Showing posts with label Catholic Church. Show all posts
Showing posts with label Catholic Church. Show all posts

Jun 30, 2020

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোঃ এশীয় মন্ডলীর গণমাধ্যম অগ্রদূত

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো (সিঙ্গাপুর, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ)

আজ হতে সাতাত্তর বছর আগে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে একটি ইতালীয় অভিবাসী পরিবারে যে এক দেবশিশুর জন্ম, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের কালে নীরবে তাঁর জীবনের যবনিকাপাত। সাত দশকের বেশি সময়ের জীবন তাঁর মহিমান্বিত কর্মগাঁথায় আলোকিত, এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর একজন মহান মিশনারী ও গণমাধ্যম দিশারী হিসেবে অতুলনীয়।

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো (ফাদার বব নামে সমধিক পরিচিত) নিউ ইয়র্ক শহরের একটি হাসপাতালে বিগত ২৫ জুন, ২০২০ খ্রিস্টাব্দে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শতবর্ষী  মিশনারী ধর্মসংঘ মেরীনল সম্প্রদায়ের যাজক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ফাদার ববের বোন জ্যানেট এস্টোরিনো তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ৩০ জুন মেরীনল সংঘের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরিতগণের রাণী গির্জায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিস্টযাগ শেষে তাঁকে অন্তিম শয্যায় শায়িত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে এমন এক মহান মিশনারী পুরোহিতের দেহাবসান ঘটল যিনি তাঁর পাঁচ দশকের যাজকীয় ও মিশনারী জীবনের অধিকাংশ সময় এশিয়া মহাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর সেবায় কাটিয়েছেন।

ফাদার বব ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম ইউনিয়ন অব ক্যাথলিক এশিয়ান নিউজ (UCAN) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুদীর্ঘ ৩০ বছর প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে অবসর নেন।

রবার্ট এস্টোরিনোর জন্ম নিউ ইয়র্ক শহরে ২৭ মে, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ইতালি থেকে অভিবাসী হিসেবে আমেরিকাতে এসে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। মেরীনল সম্প্রদায়ে সেমিনারিয়ান হিসেবে প্রবেশের পূর্বে তিনি বিভিন্ন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন। যাজকীয় প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে মেরীনল যাজক হিসেবে অভিষেক লাভ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কের ফোরডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যায় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এশীয় মন্ডলীতে মিশনারী

ফাদার বব ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ মিশনারী হিসেবে কাজ করতে আসেন। প্রাথমিকভাবে তিনি একদল মেরীনল যাজকের সাথে চাইনিজ ভাষা শেখেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ড হতে হংকং-এ পালিয়ে আসা শরণার্থী এবং তাদের সন্তান যুবক-যুবতীদের মধ্যে কাজ করেন।

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ প্রেরণ কাজে মনোনিবেশ করেন এবং পরবর্তীতে সেটা এশীয় ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য তাঁর আজীবনের পালকীয় ও মিশনারী সেবাকাজে পরিণত হয়। তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ কমিশন ও সেটার কার্যালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখেন এবং কয়েক বছর তিনি সেটার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫-১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি হংকং-এর চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও সংবাদধর্মী লেখার বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

ফাদার বব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্যাথলিক গণমাধ্যম সংস্থার এশীয় শাখার নানা পদে দায়িত্ব পালন করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইস্ট এশিয়া ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন (EACPA)। সে সময় তিনি উপলব্ধি করেন এশিয়ার ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদানে অনেক ঘাটতি রয়েছে। ১৯৭০-৮০’র দশকে দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার আলোকে এশীয় ক্যাথলিক মন্ডলীতে এক নবজাগরণ চলছিল এবং দেশে দেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিশপীয় কনফারেন্স এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে উঠছিল। কিন্তু সে অনুপাতে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও বজায় রাখার ভাল কোন গণমাধ্যম ছিল না।

মূলত এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান এবং ইউরোপ, আমেরিকা তথা বিশ্ব মন্ডলীর কাছে এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীর কার্যক্রম, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ, সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরতেই ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ তিনি ইউকানের প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ১৪টি সংবাদ ব্যুরো স্থাপিত হয়, যা ২২টির মত দেশকে ইউকানের কভারজে নিয়ে আসে । ইটালির রাজধানী রোমেও ইউকান স্থায়ী সংবাদদাতা নিয়োগ দেয়। কালক্রমে ইউকান শুধু এশিয়া নয় বরং গোটা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পত্র-পত্রিকা, জার্নাল, রেডিও, টিভিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টান গণমাধ্যম ইউকানের সংবাদ ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে শুরু করে। প্রথমে মূলত ইংরেজি ভাষায় যাত্রা শুরু করলেও ইউকান পরবর্তীতে চাইনিজ, কোরিয়ান, ভিয়েতনামী, ইন্দোনেশীয় ও ফিলিপিনো ভাষায় অনুবাদিত সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে।

এশীয় মণ্ডলীর পালকীয় সেবার লক্ষেই ক্যাথলিক সাংবাদিকতাকে তিনি তাঁর মিশনারী জীবনের কেন্দ্রবিন্দু করেছিলেন। সে কারণে (UCAN)-এর মিশন হিসেবে তিনি বেছে নেন “এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর সম্পর্কে এবং ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য সংবাদ।“ ইউকান মূলত অনলাইন মিডিয়া হলেও ফাদার বব তাঁর সময়কালে “এশিয়া ফোকাস” (Asia Focus) নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদ বুলেটিন ছাপানোর ব্যবস্থা করেন, যা চাঁদার বিনিময়ে এয়ার মেইলের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো।

