Jun 10, 2020

The last guardian of Dhaka's Armenian heritage

Armenian Apostolic Church of Holy Resurrection in Dhaka (Courtesy: Armenian Church of Bangladesh)

The two-storied white-colored church sparkles and stands quietly in the midst of a flurry of high-rise residential buildings in Armenian Street of Armanitola in the old part of Dhaka.

Dozens of tombs in the adjacent graveyard recall the Armenians who lived and died in Bangladesh's capital.

Built in 1781, the Armenian Apostolic Church of Holy Resurrection is not just a historic landmark but also bears testimony to Dhaka's once-thriving Armenian community, which was credited with shaping the economic and social life of the city in the 18th and 19th centuries.

Set up in 1868, Holy Cross Catholic Church, not far from the Armenian church, has a sizable Christian community.

Armenian Street and the Armanitola area are testament to a bygone era. However, much of the glorious legacy of Armenians in Dhaka including the church could have been lost without Michael Joseph Martin, the last resident Armenian of Dhaka.

Martin was the warden of the church for more than three decades. His singlehanded efforts were instrumental in reviving the church from a shambles, literally.

Martin's three daughters — Eleanor, Christine and Cheryl — settled in Canada years ago, but he stayed in Bangladesh with his wife, Veronica, to take care of the church.

Veronica passed away in 2003 and was buried in the church's graveyard, but Martin stayed put until his declining health forced him to move to Canada in 2014.

Before leaving, he passed on the wardenship to Armen Arslanian, an Armenian businessman based in Los Angeles in the US.

Martin died in Canada peacefully on April 10 at the age of 89. His demise brought an end to an era of Armenians in Dhaka that is now part of history.

The dreadful influence of religious fundamentalism

More than 100,000 followers defy a ban on public gatherings to attend the funeral of Islamic preacher Maulana Zubayer Ahmad Ansari in his home village in Bangladesh on April 18. (Photo Supplied)

"Speak no ill of the dead" is an old saying, so it is inappropriate to ask Maulana Zubayer Ahmad Ansari, a prominent Islamic preacher and politician in Bangladesh, why he had to die in the time of the COVID-19 pandemic.
Ansari, 56, was a firebrand preacher and leader of Khelafat Majlish, an Islamic political party, who had a large in his home district of Brahmanbaria and in other parts of the country.
More than 100,000 of his diehard followers defied a ban on public gatherings amid an ongoing nationwide shutdown to attend his funeral at his home village on April 18. It made national and international headlines and triggered fear about speedy community transmission of the coronavirus.
Social media sites were flooded with criticism and memes, and many grabbed the chance to hit out at the people of Brahmanbaria, a district known for religious fundamentalism and whose villagers are infamous for deadly violence over trivial matters such as quarreling about food quality at wedding ceremonies, cutting branches and so on.
The government was upset and vented anger by transferring some local officials, although they said they didn't permit the gathering but were helpless to stop it.
In fact, no local administration can stop such large crowds from honoring Islamic leaders, whether dead or alive.
Why do people take such risks to honor Islamic preachers and leaders? And why does the government remain toothless in stopping such gatherings?
A local journalist asked an Ansari follower what made him defy restrictions on movement. The man said he knew about the risks but he was "carried away by emotions."

May 22, 2020

মূল্য‌বো‌ধের খোঁ‌জে



জীব‌নে অ‌নেক কিছু হ‌তে চে‌য়ে‌ছিলাম- ধর্মযাজক, শিক্ষক, সরকা‌রি বা এন‌জিও কর্মকর্তা,  আরো ক‌তো কি! কিন্তু শেষ পর্যন্ত হ‌য়ে‌ছি সাংবা‌দিক। ২০০৮ খ্রিস্টা‌ব্দে এ‌শিয়া‌ভি‌ত্তিক আন্তর্জা‌তিক সংবাদ সংস্থা UCAN (www.ucanews.com)-এ যোগদান করি অ‌নেকটা কাকতালীয়ভা‌বে, এবং শূন্য থে‌কে শুরু ক‌রে কালক্র‌মে সাংবা‌দিকতা হ‌য়ে উ‌ঠে আমার পেশা, নেশা ও জীবনাহ্বান। আমার সাংবা‌দিক জীব‌নের যাত্রাপ‌থের কিছু কথা, অ‌ভিজ্ঞতা ও উপল‌ব্ধি সহভা‌গিতা করার সু‌যোগ ঘ‌টে‌ছে যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বন্ধু Leonard Bonny Plama এবং কানাডা নিবাসী John Sumon Gomes-র ‌বি‌শেষ আয়োজ‌নে। ব‌নি ও জন এ ক‌রোনা মহামারীর কা‌লে তা‌দের সৃজনশীলতার সদ্ব্যবহার ঘ‌টি‌য়ে "মূল্য‌বো‌ধের  খোঁ‌জে" নামক লাইভ আড্ডাতে বি‌ভিন্ন বাংলা‌‌দেশী ও প্রবাসী ব্য‌ক্তি ও প‌রিবা‌রের জীবন দর্শন, অ‌ভিজ্ঞতা ও উপল‌ব্ধি‌কে প্রকাশ করার সু‌যোগ ক‌রে দি‌য়ে‌ছেন। তাদের এ অ‌ভিনব ও সুন্দর প্রয়াস‌কে সাধুবাদ জানাই।

‌নি‌চের লিং‌কে আমার সা‌থে ব‌নির ক‌থোপকথ‌নের ইউ‌টিউব ভি‌ডিও‌টি পাওয়া যা‌বে। আগ্রহীগণ চাই‌লে এক নজর বোলা‌তে পারেন। য‌দি ভাল লাগে লাইক, ক‌মেন্ট ও শেয়ার কর‌বেন এবং জন ও ব‌নির প্র‌যোজনায় চা‌লিত Seeking of Values চ্যা‌নেল‌টি সাবস্ক্রাইব করুন।

একজন সাংবাদিকঃ খ্রীষ্ঠিয় মূল্যবোধ ও বাস্তবতার সংবাদ কর্মী



May 17, 2020

লড়াই হোক আরো অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে



ন‌ভেল ক‌রোনা ভাইরাসের ভয়ংকর থাবায় দেশ হ‌তে দেশান্ত‌রে জনজীবন আজ পর্যুদস্ত। এ মহামারী আজ বিশ্বব্যাপী সামা‌জিক, অর্থ‌নৈ‌তিক, রাজ‌নৈ‌তিক ও ধর্মীয় অঙ্গনসহ জগত ও জীব‌নের সকল ক্ষেত্র‌কে উলট-পালট ক‌রে দি‌য়ে‌ছে, সর্বত্র আজ দীর্ঘ লকডাউন ও সামা‌জিক দূরত্ব অবলম্বন ক‌রে জীবন বাঁচা‌নো ম‌রিয়া প্রয়াস চালা‌নো হ‌চ্ছে।

ক‌তিপয় ধর্মীয় নেতা ও নী‌তিবাদীগণ এ মহামারী ও তার ভয়ংকর প্রভাব‌কে মানব সমা‌জের সুদীর্ঘকা‌লের "প‌রি‌বেশতগত পাপের" বিরু‌দ্ধে "প্রকৃ‌তির প্র‌তি‌শোধ" হি‌সে‌বে আখ্যা‌য়িত ক‌রে‌ছেন।

