Sep 3, 2025

অপরূপ শ্যামদেশ

Wat Pho on the bank of Chao Phraya River in Bangkok, Thailand

পৃথিবীটা হলো একটি বই। যারা বিদেশ ভ্রমণ করে না, তারা শুধুমাত্র একটি অধ্যায় পাঠ করে। মণীষীর এই উক্তি যে বাস্তবসম্মত তা সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করবেন। কারণ, দেশ ভ্রমণ শুধুমাত্র বিনোদন নয় পাশাপাশি মূল্যবান শিক্ষা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের অপূর্ব সুযোগ। বলাই বাহুল্য দেশ ভ্রমণ করতে হলে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াও পর্যাপ্ত অর্থ প্রয়োজন হয়। বিশ্বের উন্নত দেশের মানুষের কাছে বিদেশ ভ্রমণ ডালভাত হলেও অনুন্নত দেশের মানুষের কাছে অনেকটাই বিলাসিতাতুল্য। কখনো কখনো কাজের সুবাদে বা ভাগ্যক্রমে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত কেউ কেউ বিদেশ গমনের সুযোগ পান। আমিও সেই দলের একজন যারা কাজের সুবাদে দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যাণ্ডে দশবার এবং শ্রীলংকায় একবার (২০১২) অফিসের কাজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ২০১২ ও ২০১৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছি। বলতে গেলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যাণ্ড আমার জন্য অনেকটা “সেকেন্ড হোম।” বিগত বছরগুলোতে থাইল্যাণ্ডের রাজধানী ব্যাংকক ছাড়াও পর্যটন নগরী পাতায়া ও হুয়া হিন ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণ ছাড়াও কিছু ভ্রমণ ছিল বিনোদন ও শিক্ষামূলক।

১৯৩৯ সাল পর্যন্ত থাইল্যাণ্ডের নাম ছিল সিয়াম রাজতন্ত্র (Kingdom of Siam), বাংলায় শ্যামদেশ। বর্তমান আনুষ্ঠানিক নাম থাই রাজতন্ত্র (Kingdom of Thailand)। শত শত বছর দেশটি “চাক্রি” (Chakri) রাজবংশের দ্বারা শাসিত হয়ে আসছে এবং দেশটির বর্তমান অবস্থানের পেছনে রাজাদের অনেক অবদান আছে। বর্তমানে আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকলেও রাজ পরিবারকে থাইরা অনেক সম্মান এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখে। রাজ পরিবার সেদেশে সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং বিশেষ সুবিধা ভোগ করে। 

থাইল্যাণ্ড এশিয়ার কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম যারা কোন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উপনিবেশ হয় নি কখনো। থাইল্যাণ্ড উপসাগর বিধৌত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা। থাইল্যাণ্ড তার দৃষ্টিনন্দন অগুনতি সাগর সৈকত, সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, নজরকাড়া রাজপ্রাসাদ এবং মহামতি গৌতম বুদ্ধের বিশালাকার মূর্তি সম্বলিত অসামান্য সব বৌদ্ধ মন্দির প্রভৃতির জন্য জনপ্রিয়। এছাড়াও থাইল্যাণ্ড বিশ্বখ্যাত তার হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, মার্কেট এবং বিনোদন সেক্টরের জন্য। যারা থাইল্যাণ্ড ভ্রমণ করেছেন তারা জানেন দেশটি পর্যটকদের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, কারণ পর্যটন এবং সংশ্লিষ্ট খাত হলো থাইল্যাণ্ডের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। কোভিড মহামারীকালে এ কারণে দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে, যা এখনো পরিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে নি।