একজন সুদক্ষ সাংবাদিক, গণমাধ্যম অগ্রদূত ও শিক্ষক হিসেবে তিনি বছরের পর বছর এশিয়ার নানা দেশ চষে বেরিয়েছেন। অজস্র প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করে বহু ক্যাথলিক সাংবাদিককে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে কাজ করার দক্ষতা অর্জনে অসামান্য সহায়তা করেছেন। তাঁর শিক্ষা পেয়ে পরবর্তীকালে অনেকে শুধুমাত্র ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম নয় বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে ও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের শিক্ষাবিদ ও ইউকান বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান চাইনারং মন্থিয়েনভিচিএঞ্চাই ফাদার ববকে “তাঁর সময়ের একজন গণমাধ্যম অগ্রদূত” হিসেবে আখ্যা দেন যিনি তাঁর “অসামান্য নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণা দিয়ে এক দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন।“

তিনি বলেন, “তাঁর সময়ে যারা অধীনে কাজ করেছে তারা মূলত তাঁর মতই সাংবাদিকতাকে একটি প্রেরণ কাজ হিসেবে গ্রহণ করে সেটা করত, আর্থিক বা পেশাদারি অর্জন তাদের কাছে মুখ্য ছিল না।“

আমেরিকান ক্যাথলিক গণমাধ্যম ক্যাথলিক নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক বারবারা ফ্রেজ বলেন, “ইউকান শুরুর পর প্রথমদিকে ফাদার বব যখন আমাদের অফিসে আসতেন, তিনি বলতেন ইউকানের সংবাদ পুরনো হলেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এশীয়রা এগুলো লিখে এবং তা এশীয় মন্ডলীর কথা বলে যা কেউ বলছে না বা লিখছে না।“  

স্বনামধন্য ভারতীয় সাংবাদিক এ. জে. ফিলিপ বলেন, “বব এস্টোরিনো ছিলেন একজন দূরদর্শী, যিনি সাংবাদিকতাকে তাঁর প্রেরণকাজ (Mission) হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর কাছে বাণীই ছিল ঈশ্বর।  

জীবদ্দশায় ফাদার বব তাঁর অসামান্য কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন তাঁকে “বিশপ জন ইংল্যান্ড” পুরস্কারে ভূষিত করে এবং জানায় যে এ পুরস্কার “ক্যাথলিক প্রেসকে ব্যবহার করে ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সুরক্ষার এবং মুক্ত সমাজ গঠনের অবিরাম প্রয়াসের স্বীকৃতি।“

এছাড়াও ফাদার বব এশীয় ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী (FABC)-এর একজন উপদেষ্টা এবং ভাটিকানের পোপীয় সামাজিক যোগাযোগ পরিষদের (PCSC)-এর একজন সদস্য হিসেবে অনেক বছর দায়িত্ব পালন করেন।

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো ইউকান বাংলাদেশ সংবাদদাতা প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় কারিতাস কেন্দ্রীয় অফিস চত্বরে, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
 এশিয়ার মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা

ফাদার ববের হাতে গড়া সাংবাদিক ও সাবেক সহকর্মীরা তাঁকে শুধুমাত্র একজন অসামান্য গুরু বা শিক্ষক হিসেবেই নয়, পাশাপাশি তাঁকে একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবেও মনে রেখেছেন। তাদের অনেকের কাছে তিনি ছিলেন সাহসী সাংবাদিক, সহজ-সরল জীবন, সাধু চরিত্র এবং স্নেহশীল পিতার ন্যায়।

ইউকান ইন্ডিয়ার সাবেক ব্যুরো প্রধান জোসেফ কাভি বলেন, “তিনি আমার সাংবাদিক জীবনের গুরু। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি তাঁর সাথে কাজ করেছি। তিনি ছিলেন একজন চীন বিশেষজ্ঞ এবং এশিয়ার একজন সত্যিকার মিশনারী। তিনি এশিয়ার মানুষ ও সংস্কৃতিকে অনেক ভালবাসতেন। তিনি আমাদের উৎসাহ দিতেন যেন আমরা ছোট বা বড় সব ঘটনার মাঝে ঈশ্বরকে খুঁজে পাই।“

সিঙ্গাপুর নিবাসী ও ইউকানের সাবেক উপ-সম্পাদক খ্রিস্টফার খো লিখেছেন, “ইউকানকে ফাদার বব একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে দেখতেন এবং তাঁর কাছে কর্মীরা ছিল পরিবারের একেকজন সদস্য।“

দেশে বিদেশে তাঁর দীক্ষা পাওয়া অনেকে তাঁর অসাধারণ সব শিক্ষা ও উক্তির কথা আজ মনে রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতমঃ Show, Don’t Tell (বোলো না, দেখতে দাও). তিনি প্রায়ই বলতেনঃ When we change the way we look at things, the things we look at change (যখন আমরা কন কিছুর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই, তখন গোটা বিষয়টাই বদলে যায়)।

ফাদার বব ক্যাথলিক মন্ডলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী পরিবর্তনের প্রতিভূ দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার শিক্ষায় আলোকিত মনিষী ছিলেন। তাঁর সব কাজ, আচরণ ও শিক্ষায় তাঁর সুস্পষ্ট ছাপ ছিল। তিনি এশিয়াতে ক্যাথলিক মণ্ডলীর আন্তঃধর্মীয় সংলাপের অনেক প্রশংসা করতেন এবং পরধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, “এশিয়াতে খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু, কিন্তু তারা ভালভাবে টিকে আছে। এর কারণ হল তারা অন্য ধর্মের অনুসারীদের আস্থা অর্জন করেছে এবং তারা তাদের সহায়তা করেছে। এটাই হল আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সৌন্দর্য।“

ইউকানের ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ফাদার বাংলাদেশে আসেন। সে বছর ২২-২৬ জুলাই ঢাকার কারিতাস মিলনায়তনে তিনি দেশের পাঁচটি ধর্ম প্রদেশ হতে আগত ১৪ জন ভাবী ইউকান সংবাদদাতাকে তিনি ইউকান কী, কেন এবং কিভাবে ইউকানের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করতে ও লিখতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক ও সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর প্রাক্তন সম্পাদক জেরোম ডি’কস্তা ছিলেন ইউকানের প্রথম বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং ব্যুরো প্রধান। তিনি এই কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।