অল্প বা অ‌ধিকমাত্রায় যাই হোক না কেন আমরা সক‌লে পাপী ব‌টে, কারণ আমরা ব্য‌ক্তিগত ও প্রা‌তিষ্ঠা‌নিকভা‌বে নি‌জে‌দের ম‌ধ্যে বহুকাল ধ‌রে নানা ধর‌ণের ভাইরাস‌কে লালন ক‌রে‌ছি। সেসব ভাইরাস কোনভা‌বে ক‌রোনা ভাইরা‌সের চে‌য়ে কম ভয়াবহ নয় এবং এ মহামারীকা‌লে যখন গোটা পৃ‌থিবী প্রাণ বাঁচা‌তে আর্তনাদ কর‌ছে, সে সম‌য়েও এসব ভাইরাস দোর্দণ্ড প্রতা‌পে তা‌দের স্বরুপ দে‌খি‌য়ে চ‌লে‌ছে।

ক‌রোনা ভাইরা‌সের স‌ঙ্গে এসব ভাইরা‌সের একমাত্র পার্থক্য হ‌লো এ‌টি কোন শ্রেণী ভোদা‌ভেদ ক‌রে না। ধনী ও গরীব, ক্ষমতাবান ও ক্ষমতাহীন ব্য‌ক্তি, প্র‌তিষ্ঠান ও জা‌তির প্র‌তি ক‌রোনা ভাইরাস সমতার নী‌তি‌তে চরমভা‌বে বিশ্বাসী।

আজ আমরা যখন প্রাণ বাঁচা‌তে ম‌রিয়া হ‌য়ে নি‌জে‌দের‌কে গৃহবন্দী ক‌রে রাখ‌ছি, আমা‌দের ম‌নে রাখা উ‌চিত যে যুগ যুগ ধ‌রে আমরা নানা বন্য প্রাণী ও পা‌খি‌কে নি‌জে‌দের বন্য আন‌ন্দের আশ মেটা‌তে খাঁচায় বন্দী ক‌রে রে‌খে‌ছি। আসুন পেছন ফি‌রে দে‌খি আমা‌দের কী কী পা‌পের কার‌ণে ক্রুদ্ধ প্রকৃ‌তি আজ চরম প্র‌তি‌শোধ নি‌চ্ছে।

চী‌নের নৈ‌তিক দেউ‌লিয়াত্ব

যুগ যুগ ধ‌রে চরম সমাজতন্ত্রী চীন খুব দক্ষতার সা‌থে মানবা‌ধিকার ও ধর্ম‌কে মারাত্নকভা‌বে পা‌য়ের তলায় দলে এ‌সে‌ছে, মতপ্রকা‌শের স্বাধীনতা ও বিরুদ্ধ মত‌কে ভয়ংকরভা‌বে স্বব্ধ করে‌ছে এবং চী‌নের মূল ভূখন্ড ও হংকং‌য়ের ম‌ধ্যে বি‌শেষ স্বায়ত্বশা‌সিত অঞ্চ‌লে গণত‌ন্ত্রের সামান্যতম আকাংখা‌কে পি‌ষে ফে‌লেছে।

চী‌নের সাম্প্র‌তিককা‌লের ব্যাপক অর্থ‌নৈ‌তিক উন্নয়ন ও চী‌নের সা‌থে লাভজনক বা‌ণি‌জ্যিক সম্পর্ক রক্ষার খা‌তি‌রে বি‌শ্বের তাবৎ প্রভাবশালী দেশগু‌লো চী‌নের এসব সর্বগ্রাসী ও নির্মম রাষ্ট্রীয় নী‌তি বন্ধ কর‌তে কোন কার্যকর কোন উ‌দ্যোগ নি‌তে ব্যর্থ হ‌য়ে‌ছে।

চী‌নের এ‌হেন দমনমূলক ও হঠকারী রাষ্ট্রীয় ন‌ী‌তি স‌ত্ত্বেও বোদ্ধারা ধারণা ক‌রে‌ছি‌লেন এক‌বিংশ শতক হ‌তে চ‌লে‌ছে চীনা শতক। কিন্তু নির্মম প‌রিহাস হ‌লো চীন অত্যন্ত লজ্জ্বাস্করভা‌বে ক‌রোনা ভাইরাস (কো‌ভিড-১৯) নিয়ন্ত্র‌ণে ব্যর্থ হ‌য়ে‌ছে। প্রাথ‌মিক পর্যা‌য়ে ক‌রোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংবাদ প্রচা‌র বাধাগ্রস্ত করা, এমন‌কি যে চি‌কিৎসক প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত কর‌তে সক্ষম হন তা‌কে শা‌স্তির ব্যবস্থা প্রমাণ ক‌রে চীন‌কে কোনভা‌বে বিশ্বাস করা চ‌লে না।

চীনা ক‌মিউ‌নিস্ট পা‌র্টির অভ্যন্তরীণ দুরাচার ও দ্বিচা‌রিতা বিশ্বজনীন এক মহাদু‌র্যো‌গের ক্ষেত্র প্রস্তুত ক‌রে‌ছে। এখন বিশ্বজু‌ড়ে চীন ব্যাপক সমা‌লোচনার সম্মুখীন এবং আন্তর্জা‌তিক আদাল‌তে মামলার হুম‌কি‌তে প‌ড়ে‌ছে। বাস্ত‌বিক অ‌র্থেই চীন এমন নৈ‌তিকভা‌বে দেউ‌লিয়া যে এক বৈ‌শ্বিক পরাশ‌ক্তি হওয়ার কোন যোগ্যতা তার নেই।

‌রোম যখন পুঁড়‌ছে নি‌রো বাজায় বা‌ঁশি

উত্তর আ‌মে‌রিকা ও ইউ‌রো‌পের বিত্তশালী রাষ্ট্রগু‌লো ক‌রোনা ভাইরা‌সের ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যুর দি‌কে লক্ষ্য কর‌লে ব্যাপার‌টি আরেকটু খোলাসা হ‌বে। 

ইতা‌লি, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরা‌ষ্ট্রের ম‌তো দে‌শের প্র‌তি নজর দি‌লে বোঝা যা‌বে তারা তা‌দের উন্নত বৈজ্ঞা‌নিক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নি‌য়ে এতই আত্মতুষ্ট ছিল যে তারা আসন্ন এক মান‌বিক মহা‌বিপর্য‌য়ের সতর্কবাণী‌কে পাত্তাই দেন নি। মা‌র্কিন প্রে‌সি‌ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা‌ম্পের সরকার বিপর্যরকর ও হঠকারী বি‌ভিন্ন পদ‌ক্ষেপ ও কার্যক্রম দেশ‌টি‌কে ক‌রোনা ভাইরা‌সের স‌র্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর মাধ্য‌মে এক ‌শোকরা‌জ্যে প‌রিণত করার পেছ‌নে দায়ী।