আকাশপথে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যেতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লাগে। থাই এয়ারওয়েজ, বাংলাদেশ বিমান এবং ইউএস বাংলাসহ বিভিন্ন বিমান কোম্পানি প্রতিদিন ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। আসা-যাওয়ার ভাড়া কোম্পানি ও সময়ভেদে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো। যাত্রার দুই/একমাস আগে টিকিট ক্রয় করলে কিছু কম ভাড়া গুনতে হয়, দেরি হলে বেশি লাগে। থাই ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এখনো ভিসা-ফ্রি চুক্তি হয় নি, তাই ভিসা ছাড়া থাইল্যাণ্ড ভ্রমণ অসম্ভব। ঢাকাস্থ থাই দূতাবাস টুরিস্ট, মেডিকেল, বিজনেসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা ইস্যু করে থাকে যথাযথ আবেদন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে থাইল্যাণ্ড সরকার ই-ভিসা চালু করেছে যার জন্য অনলাইনে আবেদন, কাগজপত্র জমা এবং পেমেন্ট করতে হয়। 

আমি প্রতিবার থাই এয়ারওয়েজে ব্যাংকক গিয়েছি এবং ঢাকা ফিরেছি। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন একটি প্রাইভেট বিমান কোম্পানি। ঢাকা থেকে ব্যাংককের প্রধান সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পৌঁছতে দুই ঘন্টার বেশি সময় লাগে। বর্তমানে সংস্থাটি ঢাকা-ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে - বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:৩৫ মিনিট এবং রাত ২:৩৫ মিনিট। ব্যাংকক-ঢাকা ফ্লাইটের সময় - থাই সময় সকাল ১০:৩৫ মিনিটি এবং রাত ১১:৫০ মিনিট। আমি বেশিরভাগ সময় দুপুরের ফ্লাইটে গিয়েছি ও সকালের ফ্লাইটে ফিরেছি নিজের সুবিধার্থে যেহেতু রাতে গেলে ঘুম ব্যাঘাতের ব্যাপার থাকে। থাই এয়ারওয়েজ সময় রক্ষা ও সেবা মানের দিক থেকে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।

প্রথমবার ব্যাংকক যাই ২২ মার্চ, ২০০৯। সেটাই ছিল আমার প্রথম বিদেশ যাত্রা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেবারই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের আগ মূহুর্তে থাই এয়ারওয়েজ টিজে ৩২২ প্লেনের চাকায় কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। সেজন্য প্লেনে চেক-ইন করার পরও আমিসহ সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রায় ছয় ঘন্টা অপেক্ষা শেষে সন্ধ্যা সাতটা পয়তাল্লিশ মিনিটে প্লেনটি যাত্রা শুরু করে। যেখানে থাই সময় বিকাল পাঁচটায় ল্যান্ড করার কথা, সেখানে বিমান পৌঁছায় রাত সাড়ে দশটায়। 

সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট ৮,০০০ একরের বিশাল এরিয়া জুড়ে অবস্থিত। কতো দেশের পতাকাবাহী বিমান উঠছে, নামছে এবং অপেক্ষমান। প্লেন থেকে নেমে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত যেতে ৩০/৪০ মিনিট লেগে যায়। যেতে যেতে কতো দেশের কতো ধর্ম ও বর্ণের মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ে। কেউ আসছে কেউ যাচ্ছে, আবার কেউ অপেক্ষা করছে। সুবর্ণভূমি যেন বিশ্বেরই এক টুকরো চিত্র। অত্যন্ত আধুনিক, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্মার্ট সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট ২০০৬ সালে চালু হয়। আগে ব্যাংককের প্রধান এয়ারপোর্ট ছিল ডন মুয়েং। সে এয়ারপোর্টটি এখনো চালু আছে যদিও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট তুলনামূলক কম আসা যাওয়া করে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে পোপ ফ্রান্সিস যখন থাইল্যাণ্ড সফরে যান তখন তিনি ডন মুয়েং এয়ারপোর্ট ব্যবহার করেন।