সে প্রশিক্ষণে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইউকানের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রখ্যাত হলিক্রস মিশনারী ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম এবং কারিতাস বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডঃ বেনেডিক্ট আলো ডি’ রোজারিও।

বর্তমানে কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডঃ আলো ডি’রোজারিও ফাদার ববের মহাপ্রয়াণে বিশেষ শোক প্রকাশ এবং তাঁর অসাধারণ অবদানের কথা স্মরণ করেছেন।

তিনি এক বার্তায় বলেনঃ “ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোর হাতে আমাদের সাংবাদিকতা শিক্ষার হাতেখড়ি। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন কিভাবে সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সরাসরিভাবে রিপোর্ট লিখতে হয়। এশিয়া মহাদেশ এবং তার বাইরেও বহু সাংবাদিকের কাছে ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।“

এরপরেও ফাদার বব কয়েকবার বাংলাদেশে আসেন এবং সর্বশেষ আসেন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি ইউকান বাংলাদেশের ১৬জন সংবাদদাতাকে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকার কারিতাস সিডিআই মিলনায়তনে। সে সময় অমিয় জেমস এসেনসন ( বর্তমানে কানাডা প্রবাসী) ছিলেন ইউকানের ব্যুরো প্রধান। বাংলাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রতি তাঁর মূল্যায়ন ছিল খুবই ইতিবাচক। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলী খুব ক্ষুদ্র হলেও দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে, স্থানীয় মন্ডলী শক্ত ভিত্তির উপর স্থাপিত এবং উপাসনার সংস্কৃত্বায়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বাস্তবিক অর্থেই ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো একজন মহান মিশনারী ছিলেন। এশিয়াতে ক্যাথলিক মন্ডলীর যোগাযোগ ও মিডিয়া ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য, অভূতপূর্ব ও তা নিশ্চিতভাবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মিশনারী জীবন ও সেবাকাজ যুগ যুগ ধরে অনেকের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।।


Jun 26, 2020

Glowing tribute to a great missionary


Father Robert Astorino, MM (1943- 2020) Photo: Christopher Khoo
Grief has overtaken me since the news came out of the blue. Maryknoll priest Father Robert Astorino (popularly known as Father Bob) passed away in New York on June 25. He was 77. Following his ordination in 1970 he came to Hong Kong as a missionary and spent most of his 50 years of priestly life in Asia. Father Bob was my first guru in journalism and I believe if I did not meet him 2009 I could not stay in this field and accept it as a personal and collective mission. I am so shocked as if I have lost my father, but I am unable cry. I have resorted to writing, what he has taught me like many others, to pay a tribute to him.
Literally, Father Bob was the messiah for the Catholic Church in Asia when it comes to social communication. In the 1970s, he found local Catholic Churches didn't know each other well in absence of effective communication channels. Thus, he dedicated himself in developing and leading the media mission for the Catholic Church in Asia for over next three decades. In 1979, he founded Union of Catholic Asian News (UCAN), the largest Christian news agency in Asia, in Hong Kong. He led the agency as the executive director until 2008. He traveled across Asia, developed 14 bureaus covering 22 countries and trained dozens journalists for UCAN, many of whom went on to become journalists for the secular press as well. As a skilled trainer he taught people how to see, listen and feel everything in Asia in their originality and to put them in words properly and effectively. He was rewarded for his outstanding services. In 1998, Catholic Press Association in the United States awarded him the Bishop John England Award. For many years he served as a consulter for the Vatican's Pontifical Council for Social Communications.
Father Bob with reporters during a training in Bangladesh in 2009
Father Bob was my first and so far the best mentor in journalism. He trained me with others in journalism and Catholic Church's mission in Asia among many other things in Bangladesh and Thailand on three occasions in 2009. He is the best human communicator I have ever met in my life. I didn't have a chance to work with him, but he has made a lasting impression on my life and career path. He was a simple, saintly and fatherly figure to all who met and came in touch with him.
He was a highly trained media professional with a great heart full of love and compassion for people and culture in Asia. He always encouraged people to be committed to truth and to see extraordinary in ordinary things. I will never forget his prophetic words: "When you change the way you look at things, the things you look at change." He was a great admirer of inter-faith dialogue. I remember how he trained us to love and to see good things in non-Christians, especially Muslims during a training in Bangkok. "Christians are a minority in Asia, but they have survived because people of other faiths have supported them. That is the beauty of inter-faith harmony." He recalled that he was shocked over the 9/11 terrorist attack on Twin Towers. "I was thundered! I realized Christians have failed to have a good dialogue with people who grew up with so much hatred that exploded in such a tragic way!"

Father Bob with reporters from Bangladesh, Pakistan, Cambodia, Indonesia, Singapore and Mongolia at UCAN House, Bangkok, Thailand (2009)
Father Bob was a gift for the Church in Asia and world. Thus, his demise is a great loss for Catholic Church in Asia as well the universal Church. He might have ended his race of life and faith, but his great life and works will continue to inspire many in the days to come. He was a star that will keep flashing and enlightening forever. May God grant his great servant eternal rest in heaven.

*A number of prominent media outlets covered the news of the demise of Father Bob and also paid tributes to him. They are as follows:

UCAN


Asia News


Catholic News Service


National Catholic Reporter


Matters India



LiCAS News


Herald Malaysia


Mar 12, 2020

A burning flame of enlightenment for 100 years

Guests and dignitaries on stage during the 100-year jubilee celebrations of church-run St. Nicholas High School in Gazipur district near Bangladeshi capital Dhaka on Jan. 2. (Photo: Robin Noel)
Subir Kashmir Pereira is disappointed that he missed out on an event that he had been looking forward to for years: attending the centenary jubilee celebrations of his beloved alma mater, St. Nicholas High School.
Geographical distance and other complications restricted him from attending the Catholic school's reunion in the first week of January.
Pereira, 49, is a Bangladeshi-born American citizen who settled in Maryland in 2007 with his wife and daughter.
St. Nicholas, where he studied from 1988 to 1991, is located in Nagari in Gazipur district of central Bangladesh, about 40 kilometers from the capital Dhaka.
"When the school marked 75 years [in 1995], I could not attend due to personal reasons. I told myself that I would have to attend the 100-year jubilee, but I missed out again. This failure is likely to upset me for the rest of my life," said Pereira, a Catholic.
Employed at a pharmacy of a multinational company in the US capital Washington, Pereira was a youth activist back home. He is also a seasoned poet with several titles published in recent years.
He credits his days at St. Nicholas, run by the Brothers of Holy Cross, for laying the foundation for what he has become today.