ট্রাম্প ও তার তাঁ‌বেদারগণ নানা‌বিধ ভুল পদ‌ক্ষে‌পের কার‌ণে ব্যাপক সমা‌লোচনার মু‌খে প‌ড়ে‌ন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হ‌লো সমা‌লোচনার মু‌খে নি‌জে‌দের শোধরা‌নোর প‌রিব‌র্তে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক‌ঠোর সমা‌লোচনা ক‌রেন। তার ভাষায়, সংস্থা‌টি ক‌রোনা ভাইরাস মোকা‌বেলায় "চরম অব্যবস্থাপনার" প‌রিচয় দি‌য়ে‌ছে এবং দা‌বি ক‌রেন যে সংস্থা‌টির "ভু‌ল পদ‌ক্ষে‌পের কার‌ণে ব্যাপক প্রাণহা‌নি ঘ‌টে‌ছে।" 

শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প এ চরম দু‌র্যোগকা‌লে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মা‌র্কিন সহায়তা স্থ‌গিত ক‌রে দেন। ব্যাপার‌টি হতাশাজনক হ‌লেও বিস্ময়কর নয়। যে লোক ম‌নে ক‌রে জলবায়ু প‌রিবর্তন এক চীনা ষড়যন্ত্র, তার কাছ থে‌কে এমন আচরণ মো‌টেই অপ্রত্যা‌শিত নয়।

ইউ‌রোপীয় রাষ্ট্রগু‌লো বরাবরই নি‌জে‌দের‌কে সাম্যবা‌দের ধারক ও বাহক ব‌লে প্রচার ক‌রে থা‌কে, কিন্তু বাস্ত‌বে স‌ত্যিকা‌রের সাম্যবাদী ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা অ‌নেক রা‌ষ্ট্রে আজো সুদূরপরাহত। সাম্প্র‌তিক সম‌য়ে ইউ‌রো‌পে ক্রমবর্ধমান ডানপন্থী ও জনতু‌ষ্টিবাদী রাজনী‌তির উত্থান ঘ‌টে‌ছে, যার ফ‌লে বি‌ভিন্ন রা‌ষ্টে অ‌ভিবাসন ও শরণার্থী‌বি‌রোধী নী‌তি প্রণীত হ‌য়ে‌ছে। এ‌হেন দৃ‌ষ্টিভ‌ঙ্গি এ মহামারীর কা‌লে আদ‌তে কোন উপকা‌রেই আ‌সে নি। শ্রেষ্ঠ চি‌কিৎসা ব্যবস্থা স‌ত্ত্বেও হাজার হাজার নাগ‌রিক মৃত্যুবরণ ক‌রে‌ছে। য‌দি এ মহামারী‌তে এমনতর প্রাণহা‌নি য‌দি একগুঁ‌য়ে রাজনী‌তিক‌দের ক‌ঠিন হৃদয় প‌রিবর্তন কর‌তে না পা‌রে,  তাহ‌লে আর কোন কিছু‌তে হ‌বে ব‌লে ম‌নে হয় না।

অবজ্ঞা, বৈষম্য ও দুর্নী‌তি

ক‌রোনা ভাইরাসের রাহুগ্রা‌সে যখন ভারত ও বাংলা‌দে‌শের ম‌তো স্ব‌ল্পোন্নত দে‌শে পড়ল, তখন অন্য সব সম‌য়ের মতো বহুল প‌রি‌চিত ভাইরাস- অবজ্ঞা, বৈষম্য ও দুর্নী‌তি- অ‌নিবার্যভা‌বে তা‌দের স্বরু‌পে আ‌বির্ভুত হ‌লো।

মা‌র্চের ২৪ তা‌রি‌খে ভার‌তের প্রধানমন্ত্রী ন‌রেন্দ্র মোদী মাত্র চার ঘন্টার নো‌টি‌শে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা কর‌লেন। তিনি তার দে‌শের কো‌টি কো‌টি হতদ‌রিদ্র ও অ‌ভিবাসী শ্র‌মিক সম্প্রদা‌য়ের দুর্দশার বিষ‌য়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ কর‌লেন না। এমন ত‌ড়িৎ ও অ‌বি‌বেচনাপ্রসূত পদ‌ক্ষে‌পের কার‌ণে লক্ষ লক্ষ দ‌রিদ্র, অ‌ভিবাসী মানুষ শত শত মাইল পা‌য়ে হেঁ‌টে, খাদ্য ও পানী‌য়ের অভা‌বে অনাহা‌রে দু:সহ যাত্রা ক‌রে বা‌ড়ির প‌থে। 

ভারতীয় মি‌ডিয়া জানায়, এ মহামারীকা‌লে আসাম রা‌জ্যের বেশ ক‌য়েকজন বিচারক কো‌ভিড-১৯ ফা‌ন্ডে অর্থ সহায়তা ক‌রেন, ত‌বে শর্ত হ‌লো এ সহায়তা যা‌তে কোন মুস‌লিম না পায়। বিষয়‌টি দেশজু‌ড়ে ব্যাপক সমা‌লো‌চিত হয়।

সাম্প্র‌তিক সম‌য়ে হিন্দুত্ববাদী বি‌জে‌পি সরকা‌রের অসহিষ্ণু, বৈষম্যমূলক, দ‌রিদ্র‌বি‌রোধী ও সংখ্যালঘু‌বি‌রোধী নী‌তির ফ‌লে ভার‌তের যে উ‌ল্টোযাত্রা তা এ মহামারী‌তে আবা‌রো প্রতীয়মান হ‌য়ে‌ছে।

বাংলা‌দেশ সরকার এ মহামারীর ব্যাপার প্রাথ‌মিকভা‌বে যে প্র‌তিক্রিয়া দেখি‌য়ে‌ছে তা ছিল অজ্ঞানতা ও শি‌থিলতাপূর্ণ। সরকা‌রের কর্তাব্যক্তিরা সম্ভবত ধ‌রে নি‌য়ে‌ছি‌লেন ভাইরাস‌টি এ‌দে‌শে হানা দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

‌বাংলা‌দে‌শের ম‌তো জনবহুল ও দ‌রিদ্র দে‌শে ক‌রোনা ভাইরাস ভয়ংকররু‌পে আবির্ভুত হ‌তে পা‌রে, দে‌শে ও বি‌দে‌শে এমন সতর্কবাণী থাকা স‌ত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তা‌তে কর্ণপাত ক‌রেন নি। এমন‌কি ‌ ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য বিভা‌গের তর‌ফে জরুরী ভি‌ত্তি‌তে মে‌ডি‌কেল সামগ্রী আ‌বেদন স‌ত্ত্বেও উর্ধ্বতন কর্তৃপ‌ক্ষের টনক ন‌ড়ে নি।

সুতরাং, চীন ও অন্যান্য দে‌শে ক‌রোনা সংক্রম‌ণে হাজা‌রো মানুষ মারা যাওয়ার খবর স‌ত্ত্বেও বাংলা‌দে‌শে জীবনযাত্রা ছিল স্বাভা‌বিক, এম‌ন‌কি চী‌নের স‌ঙ্গেও বিমান যোগা‌যোগ অক্ষুন্ন ছিল। স্কুল, ব্যবসাকেন্দ্র ও ধর্মীয় প্র‌তিষ্ঠান যথারী‌তি চল‌ছিল। রাস্তাঘাট সর্বত্র জন ও যা‌নে ছিল প‌রিপূর্ণ।

‌কোন কোন মূর্খ লোক এমন কথাও ব‌লে বেড়া‌তে থাক‌লো যে ক‌রোনা ভাইরাস হ‌লো চীনা লোক‌দের প্র‌তি অ‌ভিশাপ কারণ তারা নানা প্রকার নোংরা পশুপা‌খি খায়, সুতরাং বাংলা‌দে‌শের ম‌তো মুস‌লিমপ্রধান দে‌শের ধর্মপ্রাণ লোক‌দের এ নি‌য়ে ভ‌য়ের কোন কারণ নেই!