যাই হোক রাত্রিবেলা শ্যামদেশ পৌঁছে কিছুতেই ঘোর কাটছিল না, যা দেখছি শুধু মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি আর ভাবছি কবে আমাদের এয়ারপোর্ট এমন সুন্দর ও স্মার্ট হতে পারবে। ইমিগ্রেশন পেরিয়ে ও লাগেজ সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যাওয়া কিছু মার্কিন ডলার ভাঙ্গিয়ে থাই বাহত (স্থানীয় মুদ্রা) সংগ্রহ করলাম। কিন্তু কপাল খারাপ আমাকে নিয়ে যেতে অফিস থেকে যাকে পাঠানো হয়েছিল তাকে কোনভাবেই খুঁজে পেলাম না। শেষ পর্যন্ত প্রাইভেট ট্যাক্সি ভাড়া করে এয়ারপোর্ট থেকে ননথাবুড়িতে অবস্থিত অফিসের দিকে রওনা দিলাম। রাতের আলো ঝলমল ব্যাংকক নগরী দেখতে ভালোই লাগছিল। কিন্তু আমার কোন ধারণা ছিল না এয়ারপোর্ট থেকে অফিসের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি। আর তাই ভাড়া বাবদ অনেকগুলো অর্থ গচ্চা দিতে হলো। আমরা কাছে ঠিকানা ছিলো, তাই গন্তব্যে পৌঁছতে কোন সমস্যা হয় নি। 

এক সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে আরো পাঁচজন বিদেশি বন্ধুর সাথে পরিচয় হলো - জুডিথ জেলেন্জ (মঙ্গোলিয়াবাসী হাঙ্গেরীয়), ডানিয়েল টে (সিঙ্গাপুর), আয়াজ গুলজার (পাকিস্তান), কাঙ্গনা কেও (কম্বোডিয়া) এবং প্রিয়াতনো আর্ডি (ইন্দোনেশিয়া)। বর্তমানে আমি ব্যতিত তাদের কেউ আমার প্রতিষ্ঠান ইউকানে কর্মরত নেই। তবে তাদের সবার সাথে বন্ধুত্বসুলভ যোগাযোগ অব্যহত আছে। পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রতি সন্ধ্যায় আমরা তৎকালীন চিফ এডিটর ব্রিটিশ নাগরিক জুলিয়ান গিয়ারিং-য়ের নেতৃত্বে বাইরে ঘুরতে ও ডিনার করতে যেতাম। জুলিয়ান আমাদেরকে ব্যাংককের অপূর্ব সুন্দর নদী চাও ফ্রায়া, তার তীরবর্তী সাংগ্রিলা হোটেল, নিকটবর্তী দি মল শপিং সেন্টার, বিখ্যাত সিয়াম প্যারাগন মল এবং সিনেমা দেখাতে নিয়ে যান। এছাড়াও তিনি জানান কেনাকাটা করতে চাইলে আমরা চাতুচাক মার্কেটে যেতে পারি যেটা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রবিবার বসে। ব্যাংকক ও অন্যান্য শহর নানা ধরনের সুস্বাদু স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত। স্বল্প মূল্যে কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবখানে পাওয়া যায়।

কয়েকদিনেই বুঝতে পারলাম থাইরা মানুষ হিসেবে খুবই শান্ত, নম্র, ভদ্র, আন্তরিক এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ইংরেজি ভাষা না জানলেও তারা যেকোনভাবে বিদেশি মানুষকে সাহায্য করতে কার্পন্য করে না। তাদের মধ্যে মানুষকে ঠকানোর কোন চিন্তাও কাজ করে না। নিজ দায়িত্বে তারা সর্বত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে। রাস্তাঘাট বা রেস্টুরেন্ট যেখানেই হোক নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া কোথাও কেউ ময়লা ফেলে না। তারা অনেক আনন্দপ্রিয়, কিন্তু সবকিছু করে নিয়মের মধ্যে থেকে। 