Dec 13, 2019

Bangladeshi Catholics caught up in ugly land disputes

Bangladesh is a small country packed with 160 million people, so land disputes are common and it is often the poor who suffer most. (Photo: Rock Ronald Rozario/ucanews)
Residents in a southern Bangladesh village were shocked to hear that a violent clash erupted recently between two Catholic families.

The mob violence was the culmination of a bitter dispute lasting more than two years over ownership of a small plot of land.

South Haldibunia village is near the country's second largest port — Mongla in Bagerhat district — and also close to the Sundarbans mangrove forest, an area covered by St. Paul's Church in Mongla under Khulna Diocese.

The sense of shock was understandable, happening in a village where people of various faiths — Catholic Christians, Hindus and Muslims — have been living peacefully together for decades.

Oct 31, 2019

A guiding light for Bangladesh's marginalized communities



Sister Salome Nanuar, CSC (Photo: Rock Ronald Rozario)

As a child Salome Nanuar assumed she would end up becoming a poor and marginalized tea estate worker like her parents.

She was born in 1971, the third of six children of an ethnic Kharia family, at Barmachhera village at Srimangal, a tea plantation hub in the Moulvibazar district of northeastern Bangladesh.
Nearly five decades on, Salome has become a Holy Cross nun, dedicating her life as a teacher, catechist and hostels, in the service of socio-economically downtrodden communities, including tea workers.
Sister Salome’s father died when she was at grade four in primary school.
Thanks to support from her two elder brothers and sister in-laws, all of them tea workers, she was able to continue her education.
The biggest support came from the local St. Joseph’s Catholic Church, the oldest and largest parish in predominantly tribal Sylhet Diocese, set up in 1950 by Holy Cross missionary priest Father Vincent Delevi.


Mar 20, 2019

Missionaries, martyrs and 500 years of faith in Bangladesh


Archbishop Moses M. Costa of Chittagong delivers a Mass during the annual Marian pilgrimage at Our Lady of Lourdes shrine in Diang in eastern Bangladesh in 2018. The Church will host a jubilee marking 500 years of Christianity in the country on Feb. 7-8 in the same city. (Photo by Stephan Uttom/ucanews.com)
For centuries the port of Chittagong, washed by the waters of the Karnaphuli River, has fascinated and attracted travellers, traders, kings, warriors, and preachers of various religions.
In 1517, the river brought Portuguese Catholic merchants to the port. The first group left after their business was done, but a second group that arrived in 1518 decided to stay in Chittagong and nearby Diang, setting up the first Christian settlements in erstwhile East Bengal (now Bangladesh).
"The Portuguese came mainly for business, but they also brought with them the faith in Christ. They developed the first community of Christians," Holy Cross Archbishop Moses M. Costa of Chittagong told ucanews.com.
Portuguese Jesuit priest Father Francesco Fernandez was the first Catholic missionary to set foot in Chittagong in 1598. Two Jesuit priests — Father Melchior de Fonseca and Father Andre Boves — and two Dominican priests followed his footsteps in 1599, and a band of Augustinian missionary priests turned up in the 1600s.
The Augustinians spearheaded the massive conversion of locals, mostly lower-caste Hindus from fishing community and port laborers, as well as slaves from various Indian states brought to Chittagong by merchant ships in 1622-1635.

By the middle of the 17th century, Catholics in Chittagong and neighboring areas stood at around 29,000.

Father Fonseca and Father Boves set up two churches in Diang and Chittagong in 1600, marking the first foothold of the Church in this part of the world.


Jan 13, 2018

Liberal and Reformist Pope Francis

Pope Francis (Photo: www.telegraph.co.uk)
Pope Francis, the supreme leader of world's 1.2 billion Catholic Christians, is visiting Bangladesh. Francis is the third pope to visit this land after Pope Paul VI on Nov. 26, 1970 and Pope John Paul on Nov. 19, 1986.

Pope Francis beholds a liberal worldview that includes everyone and excludes none.
A prolific change-maker, Pope Francis is determined to turn the Church "a guiding light and moral conscience" in an ultramodern and increasingly secular world.

  
On 13 March 2013, as he emerged as pope, he renounced traditional red papal mozetta, and worn a simple white cloak and a wooden cross. Thus, he sent out strong signals that he was there for change. 



Dec 18, 2017

Takeaways from Pope Francis’ visit to Bangladesh


Tens of thousands of Christians from all over Bangladesh attend a Holy Mass offered by Pope Francis at Suhrawardy Udyan Park in Dhaka on Dec. 1, 2017 (Photo: Rock Ronald Rozario)
Pope Francis’s apostolic journey to Bangladesh on Nov. 30—Dec. 2 was welcoming, peaceful and meaningful as expected.

In some counts, the pontiff’s Bangladesh trip made more buzz than it made in Myanmar, and it was due to the politically sensitive issue he avoided in Myanmar—Rohingya.   

Francis’ three-day interactions with broader sections of Bangladeshi society have touched the lives of people cutting across caste, creed and social status not to mention country’s minority Christians.


Dec 7, 2017

Pope Francis' Liberalism and Reforms


Pope Francis

Pope Francis, the supreme spiritual leader of world’s 1.2 billion Catholic Christians, made his highly anticipated apostolic journey to Bangladesh on Nov. 30 to Dec. 2.

