosperous neighbor, India must behave more responsibly with its smaller and less powerful neighbors. Moreover, it should set an example in the way it delivers justice, and its future as a superpower is not only contingent upon resolving its disputes with arch-rival Pakistan, but on its relations with all of its neighbors.
It’s worth remembering what Alfred Lord Tennyson once wrote: “No man ever got very high by pulling other people down.”

Third World View is the pseudonym for a Bangladeshi journalist based in Dhaka

Honor, disgrace and the call of duty


The world was struck by shock and grief over last month’s brutal gang-rape and tragic death of a 23-year-old woman in Delhi.
This inhuman crime drew immense media coverage and provoked an unprecedented outpouring of public anger in India.
The victim is dead and buried and her molesters are facing murder charges. Yet the name of the girl is unknown. The authorities have remained tight-lipped on revealing her name in order to save her honor from possible social disgrace.
Before the Delhi crime, a 14-year-old Bangladeshi schoolgirl was gang-raped for several days. The vicious crime went unreported for weeks because the family tried to keep the girl in hiding, to prevent it being widely known that she had lost her "topmost honor" -- her virginity.
The girl’s mother was worried for the health of her daughter, but even more anxious about her future. A typical Bangladeshi parent, she believes that no one will marry a girl once she has been defiled in this way.
The girl is now out of danger physically, but no one knows what is going to happen to her. It seems all but inevitable that she will have to bear a social stigma for as long as she lives.
This may sound astonishing to Western ears, but in countries such as India or Bangladesh, where the social system is still medieval and male-dominated, rape cases meet mostly with apathy, both from the authorities and society at large.
If a woman falls victim to rape, even more than the pain and humiliation she will surely feel, she and her family mostly feel ashamed about what happened. Society indirectly blames the victim for inviting disaster.
So, the victim’s family show reluctance to file a complaint; the law enforcers and judiciary tend to treat such incidents lightly; cases are poorly investigated and sentences are often all too short. Rapists can get out of jail quickly and many soon start raping again.
The government records a total 174,691 cases of violence against women including torture, killing, rape and sexual harassment between 2001 and last year. No exact figures on rape cases are available, largely because of the social disgrace factor.
Rape is not simply a crime, it is a serious inhuman act, like all other forms of violence against women. A better and more human world is possible only if men learn to respect women, and help create an environment where women can feel proud of who they are.

The Third Eye is a pseudonym for a Dhaka-based journalist and analyst
Read the original post here- Honor, disgrace and the call of duty 

Bangladesh loses sight of own refugee past

Rohingya Children at a refugee camp in Bangladesh (photo: Dr. Habib Siddiqui)
Bangladesh, one of the world’s poorest and most densely populated countries, rarely makes international headlines for good reasons, so if you see something hit the wires of the international press, prepare yourself for the worst.

Whether it is an expose of the country’s dire poverty or the toxicity of the drinking water; whether the lack of infrastructure or political unrest; bad news is a safe bet from a country where half the 160 million population can’t read and earns only about 50 cents per day.

But some issues are more pressing, if not more widely reported, in the country.

One example is the issue of refugees – a longstanding issue that has again come to the fore with the outbreak of violence in western Myanmar’s Rakhine state.

Allegedly sparked by the rape and murder of a young Buddhist girl and the subsequent retaliatory killing of 10 Muslims, the violence drove hundreds of Rohingya towards the
Bangladesh border.

Authorities on the Bangladeshi side have continued to refuse entry to Rohingya refugees, despite incurring criticism from Human Rights Watch, the UN Office for the High Commissioner for Refugees (UNHCR) and the US State Department.

Since last week, border guards have turned back boats carrying hundreds of refugees seeking a safe haven – though authorities did provide food and water before sending them on their way.

Apart from its international commitments as a member of the United Nations and the dictates of common decency, has the country forgotten the assistance it received at a time of great need?

An estimated 10 million people fled to India during the 1971 war of liberation.

Foreign Minister Dipu Moni defended the refusal of entry to the Rohingya by saying, “
Bangladesh never signed any kind of international act, convention or law for allowing and giving shelter to refugees. That’s why we are not bound to provide shelter to Rohingyas.”

The statement fails to address the most critical issues, ones that have deep historical roots.

In 1978 and again in 1991, hundreds of thousands of Rohingya refugees fled Rakhine state to
Bangladesh to escape sectarian violence that some have equated to ethnic cleansing by the then military junta ruling Myanmar.

Many later returned, but a large number refused out of fear for their safety.
Bangladesh authorities say that about half a million Rohingya refugees still remain in Bangladesh, residing in largely makeshift camps in the southeastern border districts.

The UNHCR puts the figure at between 200,000 and 300,000, with only 28,000 granted official refugee status.

Authorities are obviously trying to prevent another influx of refugees that may not want to return once order is restored.

Despite maintaining a presence in Myanmar since at least the 7th century, the Rohingya have been denied citizenship by their government, which refuses to include them in a list of 135 recognized ethnic minorities.

Today the Rohingya are numbered among the world’s most persecuted minorities, unrecognized as citizens at home and unwanted abroad.

Descendents of ethnic Rakhine, Bengali and Arab seafarers, they continue to be unwelcome in
Bangladesh as well.

Relegated to ill-equipped and unhealthy camps, and subject to exploitation and abuse by border security guards as well as local residents, the Rohingya receive little in the way of official support from the government, which sees them as an additional burden on a country already groaning under the substantial weight of other social and political problems.

The Rohingya problem is not without precedent.

Bangladesh’s three million ethnic tribals continue to fight for their rights despite being recognized as citizens of the country.

And what of the 160,000 Bihari Muslim refugees who fled to the former East Pakistan (now
Bangladesh) from India after the partition? They have always considered themselves citizens of Pakistan, though they were not born there and most have never even visited that country.

They have been locked in the country since
Bangladesh broke away from Pakistan in 1971, proving that dividing countries on religious grounds was a historic blunder.

For more than 40 years, the Rohingya have endured international neglect and dire living conditions.
Bangladesh remains adamant about its refugee policy, and efforts by the international community have to date been largely ineffective.

The international community must decide on a better course of action. The limbo in which the Rohingya have lived for so long is not sustainable. And tensions in western Myanmar, and
Bangladesh
’s resistance to change its position on refugees, will likely spell even more bad news for the country.

The Third Eye is the pseudonym for a Dhaka-based journalist and analyst


Read the original post here- Bangladesh loses sight of own refugee past

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...