ব্যাংককে ঠিকানা জানলে ও কিভাবে যেতে হয় জানলে যাতায়াত করা কোন ব্যাপার না। পুরো শহর জুড়ে মেট্রো রেল চলে, যা ব্যাংকক ট্রেন সার্ভিস (বিটিএস) নামে পরিচিত। ট্যাক্সি ও মোটর সাইকেল সুলভে ভাড়া করা যায়। বাস ও ট্রেনে করেও বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়, ভাড়াও কম। ব্যাংককের নৈশ জীবন বিখ্যাত ও কুখ্যাত, তবে সবখানে নিয়মমাফিক চলে, তাই অপরাধের মাত্রা খুবই কম। আরো একটা জিনিস জানলাম যে ব্যাংকক ও তার আশেপাশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি স্বচ্ছল আর উত্তরের মানুষেরা কিছুটা গরীব। আর তাই আলো ঝলমলে অত্যাধুনিক শহরেও কয়েক জায়গায় ভিক্ষুক দেখলাম এবং আরো দেখলাম গরীব মানুষের কিছু দরিদ্র আবাস। বিশাল শহরে কখনো কখনো ট্রাফিক জ্যাম হয় তবে তা ঢাকার মতো দুর্বিসহ নয়। জ্যাম এড়াতে চাইলে বিটিএস বা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে চলে।

ট্রেনিং শেষে ২৭ তারিখ বিকেলে জুলিয়ান, তার থাই স্ত্রী সিয়াম নানারা, হাঙ্গেরীয় ফটো এডিটর ইরিয়া হালাজ, জুডিথ, আয়াজ এবং আমি গাড়িতে করে ব্যাংকক থেকে প্রায় দুইশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হুয়া হিন যাত্রা করি। ইরিয়া তার প্রিয় মঙ্গোলিয়ান কুকুর মি. সাগানাকে সাথে নিয়ে যায়। 

রাত দশটায় আমরা নির্ধারিত সাবাই জাই রিসোর্টে পৌঁছাই এবং দেখলাম সি বিচ একদম লাগোয়া। কাপড় বদল করে আমরা খুব দ্রুত বিচে চলে যাই। আমি বেশি উত্তেজিত ছিলাম কারণ বাংলাদেশে থাকলেও আমার এর আগে কোনদিন সমুদ্র দর্শন করা হয় নি। তাই জীবনে প্রথম সমুদ্র দেখলাম ও স্পর্শ করলাম থাইল্যাণ্ড গিয়ে। অনেক রাত পর্যন্ত বিচের পাড়ে ছিলাম এবং অনেক গল্প করলাম। হালকা ডিনার করে আবারো কিছুক্ষণ সাগর পাড়ে হেঁটে তারপর ঘুমাতে যাই। 

হুয়া হিন মূলত থাইদের মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন শহর। বিদেশিরা এখানে কম যায়। তাই অনেক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। হুয়া হিন দুইদিন ছিলাম এবং এ সময়ের মধ্যে সেখানকার দর্শনীয় স্থান - বানরের জন্য খ্যাত চপস্টিক মাউন্টেন, খাও সামরিয়ত ন্যাশনাল পার্ক, খাও গোলক মাউন্টেন ও বিচ এবং হুয়া হিন শহরে ঘুরে বেড়াই। 

৩০ মার্চ দুপুরে আমরা ব্যাংকক ফিরে আসি, কারণ আমার ও আয়াজের ফেরার তারিখ ছিল ৩১ মার্চ সকালে। বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিতে খুবই খারাপ লাগছিল এবং আরো মন খারাপ হচ্ছিল সুন্দর দেশটিকে ছেড়ে যেতে। কিন্তু ফিরে যেতে তো হবেই, উপায় নেই। 

এরপর আরো নয়বার থাইল্যাণ্ড যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ব্যাংকক ছাড়াও হুয়া হিন এবং প্রমোদ নগরী পাতায়া গিয়েছি একাধিকবার। কিন্তু প্রথম প্রেম যেমন ভোলা যায় না, তেমনি প্রথম বিদেশ ভ্রমণটি স্মৃতির মণিকোঠায় চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে।।

লেখাটি সাপ্তাহিক প্রতিবেশী বড়দিন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সংখ্যায় ভ্রমণ কাহিনী বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।


No comments:

Post a Comment

অপরূপ শ্যামদেশ

Wat Pho on the bank of Chao Phraya River in Bangkok, Thailand পৃথিবীটা হলো একটি বই। যারা বিদেশ ভ্রমণ করে না, তারা শুধুমাত্র একটি অধ্যায় পাঠ ...