Francis is the third pope to visit this land and the second in independent Bangladesh.

Pope Paul VI made few hours stopover at Dhaka airport in erstwhile East Pakistan on Nov. 26 in 1970, in order to express sympathy for victims of a devastating cyclone that killed tens of thousands, on his way to Manila in the Philippines.

Pope John Paul II visited independent Bangladesh on Nov. 19, 1886.

A man of simplicity and humility, Pope Francis beholds a liberal worldview that includes everyone and excludes none. 

Nov 30, 2017

পোপ ফ্রান্সিসের উদারনীতি ও সংস্কার

পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস এমন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব, যিনি এমন এক উদারনৈতিক বিশ্বচেতনার অনুসারী, যা পৃথিবীর সব মানুষকে যুক্ত করে এবং কাউকেই বাদ দেয় না। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টবিশ্বাসীর সর্বোচ্চ ধর্মগুরু নিজেকে বহুমাত্রিক পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ তথা দক্ষিণ গোলার্ধের প্রথম পোপ এবং প্রায় ১ হাজার ৩০০ বছরের মধ্যে প্রথম অ-ইউরোপীয় পোপ।

পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তিনি যখন রোমের সাধু পিতরের মহামন্দিরের বিখ্যাত ব্যালকনিতে আবির্ভূত হন, তখন দেখা গেল তিনি খুব সাধারণ সাদা পোশাক পরিহিত এবং গলায় কাঠের তৈরি একটি ক্রুশ। তিনি ঐতিহ্যবাহী ও জমকালো লাল রঙের ‘পোপীয় মোজেত্তা’ পরিহার করলেন। বিগত পাঁচ বছরের পোপীয় কার্যকালে মণ্ডলীর নীতিগত ও মৌলিক ধর্মতত্ত্বের কোনো বড় পরিবর্তন না করেই বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথায় ও কাজে ক্যাথলিকমণ্ডলীর কট্টর অবস্থানকে লঘু করার প্রয়াস নিয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস মঙ্গলসমাচারের বর্ণিত যিশুর শিক্ষা অনুসারে ক্যাথলিক মণ্ডলীর শক্তি-সামর্থ্যকে ব্যবহারের দিকে অধিকতর মনোযোগী। তিনি তেমন বিশপদের চান না, যারা ‘রাজপুত্র’ (Princes) হতে চায় কিন্তু ‘একনায়কসুলভ’ মনোভাব পরিহার করে ‘পালক’ হিসেবে জনগণকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।

একটি ইতালীয় সংবাদপত্রের বিশ্লেষণ অনুসারে পোপ তাঁর উপদেশবাণী ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, তা হলো ‘আনন্দ (Joy)’। পোপ বিশ্বাসের জীবনকে চিত্তাকর্ষক ও আনন্দময় করে তোলার প্রয়াসে যে পরিবর্তনের সূচনা করেছেন, তা কোনো কোনো ধর্মীয় নেতার রক্ষণশীল ও আক্রমণাত্মক শিক্ষার চেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়, মানবিক ও সহনশীল।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে পোপ ফ্রান্সিস এক পালকীয় শ্বেতপত্র (Apostolic Exhortation) প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো ‘ইভানজেলি গাউদিউম’ বা ‘মঙ্গলসমাচারের আনন্দ’। এই পত্রটি তাঁর পোপীয় শাসন আমলের প্রায় সব শিক্ষা ও কর্মোদ্যোগের প্রাণকেন্দ্র। এই পত্রের দ্বারা তিনি পুঁজিবাদের গড্ডালিকাপ্রবাহে ভেসে চলা চরম ও বল্গাহীন বিশ্বায়নের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি ভোগবাদী সংস্কৃতি, ব্যবসায়িক লোলুপতা ও ধনীদের ধনী করে এবং দরিদ্রদের দরিদ্রতর করে এরূপ অর্থনীতিকে আঘাত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, যা বহু মানুষকে বঞ্চিত করে এবং সামাজিক অসমতাকে উসকে দেয়। এমন অর্থনীতি মানুষকে মেরে ফেলে। এ কেমন বিশ্বব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, যেখানে একজন বয়স্ক, দরিদ্র ও বাস্তুহীন মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা গেলেও তা কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হিসেবে গণ্য হয় না, কিন্তু শেয়ারবাজারে দুই সূচক পতন হলেই তা সংবাদের শিরোনাম হয়?’ পোপ ফ্রান্সিস তথাকথিত কট্টরপন্থী মাণ্ডলিক নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাঁরা যেন সেবাকাজের কথা ভুলে না যান। তিনি তাঁদের ক্ষমতা ও উচ্চপদের পিচ্ছিল সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ইঁদুর দৌড়ে মত্ত না হতে পরামর্শ দেন।
পোপ ফ্রান্সিস পরিবেশদূষণকে ‘পাপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বিশ্ববাসীর প্রতি আবেদন জানান, যেন তারা ‘ফেলে দেওয়ার সংস্কৃতি’, ভোগবাদ ও ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন উন্নয়ন’ পরিত্যাগ করে। তিনি দৃঢ়ভাবে নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে বিশ্বনেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রতি আহ্বান জানান এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ‘দ্রুত, সমন্বিত ও একীভূত’ উদ্যোগ নিতে জোরালো আবেদন জানান।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রান্সিস সাময়িক কালের জন্য এক বিশেষ ‘দয়ার জানালা’ উন্মুক্ত করেন, যাতে যেসব নারী গর্ভপাত ঘটিয়েছেন, তাঁরা যাজকের কাছে গিয়ে পাপ স্বীকার করেন এবং পুনরায় মণ্ডলীতে ফিরে আসেন। তাঁর আরও অনেক প্রতীকী উদ্যোগের মতো এটিও বিশেষ প্রতীকী তাত্পর্য বহন করে। কারণ, খ্রিষ্টমণ্ডলী গর্ভপাতকে হত্যা ও ক্ষমার অযোগ্য পাপ হিসেবে বিবেচনা করে। পোপ গর্ভপাত বিষয়ে মণ্ডলীর এই অবস্থানের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করেননি, কিন্তু দয়া ও করুণার মাধ্যমে এক নতুন বার্তা দিলেন।
 ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে পোপ ফ্রান্সিস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশপদের পালকীয় বিশেষ সভা আহ্বান করেন, যার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল মণ্ডলীতে বিবাহ ও পরিবার জীবন। এই সভার পরপরই পোপ ক্যাথলিক মণ্ডলীর বিবাহ বাতিলকরণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার অবসানে গোটা প্রক্রিয়াকে সহজ-সরল ও সংক্ষিপ্ত করেন।
বিভিন্ন সময়ে পোপ ইসলাম ধর্মের প্রতি সহনশীল মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার সঙ্গে ইসলামকে মিলিয়ে ফেলার ভ্রান্ত প্রবণতাকে পরিহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ‘ইসলামভীতির’ (Islamophobia) সমালোচনা করেছেন। বরং তিনি মুসলিমদের সমর্থনে পশ্চিমা বিশ্বেও নৈতিক অবক্ষয়ের সমালোচনা করেন।
সুতরাং এ কথা বলাই বাহুল্য যে পোপ ফ্রান্সিস একজন মহান বিপ্লবী, যিনি তাঁর কথা ও কাজের দ্বারা অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটিয়েছেন বিগত পাঁচ বছরে। তঁার উদারনীতি ও সংস্কার কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আর তাই পোপ ফ্রান্সিসের শাসনকাল খ্রিষ্টমণ্ডলী ও বিশ্বের ইতিহাসের এক অসামান্য ও চিরস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।


