Showing posts with label Bangladesh. Show all posts
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts

Jan 7, 2024

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in Dhaka on April 8, 2007. (Photo: AFP)

 ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান - একদার ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি জনবহুল দেশে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। এ বছরের মধ্যে তিনটি দেশেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর জের ধরেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো চিরাচরিত সাংঘর্ষিক রাজনীতি, পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং দমন-পীড়ণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

বিশে^র আটশ কোটির বেশি জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে। কিন্তু দরিদ্র সীমার নিচে বাসকারী পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক বাস করে এ অঞ্চলে। সাত দশকের বেশি আগে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও এ বিপুল দরিদ্র এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষম মানুষের জীবনের চরম দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সত্যিকার গণতন্ত্রের অভাব, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্চাচারী এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সীমাহীন দুর্নীতি এবং সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দরিদ্র, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নীতিমালা এবং কার্যক্রমের ঘাটতি।

দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশেই জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত, নির্যাতিত এবং ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীর অন্তভুক্ত। ভারতে যেমন মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সম্প্রদায় অবহেলা এবং নিপীড়ণের শিকার, তেমনি পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু এবং উপজাতি জনগোষ্ঠী অধিকতর বঞ্চিত এবং নির্যাতিত। নেপালে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ও মুসলিম, শ্রীলংকায় হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা একইভাবে অবহেলিত এবং পশ্চাৎপদ। 

Dec 22, 2023

বিজয়: ১৯৭১ বনাম ২০২৩

Photo: AFP

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্ত, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম, হাজারো স্বজনহারা পরিবারের আর্তনাদ এবং কোটি শরনার্থীর বাস্তুহারা হবার বেদনার মহাসাগর পেরিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয় সেদিন। 

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় সত্ত্বা যা ভেতো বাঙালিকে যোদ্ধা জাতিকে রুপান্তরিত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছে, বিজয়ের দিন বাঙালির সেই “চির উন্নত মম শির” উদযাপ‌নের দিন। এই সোনালি দিন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের শত বিপত্তির মুখেও অটল বিশ্বাস, সুদক্ষ পরিচালনা এবং “জ্ব‌লে পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়” সত্ত্বার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হবার দিন। 

বিপুল ত্যাগ এবং অমূল‌্য রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা, আর তাই বিজয়ের দিনে পাঁচ দশকের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বর্তমানকে মূল্যায়ন করে ভাবার দিন -- পাকিস্তানি শোষণ এবং বঞ্চণা থেকে বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমরা কি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়সহ সামগ্রিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি? 

Jun 25, 2023

জন্মভূমি ও শরণার্থী

Rohingya refugee in a camp in Bangladesh. (Photo: UNOPS)

বাড়ি সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা, শুধুমাত্র এই কারণেই নয় যে আমরা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, বড় হয়েছি এবং সেখানেই বাস করি। প্রকৃতপক্ষে বাড়ি বলতে ইট, পাথর, টিন, কাঠ বা বাঁশের কোন কাঠামো বোঝায় না। বাড়ি হলো সেই জায়গা যা ভালবাসা, মায়া এবং যত্নে লালিত।

আমাদের মাতৃভূমি বাড়িরই একটি বর্ধিত সংস্করণ, যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। 

কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আমরা ভালোবাসা এবং যত্নের বাইরেও মূলত জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই দীর্ঘ বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ সময় হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকুরি ও আয় রোজগারের পথ হারিয়ে নিঃস্ব এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।

এহেন অবস্থা সত্ত্বেও শান্তি ও ভরসার বিষয় ছিলো যে বিশ্বের কোটি কোটি ঘর-বাড়িহীন ও দেশহীন মানুষের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান। কারণ আর যাই হোক আমাদের ঘর-বাড়ি ও জন্মভূমি আছে, যা তাদের নেই। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-র তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখের মতো।

মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়, এবং তাদের অনেক নামে ডাকা হয় - উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ইত্যাদি। তারা সবাই তাদের প্রিয় স্থান - বাড়ি এবং স্বদেশ থেকে বঞ্চিত।

Jul 7, 2022

বিয়ের অনুষ্ঠানে আতিশয্য আর নয়

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য (Photo: Unsplash)