‌কিন্তু সব‌কিছুই বদ‌লে গেল মা‌র্চের ৮ তা‌রিখ যখন বাংলা‌দে‌শে প্রথমবা‌রের ম‌তো তিনজন ক‌রোনা আক্রা‌ন্তের খবর জানা গেল, এবং প‌রি‌স্থি‌তি আ‌রো ব্যাপকভা‌বে পাল্টা‌তে শুরু করল যখন এ ভাইরা‌সের কব‌লে ইউ‌রোপ ও আ‌মে‌রিকায় ব্যাপক প্রাণহা‌নি শুরু হলো। দেশব্যাপী সাধারণ ছু‌টি ঘোষণা হ‌লো, সমস্ত গণপ‌রিবহন বন্ধ হ‌য়ে গে‌লো এবং সকল প্রকার গণ জমা‌য়েত নি‌ষিদ্ধ করা হ‌লো। ‌শেষ পর্যন্ত সবই হ‌লো ত‌বে অ‌নেক দে‌রিতে।

আজ অব‌ধি বাংলা‌দে‌শের বি‌ভিন্ন জায়গায় এক লাখেরও অ‌ধিক লোক ক‌রোনায় আক্রান্ত হ‌য়ে‌ছে এবং চৌদ্দ শতা‌ধিক মারা গে‌ছে। এ পর্যন্ত ৬ লাখের অ‌ধিক লোক‌কে পরীক্ষা করা হ‌য়ে‌ছে, যা এ বিপুল জনসংখ্যার দে‌শে তুলনামূলক কম। তাই আক্রা‌ন্তের সংখ্যা ও মৃত্যুহারও কম। ক‌রোনার লক্ষণ নি‌য়ে অ‌নেক রোগী ঘুর‌ছে কিন্তু পরীক্ষা ক‌রে নি এবং মারা গে‌ছে পরীক্ষা ছাড়াই, এমন সংখ্যা যে অ‌নেক তা নি‌য়ে বেশ‌কিছু জাতীয় মি‌ডিয়া আশংকা প্রকাশ ক‌রে‌ছে।

এ‌হেন প‌রি‌স্থি‌তির প‌রেও বাংলা‌দেশী অ‌নেক মানুষ চলা‌ফেরা ও সমা‌বে‌শের ক্ষে‌ত্রে নি‌ষেধাজ্ঞা মান‌ছে না, যার কার‌ণে সরকার বাধ্য হ‌য়ে পু‌লিশ‌কে সহায়তা কর‌তে সেনা মোতা‌য়েন কর‌তে বাধ্য হ‌য়ে‌ছে। ক‌রোনার উপসর্গ নি‌য়ে বেশ কিছু রোগী বা‌ড়ি ও হাসপাতাল থে‌কে পা‌লি‌য়েও গে‌ছে!

‌কো‌টি কো‌টি দ‌রিদ্র ও কর্মহীন লোক‌দের জন্য সরকার নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা ক‌রে‌ছে। কিন্তু বরাব‌রের ম‌তো দুর্নী‌তি মাথাচাড়া দি‌য়ে‌ছে এখা‌নেও। ডজন ডজন ক্ষমতাসীন দ‌লের স্থানীয় নেতা ও সরকা‌রি কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে দ‌রিদ্র‌দ্রের সহায়তার জন্য বরাদ্দ ২০০ ট‌নের অ‌ধিক চাল আত্মসাৎ করার অ‌ভি‌যোগ পাওয়া গে‌ছে।

‌যে মহামারীকা‌লে পারস্প‌রিক সহানুভূ‌তির বড্ড প্র‌য়োজন, বাংলা‌দে‌শ ও ভার‌তে বা‌ড়িওয়ালারা ক‌রোনা ভাইরাস সংক্রম‌ণের অজুহা‌তে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী‌দের বাসা ছাড়‌তে বাধ্য ক‌রে‌ছে।

ব্রি‌টিশ সংবাদ মাধ্যম ফাইনা‌ন্সিয়াল টাইম‌সে লেখা এক নিব‌ন্ধে নো‌বেলজয়ী অর্থনী‌তি‌বিদ অমর্ত্য সেন লি‌খে‌ছেন যে তি‌নি আশা ক‌রেন যে ক‌রেন এ মহামারীর পর উন্নততর এক সমাজ ব্যবস্থা গ‌ড়ে উঠ‌বে, যেমনটা ঘ‌টে‌ছিল ২য় বিশ্বযু‌দ্ধের পর।

‌মোদ্দা কথা হ‌লো, এ মহামারী শে‌ষে বিশ্ব আ‌রো নতুন ও উন্নততর রু‌পে আ‌বির্ভুত হ‌বে কি না তা অ‌নেকাং‌শে নির্ভর কর‌বে আমরা এ মহামারীর পূ‌র্বে যেসব মন্দতা ও দুষ্টচ‌ক্রে বাঁধা প‌ড়ে‌ছিলাম তা ত্যাগ কর‌তে পা‌রি কি না।

(মূল লেখা হ‌তে ঈষৎ প‌রিমা‌র্জিত)

মূল লেখা: Fighting the viruses within us
রুপান্তর: Rock Ronald Rozario
©সর্বসত্ত্ব সংর‌ক্ষিত©



May 11, 2020

My Mothers

Right: My mother Dolly Regina Costa & Left: My mother-in-law Ruplay Anna Costa

It's mother's day and almost everyone on my friend list are posting many things to pay tribute to their mothers on this special occasion. I have mixed feelings on the day. One part of my me thinks that mother's day is not necessary because we must have respect and love for our mothers everyday, and not embrace symbolic mother day observance once in a year. On the other side, I think it is good to have special day designated for our mothers, as it reminds us that our mothers have made huge sacrifices in their lives for us, and for the family. That we should make amends if we have not returned them enough love, respect and care that they deserve. 

I have two mothers. Dolly Regina Costa is my biological mother and Rupaly Anna Costa is my mother-in-law. My mother has spent her whole life raising her three sons and looked after a family of five, while my mother in law has taken care of a family of seven including four daughters and one son. Their lives have been full of struggles and suffering on various sides--social, economic, psychological and so on. Both of them had to stop their education early, married under family pressure and became what you can call typical rural Bangladeshi housewives. In most parts of their lives, they battled poverty to maintain family with little income under huge pressure. They suffered humiliation as they tried to raise their voice against injustice and inequality in the family and the society. They have also endured critical health conditions and life-and-death conditions several times, and still struggle against poor health due to high blood pressure and diabetic etc. 