রক রোনাল্ড রোজারিও: লেখক এবং বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান, ইউনিয়ন অব ক্যাথলিক এশিয়ান নিউজ।

Oct 14, 2017

শ্রদ্ধাঞ্জ‌লি: ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, সিএস‌সি (১৯৪২-২০১৭)

ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, সিএস‌সি (Photo: Stephan Uttom)

২০০১ খ্রিস্টা‌ব্দের জুলাই মা‌সে মাধ্য‌মি‌কের গ‌ন্ডি পে‌রি‌য়ে উচ্চ মাধ্য‌মি‌কে পড়‌তে ঢাকায় আ‌সি। সে সময় অব‌ধি গ্রাম ও মফ:স্ব‌লের আ‌লো-বাতা‌সে বড় হওয়া ও সদ্য কৈ‌শোরের চৌকাঠ মাড়া‌নো দুরুদুরু ব‌ক্ষের একজন ছে‌লের জন্য ঢাকার মতো ব্যস্ত ও বিপুলায়তন নগরী‌তে আসাটাই  এক অ‌বিস্মরণীয় ঘটনা। তদুপ‌রি দেশ‌সেরা নটর ডেম ক‌লে‌জের স্বপ্ন ছিল দু‌চো‌খে, য‌দিও মাধ্য‌মি‌কের রেজাল্ট ছিল নিতান্তই সাদামাটা। এখা‌নেই দেখা পাই  একজন পক্ক‌কেশ জ্ঞানী কিন্তু নিতান্তই সাধা‌সি‌ধে সন্ন্যাসব্রতী যাজকের। তি‌নি আর কেউ নন ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, নটর ডেম ক‌লে‌জের অধ্যক্ষ।

Jul 22, 2014

Thousands rally in Bangladesh against attack on nuns

Catholic nuns join a protest rally in Bangladesh's capital Dhaka over recent attack on Catholic nuns in the country. (Photo: Rock Ronald Rozario)

Thousands of Christians protested across Bangladesh on Monday following an attack on nuns in the north of the country earlier this month.

About 2,500 Christians were joined by Muslim and Hindu groups in Rangpur, where the attack took place.  At least 50 men armed with knives and iron bars assaulted and injured two nuns on July 8.

“No way can we accept this heinous attack on these dedicated people,” Father Anthony Sen, secretary of the Justice and Peace Commission in the Catholic diocese of Dinajpur which covers Rangpur, said at the protest. "The culprits must be brought to book immediately and prosecuted in a fast-track court. The government must ensure that this kind of incident never takes place again and that the security of minorities should be guaranteed.”

There were also smaller rallies in other cities across the country including the capital Dhaka, where nuns held hands and lined major roads.

May 30, 2014

Bangladesh Church must speak out on long running anti-Christian campaign


The Catholic church in Bandarban, southeastern Chittagong Hill Tracts is at the center of an anti-Christian campaign (Photo: Chittagong Catholic Diocese website)

Silence is often prudent but at other times it’s plain foolish, as is the case with the Catholic Church and Christians in the Chittagong Hill Tracts (CHT), where their deathly silence in response to a long-running anti-Christian campaign is working against them.

In March and April, local newspapers and online media ran a cooked-up story against priests and religious brothers from the Queen of Fatima Catholic Church in Bandarban, the largest and one of the oldest Catholic churches in the CHT.


The report alleged that the priests and religious were sexually abusing tribal girls residing in a Church-run hostel.


To escape the abuses, some 71 girls fled the hostel one night, prompting Church leaders to pay off local officials to cover everything up, it claimed.


The girls actually fled in protest against the woman in charge of the hostel, a tribal woman who the girls say treated them badly. They absconded after several pleas to have the woman replaced fell on deaf ears. The girls later returned after the woman was dismissed.


The concocted abuse story came from local journalists looking to extort money from Church officials and was encouraged by local Muslim leaders who have a history of anti-Christian sentiment.


This is not an isolated case, but part of a game that’s been played against the Church and Christians for nearly a decade. During this time, several Islamist and mainstream newspapers have run fabricated reports accusing Christian missioners of converting thousands of tribals with the lure of money and plotting to turn the CHT into an independent Christian country like Timor-Leste.


The reports also alleged that several Western countries were funding Christian NGO activities to change the religious demography of the CHT to fulfill this agenda.


