Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in Dhaka on April 8, 2007. (Photo: AFP) |
ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান - একদার ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি জনবহুল দেশে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। এ বছরের মধ্যে তিনটি দেশেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর জের ধরেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো চিরাচরিত সাংঘর্ষিক রাজনীতি, পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং দমন-পীড়ণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
বিশে^র আটশ কোটির বেশি জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে। কিন্তু দরিদ্র সীমার নিচে বাসকারী পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক বাস করে এ অঞ্চলে। সাত দশকের বেশি আগে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও এ বিপুল দরিদ্র এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষম মানুষের জীবনের চরম দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সত্যিকার গণতন্ত্রের অভাব, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্চাচারী এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সীমাহীন দুর্নীতি এবং সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দরিদ্র, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নীতিমালা এবং কার্যক্রমের ঘাটতি।
দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশেই জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত, নির্যাতিত এবং ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীর অন্তভুক্ত। ভারতে যেমন মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সম্প্রদায় অবহেলা এবং নিপীড়ণের শিকার, তেমনি পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু এবং উপজাতি জনগোষ্ঠী অধিকতর বঞ্চিত এবং নির্যাতিত। নেপালে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ও মুসলিম, শ্রীলংকায় হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা একইভাবে অবহেলিত এবং পশ্চাৎপদ।