সময়কাল ২০২০। গোটা পৃথিবী করোনা মহামারীর প্রকোপে আক্রান্ত। বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় এক খ্রিস্টান এক যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে করোনা মহামারী সংক্রান্ত সরকারি বিধিমালা মেনে। গির্জায় বিয়ে আশীর্বাদ এবং বরের বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের মাত্র দশজন করে আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা নামার আগেই গোটা অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

করোনা মহামারীকালে এমন অনেক সংক্ষিপ্ত ও অনাড়ম্বর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ অবস্থায় এমন বিয়ে একপ্রকার অকল্পনীয় বটে।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য। এসব অনাবশ্যক বাগাড়ম্বরের সাথে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন মিল নেই বললেই চলে। 

এহেন জৌলুসপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার উল্টোপিঠে আমরা দেখতে পাই দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক দূরাবস্থা যেখানে বিশ্বের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ বাস করে যাদের মাথাপিছু দৈনিক আয় দুই মার্কিন ডলারেরও নিচে।  

ভারতীয় ধনী ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে বর্তমানে “বিগ ফ্যাট ইন্ডিয়ান ওয়েডিং” (Big Fat Indian Wedding) কথাটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে

২০১৮ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়েতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এ যাবত কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। 

Jun 17, 2022

ক‌রোনা মহামারী ও আমাদের পরিবেশগত পাপসমুহ

ইনানী বিচ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ (ছবিঃ এএফপি)

২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়। সারা বিশ্ব তখন করোনা মহামারীর প্রবল প্রতাপে বিপর্যন্ত। ইতালীয় একজন প্রাণীবিদ একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন যেখানে একটি জেলিফিশকে ভেনিস শহরের হ্রদের নির্মল জলে বিশাল অট্টালিকার প্রতিবিম্বের সাথে খেলা করতে দেখা যায়। করোনা মহামারীর কারণে শূন্য হয়ে পড়ার পূর্বে ভেনিস ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সে বছরের মার্চ মাসের ৯ তারিখে কঠোর লকডাউন শুরু হলে ভেনিস শহর পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। জেলিফিশের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং অনেকে বলতে শুরু করে, “প্রকৃতি আবার ভেনিস শহরকে ফেরৎ নিয়ে নিচ্ছে।”

ভেনিস তার অসামান্য পরিবেশগত সৌন্দর্য, নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে একাধারে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং ইউরোপের অন্যতম রোমান্টিক নগরী হিসেবে নন্দিত। কিন্তু ভেনিসের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য তার বোঝাস্বরুপ, কারণ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক এ নগরীতে ঘুরতে আসেন।        

সচরাচর দ্রুতগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও প্রমোদতরীর অন্তহীন চলাচলে ভেনিসের খাল ও হ্রদের জল বিরতিহীনভাবে আন্দোলিত হতে থাকে। তাতে ভেনিস যেন অসহায়ভাবে হাঁপিয়ে ওঠে। পর্যটনের এ দূষণ ছাড়াও নিকটবর্তী পোর্তো মার্ঘেরা শিল্প এলাকা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য নি:সরণ ভেনিসের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরুপ। আর তাই করোনাকালে জনজীবনে স্থবিরতা ভেনিসের পরিবেশের জন্য শাপে বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।

হাজারো মাইল দূরে বাংলাদেশের সাগরদুহিতা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে করোনা মহামারীকালে এক প্রাকৃতিক পুনর্জাগর লক্ষ্য করা গেছে। এর সূচনা হয় ২০২০ সালের ২৬ মার্চে দেশব্যাপী লকডাউনের পর।

এপ্রিল মাসে বহু বছর পর বঙ্গোপসাগরে ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গেছে। সাগরতটের প্রতিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সাগরলতা (Beach Morning Glory) আবার নতুন করে জেগে উঠতে শুরু করে। এ লতাগুল্মটি রেলরোড ভাইন নামেও পরিচিত। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্তহীন চলাচল, নির্বিচার দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে এ গুরুত্বপূর্ণ গুল্মটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে পরিবেশবিদগণ মনে করতেন।

যদিও কক্সবাজার ভেনিসের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র নয়, তবুও জনবহুল বাংলাদেশের এ নগরীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক বেড়াতে আসে। কিন্তু দু:খজনক হলো এ বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সিংহভাগ পৃথিবীর এ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না এবং যত্রতত্র ময়লা ও আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা করেন।