The mothers have lived with great virtues--honesty, sincerity, hardworking mentality and they have imparted these qualities in their children as well. As they were stuck in rural households for decades, they had also their follies and shortcomings, but these are little compared to their great contributions in the family. They are great human beings and they have made their best efforts in observing their duties for the family and the society. Mother's Day is a time to contemplate on life of my mothers, and all great mothers around the world. Sometimes, we forget about what our mothers have done for us, so we don't pay due respect, love and care as they deserve. Let Mother's Day be a call for change in us, so we can return the favor to our mothers and make this world a beautiful place for them.
Happy Mothers Day 2020!

আজ মা দিবস এবং আমার তা‌লিকার প্রায় সবাই আজ‌কের এ বি‌শেষ দি‌নে তা‌দের মা‌য়ের প্র‌তি শ্রদ্ধা জা‌নি‌য়ে অ‌নেক কিছু লিখ‌ছে ও পোস্ট কর‌ছে। এ‌দি‌নকে ঘি‌রে আমার অনুভূ‌তি মিশ্র। আমার সত্তার এক‌টি অংশ ম‌নে ক‌রে মা দিব‌সের বি‌শেষ কোন প্র‌য়োজন নেই, কারণ আমার ম‌তে মা‌য়েরা প্র‌তি‌দিন আমা‌দের সম্মান ও ভা‌লোবাসা পাবার দা‌বিদার, এবং তার জন্য এক‌টি প্রতীকী দিবস উদযাপনের কোন দরকার নেই। অন্য‌দি‌কে সত্তার আরেক‌টি অং‌শের ম‌তে মা‌য়ে‌দের জন্য এক‌টি বি‌শেষ দিন থাকা অবশ্যই উ‌চিত, কারণ এ‌দিন‌টি আমা‌দের নতুন ক‌রে স্মরণ ক‌রি‌য়ে দে‌বে আমা‌দের মা‌য়েরা তা‌দের জীব‌নে কত সংগ্রাম ক‌রে‌ছেন আমা‌দের জন্য, প‌রিবা‌রের জন্য। এ‌দিন‌টি আমা‌দের যেন উদ্বুদ্ধ ক‌রে যা‌তে আমরা য‌দি মা‌য়ে‌দের প্রাপ্য সম্মান, ভা‌লোবাসা ও যত্নদা‌নে অব‌হেলা ক‌রে থা‌কি, আমরা যেন নি‌জে‌দের সং‌শোধন ক‌রি।

আমার মা দুইজন। আমার জন্মদাত্রী মা ড‌লি রে‌জিনা কস্তা এবং আমার শ্বাশু‌ড়ি মা রুপালী আন্না কস্তা। আমার জন্মদাত্রী মা সারা জীবন সংগ্রাম ক‌রে‌ছেন তিন ছে‌লে‌কে বড় কর‌তে ও পাঁচ জ‌নের সংসার‌কে টে‌নে নি‌য়ে যে‌তে। অন্য‌দি‌কে আমার শ্বাশু‌ড়ি তার চার মে‌য়ে ও এক ছে‌লেসহ সাতজ‌নের প‌রিবার‌কে সামলে জীব‌নে এতদূর এ‌সে‌ছেন। তা‌দের উভ‌য়ের জীবন ছিল নানামুখী সংগ্রাম ও বেদনায় পূর্ণ-- সামা‌জিক, অর্থ‌নৈ‌তিক ও মান‌সিক প্রভৃ‌তি। দুজ‌নের ক্ষে‌ত্রে অল্প বয়‌সে পড়াশুনা বন্ধ ক‌রে বি‌য়ে ক‌রে সংসার পাত‌তে হ‌য়ে‌ছিল প‌রিবা‌রের চা‌পে প‌ড়ে, এবং বাংলা‌দে‌শের আট‌পৌ‌রে গ্রাম্য গৃ‌হিনীর জীবন‌কে বে‌ছে নি‌তে হ‌য়ে‌ছিল। সী‌মিত আ‌য়ের সংসা‌রে দা‌রি‌দ্র্যের বিরু‌দ্ধে গোটা জীবন লড়াই ক‌রে প‌রিবার চালা‌তে হ‌য়ে‌ছে। প‌রিবার ও সমা‌জে অন্যায্যতা ও অসা‌ম্যের বিরু‌দ্ধে প্র‌তিবাদ কর‌তে গি‌য়ে অপমা‌ন সহ্য করে‌ছে। বেশ ক‌য়েকবার মারাত্নক স্বাস্থ্যহা‌নি, এমন‌কি জীব‌নের ঝুঁ‌কিপূর্ণ প‌রি‌স্থি‌তি‌ও মোকা‌বেলা কর‌তে হ‌য়ে‌ছে এবং এখ‌নো প্র‌তি‌নিয়ত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়া‌বে‌টিকের সা‌থে তা‌দের লড়াই চ‌লে।

মা‌য়েরা তা‌দের জীব‌নে মহৎ গু‌ণের চর্চা ক‌রে‌ছেন- সততা, নিষ্ঠতা ও ক‌ঠোর প‌রিশ্রম এবং তা‌দের সন্তান‌দের মা‌ঝে তা রোপণ ক‌রে‌ছেন। সারা জীবন গ্রাম্য প‌রি‌বে‌শে কু‌য়োবন্দীর ম‌তো থাকার কার‌ণে তা‌দের কিছু দীনতা ও সীমাবদ্ধতাও ছিল, কিন্তু প‌রিবার ও সমা‌জে তা‌দের ব্যাপক অবদা‌নের তুলনায় সেগু‌লো খুবই নগন্য। তা‌দের মানব জীবন মহিমা‌ন্বিত এবং তারা তা‌দের স‌র্বোচ্চ চেষ্টা ক‌রে‌ছেন প‌রিবার ও সমা‌জের প্র‌তি তা‌দের দা‌য়িত্ব পালন কর‌তে। আমার কা‌ছে তাই মা দিবস হ‌লো আমার মা‌য়ে‌দের জীবন এবং বি‌শ্বের সকল মহতী মা‌য়ে‌দের জীবন নি‌য়ে অনুধ্যান করার দিন। আমরা অ‌নেক সময় ভু‌লে যাই আমা‌দের জীব‌নে মা‌য়ে‌দের অবদা‌নের কথা এবং তা‌দের প্র‌তি যথার্থ সম্মান ও ভা‌লোবাসা জানা‌তে কার্পণ্য ক‌রি। মা দিবস আমা‌দের মন‌কে প‌রিবর্তন করুক যেন মা‌য়ে‌দের প্রাপ্য আমরা দি‌তে পা‌রি এবং এ পৃ‌থিবী‌কে তা‌দের জন্য একটি সুন্দর স্থা‌নে প‌রিণত ক‌রি।

শুভ মা দিবস ২০২০!