Church leaders and development activists have told me privately that government intelligence agents have paid them visits asking them how many Christians were in the area and how Christian NGOs were being funded.


Last year, the Hefazat-e-Islam militant group staged two rallies in Dhaka to make 13 demands. Most Christians failed to notice that one of them was a crackdown on “unlawful activities by Christian missioners and NGOs in the CHT”.


Throughout this time, Church leaders have remained silent. They have neither spoken to the authorities nor refuted the baseless claims in the mainstream press. They also didn’t opt for official complaints and protests, not even with regard to the Hefazat-e-Islam rallies.


The CHT, which borders India and Myanmar, is the only mountainous region of Bangladesh. This strategically important area is home to more than 12 indigenous tribes, mostly Buddhist, who have lived there for centuries and been socially and economically neglected for decades.


These peace loving people have seen the systematic destruction of their culture and livelihood since the 1970s when the government started changing the local demography by resettling landless Bengali Muslims who started grabbing tribal lands. The result has been ongoing sectarian conflict in these hills.


Tribals resisted the influx and, with latent support from India, formed a militia group to fight the settlers.


In response, the government turned the area into a military zone. For more than two decades, a bloody bush war between the army and militants claimed hundreds of lives until it ended with the CHT Peace Accord in 1997, which is still to be implemented. To this day, the region is heavily militarized with some 500 army camps.


Christian missioners arrived in the 1950s, and today Christians account for less than three percent of the region’s 1.6 million people.


The Muslim population, however, has increased from less than three percent in 1947 to more than 48 percent today. Tribals are still larger in number, but they are marginal in city centers and most businesses are controlled by Bengalis.


With such a small Christian presence, claims that missioners and NGO’s are trying to create another Timor-Leste are nothing more than ill intentioned fairy tales and simply not possible .


Yet, the rumors are rife and are being fed by local Bengali Muslim groups, who are aggressively anti-tribal.


They are the force behind the occupation of tribal lands by Muslim settlers. They are also backed by civil and military officials, and Islamic fundamentalist groups like Hefazat. All are trying to discredit the Church to divert national and international attention away from the grim political and rights situation for tribals in the CHT.


The war is over, but sectarian clashes between tribals and Muslims and rival tribal groups are still common.


According to a local rights group, Muslims killed 11 tribal men, raped 15 tribal women and burned down more than 100 tribal homes last year. Rights activists also accuse the government and army of keeping unrest alive to legitimize the militarization of the area.


International rights groups including Amnesty International have reported gross human rights violations by Muslim settlers and soldiers on tribal people. These include murder, torture, arson and rape.


Environmental groups allege the region is facing an environmental disaster because of deforestation and tobacco cultivation by the settlers.


Foreigners are generally not allowed in the CHT; but if they are it is usually under close surveillance. It is not because armed tribal groups might kidnap them for ransom, but mostly to stop them seeing what really goes on there.


Like in other parts of the country, Catholics and Protestants have set up dozens of schools, vocational centers, health clinics, and conducted development activities in the CHT to help tribals, non-tribals, Christians and non-Christians alike.


In most other places, Christians are held in high esteem by Muslims for their contributions in the education, health and development sectors, but in the CHT they are being vilified.


One reason is the activities of Christian missioners who have made tribal people more aware of their rights and more vocal.


The Bandarban Church incident is the most recent example of this vilification and could have been a lot worse if local Muslims had believed the stories that were told.


A 1998 mob attack by Muslims on several churches and Christian institutions in the Luxmibazar district of Dhaka during a land dispute between a Catholic school and a local mosque should serve as a gentle reminder as to how vulnerable Christians are.


Church leaders should realize that Christian haters consider their silence as weakness. They should learn from the recent attempt to stoke anti-Christian feelings in the CHT and act strongly and accordingly.


If they don’t take this seriously, they can be assured that the worst is yet to come.


END
 

Read original opinion piece here Bangladesh Church must speak out on long running anti-Christian campaign

Dec 9, 2013

A practising Catholic's simple wish

Pope Francis needs to ensure power of the Church handed down to people
In many ways, the new pope is full of surprises -- the first Jesuit, first Latin-American and also the first non-European pope in about 1,300 years.
He is the first Pope Francis and the first to ditch the red papal mozzetta and to wear a simple wooden cross as he emerged onto the balcony of St Peter’s basilica.
The very way Pope Francis presented himself is in contrast to his predecessor Benedict XVI. Does it send a powerful message to local bishops, clergy and religious? Will it change those ‘line breaks’ in the local churches like ours?
I would like to believe these ‘firsts’ are signs of better things to come in the Church.
I take pride in my Catholic faith not for what the Church can do or cannot, but because I’m a member of the world’s largest faith organization. Because I believe that no matter how rich or poor, my joys and hopes, grievances and anxieties count, and there is someone with authority to listen to me.
I am among those faithful whose tiny local Church had no hand in choosing their supreme spiritual leader.
Catholics here are a tiny minority – about 350,000 people in a Muslim-majority country of more than 150 million. In 1986, on the only papal visit to Bangladesh, the late Pope John Paul II called us 'God’s little flock,’ whose life of faith is influenced by a multi-religious culture, a common reality in churches in Asia.
Most of the ‘little flock’ considers the pope no less than a demigod.
Most of us are devout and listen to what the pope says and does, rather than caring who he is or where he comes from. They care little (actually they know little) about the clerical abuses and financial scandals, or the dysfunctional Vatican bureaucracy haunting the Church at the moment.
They see the new pope as ‘a source of hope and joy’ as he comes from a developing country which they too live in, because like the Vatican, the local Church also needs changes.
All these years, the local Church has been a ‘light of hope’ in the ‘vast sea of Islam,' making significant contributions to education, health and development sectors, especially to the poor.
Besides spiritual nourishment, by improving their socio-economic status the Church has developed a small but devout community of faithful. Thus, the laypeople have grown up.
But sadly, they have failed to find a sturdy position in the Church -- either nationally and locally. From episcopal commissions to parish level or at Church programs, with few exceptions, laypeople are merely participants, not decision-makers.
With due respect to the bishops, clergy and Religious who are close to the people, many of their colleagues think that by the virtue of ordination or religious vows they are the be-all and end-all when it comes to the Church.
It’s not that laypeople are less educated than the clergy or Religious, or they have too little theological and apostolic training opportunities. Not because they know little about Vatican II and changes in the Church it was intended to bring.
There is a fear among many clergy and Religious that empowerment of the laity will decline their power to rule them. Also, they are afraid that laypeople might rise against things that are not going well in many places, like what happened in Europe and America?
I guess this tendency is a legacy of Eurocentric Vatican bureaucracy as well.
But in his sermon during the installation Mass, Pope Francis emphasized the Church’s role as the "protector of the poorest, weakest and vulnerable" and reminded people that "authentic power is service."
Does this signify real hope for the laity in the near future?
With each passing day, the pope's style, words and actions ignite hope and joy in 1.2 billion Catholics around the world.
We have seen some signs of hope, but real change and reform are yet to happen. Our leaders need to realize that authentic power comes from God and lies with people and empowering people they empower themselves.
If that happens during Pope Francis' time, the Church will become not only ‘of and for the poor’ but also ‘for the poor’ in the real sense.