যদিও করোনা মহামারী গোটা বি‌শ্বের জন্য এক মহাবিপর্যয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, কিন্তু ভেনিস ও কক্সবাজারে প্রকৃতির নবজাগরণ ছিল এ মহাসংকটের কতিপয় ইতিবাচক দিকের মধ্যে অন্যতম। 

May 19, 2022

৫০ বছরে বাংলাদেশ: স্বাধীনতা, অধিকার ও উন্নয়ন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ প্রজ্জলন (ছবিঃ এএফপি)

 সারা বিশ্বের ন্যায় করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও ২০২১ সালটি ছিল জাতির জন্য একটি উৎসবমুখর ও তাৎপর্য্যপূর্ণ বছর। সে বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত ‘মুজিব বর্ষ’-র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানমালার বর্ণাঢ্য সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের জেষ্ঠ্যা কন্যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের শেষদিকে ডিসেম্বর মাসে জাতি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।

শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোটা বছর জুড়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তার চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালা মঞ্চস্থ হয়েছে ১৭-২৬ মার্চ। দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ একগুচ্ছ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে শামিল হয়েছেন।

মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে এরূপ উচ্চমার্গীয় শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শ্রেষ্ঠ দাবিদার। কারণ তার সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণেই বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। আক্ষরিক অর্থেই মুজিব ছিলেন এক মহান ও দূরদর্শী নেতা, যিনি তার গোটা জীবন জনগণের সুখ ও দু:খে পাশে থেকে অতিবাহিত করেছেন এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যে বারংবার অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এ কারণে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের অধিকাংশ সময়ই জেলখানায় কাটাতে হয়েছে।

স্বাধীনতার পর চরমভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে তাকে সর্বগ্রাসী দারিদ্র ও ক্ষুধাসহ এবং অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু জনগণ ও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল সর্বদা অতুলনীয় ও অতলস্পর্শী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে তার বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো এবং মর্মান্তিক অধ্যায়।

যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, তেমনিভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও দেশের জনগণ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী উদ্বেলিত ছিল। 

৫০ বছর আগের এই দিনে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি বাঙালি আনন্দ ও স্বস্তির অশ্রুজল বিসর্জন করেছিল। কেননা সেদিন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নি:শর্ত আত্মসমর্পণের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।

Sep 24, 2020

Covid-19 deals mortal blow to freedom of speech

A guard of honor pays tribute to late Awami League leader and former health minister Mohammed Nasim as officials and activists attend his burial at the Banani graveyard in Dhaka on June 14. (Photo: AFP)

Sirajum Munira, 28, a lecturer at Begum Royeka University in northern Bangladesh, was arrested under the country's controversial Digital Security Act (DSA) on June 14. Her arrest was soon followed by dismissal from her job.

Her crime was a one-line Facebook post that mocked Mohammed Nasim, the former home and health minister who died of Covid-19 on June 13. She later apologized and deleted the post, yet she became one of a string of arrests and abuses over social media posts related to the pandemic.

Munira’s derogatory remarks against Nasim, an influential politician from the ruling Awami League party elected to parliament six times, were inappropriate, but the reason for them is well known. Nasim’s 2014-19 tenure at the health and family welfare ministry was mired in massive corruption, which probably cost him a cabinet post in the current government. His legacy in the health sector continues.

Bangladesh has drawn strong criticism at home and abroad for its inability to stem Covid-19. From its first three reported cases on March 8, the country had recorded 115,786 cases and 1,502 deaths as of June 22.

Much of the blame lies with poor state health services — lack of resources and coordination, poor services, mismanagement and discrimination — that have become more exposed in the time of a pandemic. Even Nasim’s family couldn’t trust the state health services he once led and he was treated in a private facility, but he didn’t survive.

The top brass of the health sector have not only failed to adopt effective policies and courses of action to curb the spread of the virus but have also put the lives of medics in grave danger by not providing high-quality personal protective equipment in time. Media reports busted a syndicate that provided substandard N95 masks for doctors, putting their lives at risk.

Some 3,301 health workers including 1,041 doctors, 901 nurses and 1,360 medical staff have been infected with the coronavirus. About 50 doctors, most of them specialists, have died from Covid-19, according to the Bangladesh Medical Association.

On the other hand, dozens of ruling party leaders and local government officials have been accused of stealing food aid intended for the poor under the government’s relief schemes.