May 7, 2020

ঢাকার আর্মেনীয় ই‌তিহাস ও ঐ‌তি‌হ্যের শেষ অ‌ভিভাবক


আর্মেনিয়ান এপোস্ট‌লিক চার্চ অব হ‌লি রেজু‌রেকশন (Armenian Church of Holy Resurrection)
Courtesy: Armenian Church of Bangladesh

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান স্ট্রি‌‌টে ‌অগুনতি সুউচ্চ আবা‌সিক ভবনের মাঝখা‌নে নীরবে, কিন্তু গর্বভরে দাঁড়িয়ে এক‌টি শ্বেতকায় দ্বিতল গির্জা।

লা‌গোয়া সমা‌ধি‌ক্ষে‌ত্রে অ‌নেকগু‌লো কবর যেগু‌লো আর্মেনীয়দের স্মৃ‌তি ব‌য়ে চ‌লে‌ছে যারা আজকের বাংলাদেশের এ রাজধানী শহ‌রে একদা বস‌ত ক‌রে‌ছে ও প্রাণত্যাগ করেছে।

১৭৮১ খ্রিস্টা‌ব্দে নি‌র্মিত আর্মেনিয়ান এপোস্ট‌লিক চার্চ অব হ‌লি রেজু‌রেকশন (Armenian Church of Holy Resurrection) শুধুমাত্র এক‌টি ঐ‌তিহা‌সিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাই নয়, এ‌টি ঢাকার একদার সমৃদ্ধশালী আর্মেনীয় সম্প্রদা‌য়ের সাক্ষ্যদান ক‌রে চ‌লে‌ছে, যারা অষ্টাদশ ও উনবিংশ শত‌কে এ মহানগরীর অর্থ‌নৈ‌তিক ও সামা‌জিক জীবন‌কে  সুসমৃদ্ধ ক‌রে‌ছে।

আর্মেনীয় চা‌র্চের অদূ‌রে, ১৮৬৮ খ্রিস্টা‌ব্দে স্থা‌পিত হ‌লিক্রস ক্যাথ‌লিক চার্চ, যেখা‌নে খ্রিস্টান সম্প্রদা‌য়ের উ‌ল্লেখ‌যোগ্যসংখ্যক লো‌ক বসবাস ক‌রে।

আর্মেনিয়ান স্ট্রীট ও আরমা‌নি‌টোলা কা‌লের গ‌র্ভে মি‌শে যাওয়া এক গৌরবময় ই‌তিহা‌সের সাক্ষী। কিন্তু এ ই‌তিহাস ও ঐ‌তিহ্য হয়‌তোবা বিস্তৃতির অতলে হা‌রি‌য়ে যে‌তো য‌দি না এক মহানুভব আর্মেনীয় তা ভা‌লোবে‌সে রক্ষা কর‌তেন। তি‌নি মাই‌কেল যো‌সেফ মা‌র্টিন, ঢাকায় বসবাসকারী সর্ব‌শেষ আর্মেনীয়।

তিন দশ‌কের বে‌শি সময় ধ‌রে মা‌র্টিন ছি‌লেন এ চা‌র্চের সর্ব‌শেষ আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক (Warden)। মূলত তার একক প্র‌চেষ্টার ফ‌লেই চার্চ‌টি আক্ষ‌রিক অ‌র্থে এক ভগ্নস্তুপ থে‌কে পুনর্জন্ম লাভ ক‌রে।

মা‌র্টি‌নের তিন মে‌য়ে - এ‌লিনর, ক্রি‌স্টিন ও শে‌রিল - বেশ অ‌নেক আ‌গে কানাডায় অ‌ভিবাসী হিসে‌বে থিতু হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু মা‌র্টিন ও তার স্ত্রী ভে‌রো‌নিকা বাংলা‌দে‌শে র‌য়ে যান চার্চের দেখা‌শোনা কর‌তে।

‌ভে‌রো‌নিকা ২০০৩ খ্রিস্টা‌ব্দে মারা যান এবং তা‌র অ‌ন্তিম শয্যা হয় এ চা‌র্চেরই সমা‌ধি‌ক্ষে‌ত্রে। বার্ধক্যজ‌নিত স্বাস্থ্যহা‌নির কার‌ণে অ‌নেকটা বাধ্য হ‌য়ে  ২০১৪ খ্রিস্টা‌ব্দে মা‌র্টিন কানাডা চ‌লে যান। ত‌বে বাংলা‌দেশ ত্যা‌গের পূ‌র্বে তিনি এ চা‌র্চের তত্ত্বাবধায়‌কের দা‌য়িত্ব (Wardenship) হস্তান্তর ক‌রেন যুক্তরা‌ষ্ট্রের লস এ‌ঞ্জেলস নিবাসী আর্মেনীয় ব্যবসায়ী আর্মেন আরসলা‌নিয়া‌নের হা‌তে।

এ বছ‌রের ১০ এ‌প্রিল মা‌র্টিন কানাডা‌তে তার মে‌য়ে ও না‌তি-নাতনী‌দের সা‌ন্নি‌ধ্যে শা‌ন্তিপূর্ণভা‌বে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ ক‌রেন। তার দেহাবসা‌নের মাধ্য‌মে ঢাকার আর্মেনীয় ঐ‌হিত্য বাস্ত‌বিক অ‌র্থেই ই‌তিহা‌সের অংশ হ‌য়ে গেল।

ঢাকার আর্মেনীয় চার্চ ও ঐ‌তিহ্য রক্ষায় ‌মার্টি‌নের অসামান্য অবদান‌কে স্মরণ ক‌রে আ‌র্মেন আরসলা‌নিয়ান তার প্র‌তি বি‌শেষ শ্রদ্ধা জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

"তার বহু ব্য‌ক্তিগত ত্যাগস্বীকার ও চা‌র্চের প্র‌তি সম্পূর্ণ ভ‌ক্তি ব্য‌তিত এ চার্চ ও ঢাকার আর্মেনীয় ঐ‌তি‌হ্য বহুলাং‌শে টি‌কে থাক‌তে পারত না," আ‌র্মেন ব‌লেন। বর্তমা‌নে ৬০ বছর বয়সী আর্মে‌নের জন্ম আ‌র্জে‌ন্টিনার রাজধানী বু‌য়েন্স আয়া‌র্সে।

তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, "‌তি‌নি ও তার প‌রিবারের ব্যাপক ও অসাধারণ প্র‌চেষ্টার ফ‌লে আমা‌দের এ অ‌নিন্দ্যসুন্দর চার্চ‌টি রক্ষা পে‌য়ে‌ছে। এ অবদান চিরস্মরণীয় হ‌য়ে থাক‌বে।"

বিশ্বজু‌ড়ে হাজা‌রো অ‌ভিবাসী আর্মেনীয়র ম‌তো আর্মেনের বাবা ও মা ১৯২০ খ্রিস্টা‌ব্দের দি‌কে তৎকালীন অ‌টোমান সাম্রা‌জ্যে সংঘ‌টিত ভয়াল " আর্মেনীয় গণহত্যা" থে‌কে প্রাণ বাঁচা‌তে আর্জে‌ন্টিনা‌তে পা‌লি‌য়ে যান। পরবর্তী‌তে তি‌নি যুক্তরা‌ষ্ট্রে অ‌ভিবাসী হন।

আর্মেন প্র‌তি বছর ক‌য়েকবার বাংলা‌দে‌শে আ‌সেন চার্চের তদার‌কি করার জন্য।

মাই‌কেল যো‌সেফ মা‌র্টিন (Michael Joseph Martin)
Courtesy: Armenian Church of Bangladesh