Third World View is the pseudonym of a commentator based in Dhaka
Read original post here- A practising Catholic's simple wish

Sep 30, 2011

Bangladesh's new diocese gets first prelate

 


Thousands of Catholics attended the installation ceremony today of Oblate Bishop Bejoy Nicephorus D’Cruze, as the first prelate of newly created Sylhet diocese in the northeast of the country. The installation Mass was held at the Immaculate Conception Church in Lokhipur, in Moulvibazar district. 

Nine bishops, including Apostolic Nuncio Archbishop Joseph Marino and Archbishop Paulinus Costa of Dhaka, as well as several hundred priests, nuns, and brothers joined about 3,000 Catholics who attended what was a historic event for the local Church. 

Archbishop Marino read out the Apostolic Letter from the Holy Father that canonically erected Sylhet as the country’s 7th diocese on July 8 this year. Bishop D’Cruze had served as Bishop of Khulna before his appointment to the new diocese. 

Sylhet, which covers four civil districts -- Sylhet, Sunamganj, Habiganj and Moulvibazar was carved out of Dhaka archdiocese, making it a suffragan of the same metropolitan Church. 

“The Catholic Church in Lokhipur shall be the temporary cathedral under the patronage of the Divine Mercy,” the apostolic letter said. 

The new diocese has seven parishes and 11 mission centers with about 17,000 mostly tribal Catholics, served by 21 priests and 33 Religious. 

“The faithful in Sylhet have waited for autonomy for so long, and today their dream has come true,” Archbishop Paulinus Costa said in his homily. 

“I would like to call upon Bishop Bejoy to look upon education, financial independence, participation in social activities and evangelization, as well as promoting religious vocations as the major challenges for Catholics in the diocese,” he added.

END

Original Article:

Bangladesh's new diocese gets first prelate

Apr 28, 2011

Bangladesh praised as interfaith leader

Cardinal Jean Luis Tauran visits Bangladesh (Photo: Chandan Robert Rebeiro)

Bangladesh is a model of interreligious harmony, visiting Pontifical Commission for Interreligious Dialogue (PCID) president Cardinal Jean-Louis Tauran said during an official tour of the country. 

“I’ve said a number of times during my stay here that Bangladesh is considered as an example, a model for interreligious dialogue and harmony. It can be placed at the services of world today,” said Cardinal Tauran, 68 who today completes a three-day tour of Bangladesh - his first to the country. Among other engagements, the French cardinal, a former Vatican foreign minister, addressed a crowd at a Conference on Interreligious Dialogue and Harmony in Dhaka yesterday. 

“Bangladesh has shown how it is possible for people in a multi-religious society live in peace and harmony. I think it was possible because from the beginning Bangladeshi society was all inclusive and tolerant to other faiths,” asserted the prelate in his keynote speech. More than 500 religious leaders, dignitaries and representatives from various religions and Christian denominations including Apostolic Nuncio Archbishop Joseph Marino, Bangladesh state minister for religious affairs Shajahan Mian, Catholic state minister for cultural affairs Promod Mankin and all the Catholic bishop of the country attended the half day program. 

The event organized by Catholic bishops’ Episcopal Commission for Christian Unity and Interreligious Dialogue (EC-CUIRD) included readings from Holy Scriptures Qur’an, Gita, Tripitaka and Bible, speeches from the guests and religious representatives, devotional songs and unveiling of a special souvenir titled ‘Harmony bring peace’. Cardinal Tauran said discussions between faiths was more important than ever today when there is "a tendency to see religion as a problem." "When religious leaders speak together the society as a whole benefits." 

Apostolic Nuncio Joseph Marino said that Bangladesh has worked in line with Holy Father Benedict XVI’s message in London in Sept. 2010, “Dialogue is a truce side by side, face to face.” 

David Das, a Protestant pastor and secretary of ecumenical national Council of Churches in Bangladesh said that the "time has come to utilize the fruits of harmony with better and broader cooperation.” 

Bangladesh state minister for religious affairs Shajahan Mian said the visit of Cardinal Tauran would reinvigorate inter-faith dialogue and harmony. “This conference will build a strong and sustainable network between all faiths in Bangladesh,” he told the gathering. 

EC-CUIRD chairman Bishop Bejoy D’Cruze of Khulna said that it’s high time to ‘master evil by good’. “Through dialogue we can witness our faith and values. We know a little about God and by knowing about God from other faiths we can rediscover our God better.” 

Cardinal Tauran this morning  will attend a meeting with all Catholic bishops, episcopal commission members and religious superiors. He will offer a grand con-celebrated mass this evening followed by a reception. 

END

Original Article:

Bangladesh praised as interfaith leader

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...