Yet criticizing has become more dangerous than ever as the state and non-state actors are quick to vent anger on whistleblowers to wash their hands.

Aug 19, 2020

Dreaming of a world free from violence against children

 

About one billion children have faced various forms of violence in the last year, according to the World Health Organization. (Image: Pixabay)

The recent brutal killing of three children at a state-run juvenile correction facility in southwest Bangladesh has brought to the fore state violence against children in the country.

At first it was reported the children died at Jessore Juvenile Development Center following a clash between two groups of inmates on Aug. 13. Later, a police investigation found the children died from injuries resulting from merciless beatings by staff. Public shock quickly turned to fury and strong calls for justice.

On the day, a guard of the facility — which holds 280 boys either convicted or awaiting trial for juvenile delinquencies including theft, rape and murder — allegedly ordered some boys to have haircuts, leading to a scuffle. The attack left the guard with a broken hand.

In response, the staff held a meeting and decided to beat up the children “to teach them a lesson.” Some 18 boys were allegedly sorted out, tied with ropes and had their mouths gagged with towels. They were beaten for an hour with steel pipes, sticks and cricket stumps before they passed out.

The seriously injured children died before they were rushed to a local hospital. Police detained five staff for the assault and launched a probe into the incident.

Such inhuman treatment of children in state-run juvenile rehabilitation centers is not new. In 2015, some 20 children cut their wrists protesting torture by staff in another juvenile center, forcing the government to suspend the head of the facility.

Child rights activists have complained on many occasions that these facilities were more for punishment of children than rehabilitation in the absence of effective correctional mechanisms and monitoring.

Aug 7, 2020

Extrajudicial killings are no mark of a civilized society

The scourge of extrajudicial killings has become commonplace in South Asia. (Photo supplied)

A group of rights activists defied the scorching sun on Aug. 3 and took to a busy street in Bangladesh’s capital Dhaka to stage a silent protest, holding placards to demand an end to the reign of extrajudicial killings in the country.

“Is Bangladesh a crossfire state?” read one placard.

“Crossfire” is a common euphemism for extrajudicial killings by law enforcers in Bangladesh. Other terms including "encounter," "gunfight" and "fire-in-self-defense" have a similar meaning.

The activists were enraged over the latest and one of the most talked about extrajudicial killings in Bangladesh in recent times.

On July 31, a police officer shot dead Sinha Mohammad Rashed Khan in Teknaf in Cox’s Bazar district. Khan, 36, was a retired army major who once served as an officer of the Special Security Force that provides protection to top government officials including the prime minister and foreign dignitaries. 

Police said the firing was in self-defense as Sinha pointed his gun when police sought a routine inspection of his vehicle and asked him to come out at a checkpoint. Police also allegedly found drugs in the car including 50 pieces of yaba (methamphetamine), a drug produced in Myanmar.

On numerous occasions, law enforcement agencies have presented similar stories of firing in self-defense and possession of drugs after crossfire deaths. It is a too common story in Teknaf, a beautiful coastal area just across from Myanmar and close to Rohingya camps sheltering over one million refugees.

Aug 2, 2020

Remembering a shepherd who smelled the sheep

A nun greets Archbishop Moses Montu Costa, CSC on his 22nd Episcopal Ordination anniversary in 2018 (Photo: Chittagong Catholic Archdiocese)

About three weeks after Holy Cross Archbishop Moses Montu Costa’s sudden and shocking demise, Bangladeshi Catholics at home and abroad continue to remember him online and offline every day by posting his photos, prayers for eternal rest and sharing memories.

After apparently recovering from Covid-19, he died from a brain hemorrhage caused by multiples strokes on July 13 at the age of 70.

Head of Chittagong Archdiocese, the cradle of Catholicism in Bangladesh, from 2011 until his death, Archbishop Costa earlier served as the bishop of predominantly indigenous Dinajpur Diocese from 1996 to 2011.

As secretary-general of the Catholic Bishops’ Conference of Bangladesh (CBCB) for more than a decade, he also served as chairman of the episcopal commissions for liturgy and prayer, youth, seminary and healthcare.

The prelate was a strong candidate for the post of archbishop of Dhaka in the nation’s capital to succeed Archbishop Cardinal Patrick D’Rozario, who is set to retire in October.

His death is indeed an irreparable loss, not only for Chittagong but also for the whole Bangladesh Church.     

It is common for minority Christians in South Asian countries to revere their bishops and archbishops as demigods.