Apr 17, 2020

Corona Diary 02: Life or death--Choice is yours

Coronavirus (Photo: BBC News)
Yes, there is no doubt our government was sloppy in responding to Corornavirus outbreak, and now, it seems out of place to decide what to do to tackle a crisis that is slowly getting out of their control. Ours is an underdeveloped, overpopulated and poorly educated nation, and we hardly make good decisions and take right actions in the time of a crisis. The government has made mistakes in underestimating the gravity of a global crisis and many people are likely to pay huge price for it, and in the process image of the government will ultimately get tarnished.
But, please look at what many ordinary people are doing, except for some great people including doctors, healthcare workers and generous donors across the country. They simply don't care about what the government is telling--stay home, stay safe. No, they don't really care, because we are among the least law-abiding nations in the world. We are born in droves and we die in droves, often we kill ourselves by taking stupid and unnecessary risks. I suspect lots of people will die from Covid-19 simply because of this self-killing tendency and it has probably started. Even if I die from Covid-19 now, it will be likely because I have been stupid too. Apart from staying home, we also need to do something positive and creative, so our time during the lockdown is worthwhile and well-spent. Let us read books, watch movies, dramas etc and help in household activities.
Also, please stop flooding social media with real or fake news or videos one after another everyday. We are already connected globally by Internet, and we already have enough information about the pandemic. So, please don't make people more upset about spreading more bad news. There are well placed sources to get updates on global and national figures of Covid-19 infections and deaths. So, you don't need to post it like a scorer of a cricket match hourly or daily basis. You cannot treat figures of people getting sick or dying like scorecard if you are really sorry about their suffering.
Real people make right decisions in the time of a crisis. Maybe our government has failed, but it is up to us if we would like to fail too. We may not be alive to see what happened at the end!

Mar 27, 2020

Corona Diary 01: The virus exposes our own evils

A road full of people at Kawran Bazar, the largest kitchen market in Bangladesh's capital Dhaka on March 22. (Photo by Rock R. Rozario)


On March 26 evening, I went outside at my neighborhood in central Dhaka to get some money from an ATM booth, and to buy some essential grocery items and vegetables. It is because unlike most people I didn't resort to panic-buying due to novel coronavirus outbreak and didn't hoard too much daily essentials for a month or so, which not only triggered a price hike but also caused misery for poor and low income people. I took my wife with me because it could be difficult to carry all the goods alone. We covered our faces with masks and walked in safe distance from people on the roads for protection.

The roads and the streets were empty and deserted, an unusual scene in this busy and crowded city, which is only seen twice a year during Eid festivals. All restaurants, eateries and fast food centers were shut, so were most shops except some groceries and vegetable stands. We somehow managed to buy what we needed for our family to survive in coming days. Staying home continuously is often boring, but this is what we all must do in this crucial time. 

During our time outside, we saw a number of Muslim men wearing skullcaps returning from mosques after evening prayer. It seemed they were still convinced nothing would happen to them for defying government order to stay home for safety and most of them didn't wear masks. They are probably on the same page with hundreds of people I saw in Kawran Bazar, Dhaka's largest kitchen market, last Sunday, buying as much as daily essentials frantically but without any protection. And of course, they have the same mindset of people who resorted to a mad-rush from Dhaka to rural areas on March 24, immediately after Bangladesh government declared 10-day general holiday to allow people to stay home to stop spreading of the killer virus. If not all, most of them thought it was a time for vacation.

We also met and walked with a Muslim man wearing a face mask and returning home with groceries. He was upset and angry like us with the response of many people to pandemic coronavirus outbreak. "How strange it is some people think this is a Chinese problem as Chinese people eat all the nasty things. Nothing will happen to Muslims as they eat halal (pure) things only," this middle-aged man said. "Saudi Arabia and Iran are suffering badly due to the virus. Are these not Muslim countries?. He went on to say,"So many people take bribes and earn black money, which they don't find haram (forbidden). They think going to the mosque and praying inside would cleanse their sins. This is ridiculous. Let them mingle together and go to heaven!"

We couldn't agree more what this man said as the world is at an unprecedented war against this deadly virus that has already killed more than 24,000 people and infected more than half a million in up to 200 countries globally. Our government and doctors, nurses and medical staff are battling hard against the tide with little resources against the virus. The world is shivering in fear and grief as even most developed nations keep counting many precious human lives lost in recent weeks. How come people in this country can be so crazy!

However, we were not surprised about the public response in the time of Corona as we have grown up seeing how much double-standards many people can maintain and how ignorant but opportunistic many people can be in this country. Not all are the same, but I think this pandemic virus is once again exposing our own evils. Whether we lose or win this difficult war will depend much on how much we can overcome these evils.

#StayHome #ItCouldSaveLives 

Mar 16, 2020

Ensuring equal rights and dignity for women

Mexican students perform 'El violador eres tu' (The rapist is you) during a demonstration on March 5 against gender violence and patriarchy at the Jesuit University of Guadalajara as part of the run-up to International Women's Day on March 8. (Photo: AFP)
"I accept it as a logical consequence when my husband beats me up for making mistakes" — this may sound harrowingly shocking to sane men and women but it is what many married women in Bangladesh believe, according to a recent national study.

About 25 percent of wives consider beatings by their husbands logical for making trivial mistakes or trying to exercise their rights, such as by leaving the house without the husband's permission, failing to take care of children properly, arguing with her husband, cooking badly and disagreeing to sexual intercourse, according to a 2019 study by Bangladesh Bureau of Statistics (BBS).
Whether the study reflects reality can be a topic for debate but it is well known that Bangladesh has one of the highest rates of domestic violence. A BBS study in 2013 found that more than 80 percent of married women face physical and mental abuse by husbands and in-laws in their lifetime.

Domestic abuse is a very common form of violence against women all over the world. After rape and sexual assaults, domestic violence is another major driver that results in up to 35 percent of women facing various forms of violence globally in their lifetime, according to UN Women.
When it comes to largely conservative and male-dominated societies in regions such as South Asia and much of Africa, violence against women is a common and tragic everyday reality.

Mar 15, 2020

Spiritual renewal, reconciliation and fraternity during Lent in Bangladesh

A scene from Jishu Nila, a folk-religious play on the life, suffering and death of Jesus, staged by a Catholic group in Bangladeshi capital Dhaka in 2017. (Photo: Stephan Uttom/UCA News)
On the first Tuesday of Lent, about 200 Catholic villagers — children, adults and the elderly — gathered in the yard of a Catholic family in Choto Satanipara, one of six villages under Sacred Heart Catholic Church in Rangmatia of Gazipur district in central Bangladesh.
From morning to afternoon, the faithful had special prayers, life sharing from elders, Way of the Cross, Mass, a special talk from the parish priest and a fraternal meal with rice, vegetables and lentils before heading back to their homes.
Nearly half of the village's 400 Catholics are non-residents who live in cities, mostly in capital Dhaka about 50 kilometers away, for reasons such as jobs and education.
The spiritual and social gathering on March 3 was part of a special village-based program during the Catholic Church's Lenten season, introduced by Dhaka Archdiocese about a decade ago.

