Rohingya refugee in a camp in Bangladesh. (Photo: UNOPS) |
বাড়ি সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা, শুধুমাত্র এই কারণেই নয় যে আমরা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, বড় হয়েছি এবং সেখানেই বাস করি। প্রকৃতপক্ষে বাড়ি বলতে ইট, পাথর, টিন, কাঠ বা বাঁশের কোন কাঠামো বোঝায় না। বাড়ি হলো সেই জায়গা যা ভালবাসা, মায়া এবং যত্নে লালিত।
আমাদের মাতৃভূমি বাড়িরই একটি বর্ধিত সংস্করণ, যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে।
কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আমরা ভালোবাসা এবং যত্নের বাইরেও মূলত জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই দীর্ঘ বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ সময় হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকুরি ও আয় রোজগারের পথ হারিয়ে নিঃস্ব এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।
এহেন অবস্থা সত্ত্বেও শান্তি ও ভরসার বিষয় ছিলো যে বিশ্বের কোটি কোটি ঘর-বাড়িহীন ও দেশহীন মানুষের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান। কারণ আর যাই হোক আমাদের ঘর-বাড়ি ও জন্মভূমি আছে, যা তাদের নেই।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-র তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখের মতো।
মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়, এবং তাদের অনেক নামে ডাকা হয় - উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ইত্যাদি। তারা সবাই তাদের প্রিয় স্থান - বাড়ি এবং স্বদেশ থেকে বঞ্চিত।