Archbishop Costa won the hearts of many thanks to his extraordinary life and work in the services of the people of God for about four decades (including 24 years as a bishop) in various roles — a pastor in parishes, a director of future priests and teaching psychology and pastoral theology in the major seminary, and then as the head of Dinajpur and Chittagong dioceses.

He was able to overcome his human follies with great love for people as a model of a good pastor and church leader, very much in line with Pope Francis’ version of “a shepherd who smells the sheep.”

Jul 28, 2020

Poetry, art and songs of broken souls

 

A young Rohingya refugee reads ‘Exodus: Between Genocide and Me’ by Rohingya poet Mayyu Ali at a refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. (Photo: New Ali)


The river separates Arakan and Bengal

The river that Rohingya startle to hear

The crossing is to escape or to die

Where many are swallowed alive

The East becomes a roaring inferno

The West is world’s largest makeshift camp

Some leave their limbs behind, bodies are carried

Others cross with bullets embedded

A bullet in the chest is bigger than a heart

A body falls into the water

Another dances on the riverbank

The world just watches on

Whilst criminals erase their marks

The river cradles irrefutable evidence

Whilst the human solidarity is a lie

Waves bear witness to what victims suffer. (The Naf River)

This heart-rending poem embodies the agony of one of the world’s most persecuted minorities — Rohingya Muslims. And it has been composed by a young Rohingya poet in exile.

Mayyu Ali, 28, lives with his parents at Balukhali refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. He is on the front line of a cultural resurgence among the beleaguered community.

Born and brought up at Maungdaw in Rakhine (Arakan) state of Myanmar, Ali studied for a BA degreee in English at the University of Sittwe in the state capital before sectarian violence in June 2012 stopped his education in the second year, forcing him to work for an aid agency in Maungdaw.

His family fled following the Aug. 25, 2017, military crackdown. “My home and village were burned down by the Burmese security forces and my parents and I escaped to Bangladesh for our lives,” Ali told UCA News.

Jul 22, 2020

Corruption plagues battle against pandemic

Frauds by Mohammad Shahed and Dr. Sabrina are just a tip of iceberg of corruption during Covid-19 pandemic in Bangladesh (Photo: tbsnews.net)

With more than 14.7 million infections and 610,000 deaths in over seven months, COVID-19 could well be a catalyst for social, political and economic changes for good in the world.

Sadly, it has done little to nothing to trigger any positive outcome by eliminating social evils like corruption, both individual and institutional, in the national and global orders heavily dominated by extreme globalization and crony-capitalism.

Corruption costs a staggering US$3.6 trillion each year, United Nations chief Antonio Guterres said in 2018. Corruption in global health sectors is estimated at $455 billion annually, the highest, according to Berlin-based Transparency International.

During the COVID-19 outbreak, corruption has emerged in diverse and innovative forms at the expense of human lives.

Somalia, currently the world's most corrupt country, has seen medical equipment being stolen from hospitals and sold in markets openly.

Zimbabwe sacked its health minister for the purchase of low-quality testing kits. Greek police are investigating a hospital for releasing elderly patients before they had recovered from COVID-19 so that it could admit new patients for more income.

In March, police in London arrested a man for selling counterfeit testing kits. Recently, a hospital in Amritsar, India, has been accused of issuing fake COVID-19 positive certificates to healthy people to earn big money.

However, Bangladesh has moved extra miles in innovative and massive corruption. From buying substandard medical equipment to the distribution of food and cash aid to poor people, corruption has engulfed the entire COVID-19 response system in this South Asian country.

When intolerance marches to religious extremism

 

Muslims protest against a possible move to change status of State Religion Islam in the Constitution at Dhaka, the capital city of Bangladesh. (Photo: AFP)

On July 1 Bangladesh marked the 4th anniversary of a black day, but it passed silently as the nation continues to shiver under the spell of the Covid-19 pandemic.

On the fateful evening of 2016, five local extremists, linked with global terror outfit Islamic State (IS), barged into a café in capital Dhaka and opened fire, killing 20 guests, mostly foreigners.

The worst terror attack in Bangladesh's history was the culmination of a deadly campaign by homegrown Islamic extremists since 2013. The campaign left some 50 people dead, including atheist bloggers, liberal writers, publishers and academics, LGBT activists, religious minorities, and foreigners. Dozens of atheist bloggers and writers fled to Europe and America following death threats.

It was a lethal blow to Bangladesh's long-held image as a liberal Muslim country, and its economic and political fallout threatened the political future of ruling Awami League.

The government response was heavy-handed. Some 50 leaders and operatives of extremist outfits were eliminated in a series of police raids, and dozens were arrested and put on trial in the following months. Amid this massive crackdown, extremist outfits almost broke down.

On the other hand, political and non-political Islamists were fought on two fronts.

First, the leadership of Jamaat-e-Islami, the country's largest Islamist party and long-time opponent of Awami League, were put on trial, leading to executions and jailing by War Crimes Tribunals, for their crimes against during 1971 war of independence from Pakistan. The party is gasping for survival because of its weak organization, infighting, and lack of influential leaders.

Awami League was also successful in neutralizing some top radical Islamic groups like Hefazat-e-Islam (Protectors of Islam) allegedly by buying out their leaders.

In 2013, Hefazat organized a rally of half of million Muslims in Dhaka to demand a strict blasphemy law and execution of atheist bloggers for defaming Islam. The rally turned violent as protesters attacked vehicles, shops and clashed with police, leaving dozens dead and scores injured.

Four years since the café attack, has Bangladesh overcome religious extremism? Not really.

Three recent incidents show that extremism is alive and active in the naiton's social psyche, and the efforts to uproot it by brute force and political tact have failed.

Jun 24, 2020

Time to say adieu to extravagant weddings

 

In India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long events full of unnecessary grandeur. (Photo: Unsplash)

A Bangladeshi Christian couple recently tied the knot at a Catholic church in Gazipur district of central Bangladesh in the presence of 10 relatives.

The wedding Mass was followed by a simple reception including lunch attended only by a handful of relatives from both sides. The whole program came to an end before sunset.

This was a Covid-19-protocoled marriage ceremony allowed under government-mandated health guidelines. There are many such weddings in the pipeline. In normal circumstances, it would have been unthinkable.

In South Asian nations including India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long extravagant events full of unnecessary grandeur. They have little in common with culture and traditions.

It is in striking contrast to the staggering socioeconomic situation in South Asia, home to one third of the world’s poor who survive on less than US$2 per day.

Jun 14, 2020

South Asia's ticking Covid-19 time bomb

Funeral workers in Bangladeshi capital Dhaka bury a person who died from Coronavirus (Photo by Stephan Uttom/UCA News)
The Covid-19 pandemic might have hit South Asia a little late, but the damage has already been done.

More than three months after the ordeal began, the region’s 1.7 billion people, one fifth of the world’s population, are passing their days and nights in fear of a grave human tragedy.

Major South Asian countries have seen a jump in daily infections from a month ago. In early May, Bangladesh was recording 400-500 infections; now it averages 2,500 a day. India has been registering about 10,000 new cases daily, up from about 2,500 in May.

Infections and deaths continue to surge in the region every day, yet India, Pakistan, Bangladesh, Sri Lanka and Nepal have eased nationwide lockdowns that somewhat managed to tame the deadly virus but failed to stop it effectively. 

Current trends in most South Asian nations indicate that the easing of the restrictions and heath emergency rules are most likely to fuel the spread of the pandemic that has rocked even the richest and most developed countries in the West.

South Asia’s massive population, extreme poverty, weak human resources and poor healthcare systems provide perfect conditions for a looming humanitarian disaster.

From lofty dreams to brutal deaths

Migrants from Bangladesh, Afghanistan and Pakistan wait to be taken to a Spanish NGO's boat during the rescue of 65 migrants in the Mediterranean Sea off the Libyan coast on Feb. 10. (Photo: AFP)
The brutal killing of 26 Bangladeshi and four African men in Libyan desert town Mizda by a mafia gang has grabbed global attention over the scourge of human trafficking.

Another 11 Bangladeshis, seriously wounded in the attack on May 28, were admitted to hospital. 

The horrific tragedy sent shockwaves across Bangladesh and triggered a massive media and public outcry. This was the worst massacre of Bangladeshi people in a foreign land since the country’s independence from Pakistan in 1971.

Requests from families and relatives to bring back the bodies to Bangladesh fell on deaf ears and the victims were reportedly buried where they were killed.

Media investigations revealed that the dead and the injured were victims of people smuggling and most of them were headed for Italy, which is just across the Mediterranean Sea from Libya.

Bangladesh stopped legal migration to Libya since the start of its civil war after the fall of Moammar Gadhafi in 2011, yet traffickers continued to operate effectively to smuggle Bangladeshis time and again.

The latest revelations prompted a manhunt by police and an alleged kingpin, Kamal Uddin ails Haji Kamal, accused of trafficking hundreds of Bangladeshis to Libya since 1997, was arrested.

Kamal, 55, is known as a haji who made the hajj pilgrimage to Mecca, philanthropist and respected man in his village in Kushtia district of western Bangladesh.

Lawmen alleged that Kamal used his tile and construction business as a front for human trafficking.

In a video interview, Tarikul Islam, one of the massacre survivors, recalled how he paid 450,000 taka (US$5,294) to one of Kamal’s agents and joined a group of 30 men who traveled from Bangladesh with valid passports and tourist visas via Nepal, Dubai and Egypt to finally reach Benghazi in Libya six months ago.

The agent in Libya sold them to a mafia gang on the way to Tripoli from Benghazi and they were locked up in a camp with another nine Bangladeshi men and dozens of Africans including Sudanese and Egyptians.

The mafia gang demanded US$12,000 from each of the inmates for their release and brutally tortured them with electric shocks and beatings with iron pipes every day. They were not given enough food and water, so some of them died.

Presumably frustrated over their confinement and abuse, a group of inmates attacked and killed one of their captors. Retaliation came with a barbaric revenge attack which left 30 murdered by machine gun fire.     

Such savagery is a tragic result of the unbridled scourge of human trafficking inflicted on poor people from Bangladesh and elsewhere.

Home, homeland and aliens

Rohingya refugees arrive in Bangladesh from Rakhine state of Myanmar in 2017 (Photo: AFP)

Home is a place always close to our hearts, not only because we were born, grew up and belong there but also because home is where there is love and care.

Our homeland is an extended version of home, which in addition invokes our patriotism.

Due to the Covid-19 pandemic and long lockdowns, we have been staying home not only because we love and care but mostly to save lives. But this long confinement at home has not been loving and caring for everyone as people are under pressure from loss of work and income, mental anguish and fear of death.

The troubles are even more dire for tens of thousands of internal and overseas migrant workers who returned home penniless and hopeless.

Despite this turmoil, people should remain calm and consider themselves luckier than the millions of poor souls around the world who are deprived of home and homeland.

There are nearly 70.8 million forcibly displaced people in the world, according to United Nations refugee agency UNHCR.

People are displaced by natural disasters and conflicts, and they are referred to by many names — refugees, stateless, internally displaced persons, asylum seekers, etc.

Maybe we should call them aliens, because they are alienated from what we all love — home and homeland.

Jun 10, 2020

The pandemic and our ecological sins

People gather at a beach of Cox's Bazar, Bangladesh (Photo: AFP)

In mid-April, a biologist filmed a heartwarming video of a jellyfish gliding through clean waterways with reflections of the grand places of Venice, the Italian city that used to be one of the most popular tourist destinations in the world before the Covid-19 pandemic struck.

Venice has been deserted since pandemic-stricken Italy went into lockdown on March 9. The jellyfish video went viral on social media and some were elated that nature was taking back the city.

Venice, a world heritage site, is fondly called one of the most romantic cities in Europe thanks to its environmental, architectural and cultural attractions. Its heritage has also become a burden given that an estimated 30 million tourists visit every year.

Venice gasped as the water in its canals became turbid through the endless movement of speeding boats and cruise ships. In addition to pollution by tourism, petrochemical discharges from nearby Porto Marghera industrial zone were also blamed for damaging its ecology.

Thousands of miles away, Bangladesh’s beach city of Cox’s Bazar has also experienced a natural revival since the country went into a nationwide Covid-19 shutdown on March 26.

After many years, dolphins were spotted playing in the Bay of Bengal near empty beaches in April. Sagorlota (beach morning glory), a key component of beach ecology, returned and flourished. The herb, also known as railroad vine, was thought to be have become extinct in Cox’s Bazar due to unrestrained movement of tourists, pollution and the construction of buildings along the beaches.

While Cox’s Bazar does not attract many foreign tourists, it is the most popular destination for Bangladeshi tourists, who care too little for the world’s longest unbroken stretch of sandy beaches and leave them covered in litter.

The natural reset in Venice, Cox’s Bazar and other parts of the world might be one of the few positive aspects in this time of great difficulties for the world.

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...