Writers muzzled by Bangladesh's censorship

Muslims visit a stall at Amor Ekushey Book Fair in Dhaka on Feb. 19. The Supreme Court has banned two books and ordered their removal from the fair on grounds of hurting religious feelings. (Photo: Stephan Uttom/UCA News
Bangladesh's top court has banned two books by an atheist blogger for allegedly hurting religious sentiments in the Muslim-majority country that has seen a deadly rise of radicalism and brutal murders of bloggers and free thinkers in recent times.
The Supreme Court banned two books — Dia Arefin and Grandmother's Dictum — written by Darais Arag, an atheist blogger, on Feb. 26 and ordered them to be removed from Amor Ekushey Boilmela, the country's largest annual book fair.

The court also ordered Bangla Academy, the organizer of the book fair, to cancel the stall of Sristhighar, the publisher of the books.
The order was in response to a petition filed by lawyer Azharullah Bhuiyan. "The contents of both the books hurt religious beliefs and an individual's choice of clothing. The contents could incite communal riots in the country," Bhuiyan told journalists.
Officials of Bangla Academy, the state-run autonomous body for promotion of Bangla language, literature and culture, said the books had already been removed after they found "objectionable materials." They added that Sristhighar was not allocated a stall and they stopped the illegal selling of the books from other stalls.
The court decision has not gone down well with supporters of free speech.

Christians struggle in Bangladesh's literary landscape

Book hunters visit a stall at Amor Ekushey Gronthomela (Book Fair of Immortal 21). (Photo: Stephan Uttom/UCA News)
On the last Saturday of early spring, the famous Suhrawardy Udyan in central Dhaka thronged with thousands of book lovers.
The park has been hosting the month-long Amor Ekushey Gronthomela (Book Fair of Immortal 21), the largest and most popular annual literary festival of Bangladesh, for the past five years, offering more space for both book publishers and an increasing number of book hunters.
It started as an initiative of educationist-publisher Chittaranjan Saha, a Hindu, in 1972. The fair pays tribute to Bangla language martyrs of Feb. 21, 1952, who died in a clash with police during the Pakistan period upholding the rights of their mother tongue.
Since 1984, Bangla Academy, the state-funded autonomous body for the promotion of Bangla language, literature and culture, has organized the event.
However, the huge crowds at the fair pay little attention to Christian publications, largely because of their minimal presence and participation.
There are 873 stalls of 560 publishers and organizations at this year's book fair and only two of them are Christian. Some 15 Christian writers have published books so far, mostly through individual efforts and other publishers.

Portuguese saint triggers devotion in Bangladesh

A devotee kisses the statue of St. Anthony. (Photo: Piyas Biswas/UCA News)
For the past three years, Badhon Gomes has started preparing several weeks in advance for the annual pilgrimage at St. Anthony of Padua shrine in Panjora village in Bangladesh's Gazipur district.
Gomes, 30, is a Catholic from Parowan, one of 16 villages including Panjora that make up St. Nicholas of Tolentino Church (1695) of Nagari, one of the oldest Catholic churches in the country.
For the fourth consecutive year, Gomes coordinated distribution of free lunches to hundreds of devotees of the Portuguese saint during the annual feast day, celebrated on Feb. 7.
“We offered free meals to 500 devotees, but our target was more than 1,000. Due to restrictions on vehicle movements around the shrine, many devotees missed out,” the father of one told UCA News.
Christian and Hindu villagers from Parowan and neighboring Bhasania, under St. Augustine of Hippo Catholic Church, have been supporting the initiative. Between 800 and 1,200 people have received free food from Gomes’ group in the past three years.
“It is a matter of pride that we have St. Anthony shrine in our area. People believe they can receive special blessings from the great saint by serving his devotees,” Gomes added.
Panjora village houses a chapel with a small but extremely popular centuries-old statue of St. Anthony that is believed to have miraculous power to fulfil any wish of devotees.
The shrine, under Dhaka Archdiocese, is the most popular among about the dozen Catholic shrines in Muslim-majority Bangladesh. Other shrines are mostly dedicated to Mother Mary, barely attracting 5,000 to 7,000 devotees during annual pilgrimages.
This year two Masses at St. Anthony shrine drew more than 70,000 devotees including Hindus and Muslims. About 6,000 devotees attended every day during the nine-day novena preceding the feast day, church officials said.

Mar 14, 2020

Bangladesh tea workers: A legacy of neglect and servitude

A worker at a tea estate in Srimangal in Bangladesh's Moulvibazar district. Despite a production boom, tea workers live a life of misery due to poor wages and denial of basic rights. (Photo: Stephan Uttom/UCA News)
It's been nearly three decades and counting since Sabuj Tanti started working as a laborer at Khadim Tea Estate in the Sylhet district of northeast Bangladesh.
"This is our ancestral profession and we have no vocational skills. That's why we have been stuck here for more than 150 years," he told UCA News.
Sabuj, 43, a lower-caste Hindu from Tanti community, is the fifth generation of tea workers from his family. Yet this father of four daughters wants all his children to get out of the tea estate. Three of his daughters, except the youngest of two-and-half years-old, go to school.
"I don't want my daughters to become tea workers like me. I want them to get an education and have a better life. I didn't have the opportunity to get an education, so I have been stuck in the tea estate forever," he said.
Sabuj sees no future in the tea industry under the current circumstances.

Muslims gather for peace, tolerance and solidarity in Bangladesh

Tens of thousands of Muslims throng the grounds of Bishwa Ijtema at Tongi, Gazipur district, near Dhaka, to join Friday prayers on Jan. 17. (Photo: Stephan Uttom/UCA News)
Muhammad Alimuddin and his friends took a 12-hour bus journey and traveled more than 400 kilometers from Tetulia in Panchagarh district to Tongi in Gazipur district.

They braved the chilly winter weather with one purpose — to join tens of thousands of fellow devotees at Bishwa Ijtema (World Gathering) on the banks of the River Turag, about 22km from Dhaka.

This annual congregation is the second largest Islamic gathering in the world after the hajj in Mecca.

Mar 12, 2020

Dhaka’s festival of ‘kites and lights’ promotes harmony

Young people release a paper lantern during the traditional Shakrain festival in old Dhaka on Jan. 14, 2020.  The festival is hailed for its secular character. (Photo by Piyas Biswas)
As the feeble winter sun starts setting, thousands of residents of the old part of Dhaka, on the banks of the Buriganga, clamber to their rooftops — to sing and dance, and to fly kites of various colors and shapes.
As dusk descends, the boisterous crowd start releasing hundreds of paper lanterns and firework. Some flamboyant groups arrange for daylong programs including music concerts, parties and fire-breathing by brave young men.
Men, women and children from all faiths—Muslims, Hindus and Christians — greet each other and offer sweets and traditional pithas (homemade cakes).
The narrow streets of Old Dhaka get overcrowded as residents and visitors rush to celebrate the feast in whatever way they can.
This unique feast is Shakrain, which marks the start of the sun’s northward journey at the end of Poush, the ninth month of the local calendar. It also marks the end of the winter solstice and the start of longer days.
This year, Shakrain fell on Jan. 14-15.

South Asia’s rape scourge and moral degradation

Parents protest against the school authorities after a eight-year-old girl was allegedly raped by a school boy, at the Sacred Heart Convent School in Beas in India's Punjab state on December 16, 2019. (Photo by Narinder Nanu/AFP)
Seven years after the brutal gang rape and death of a college student on a bus in India’s federal capital New Delhi, a Court issued an execution order for four convicts on Jan. 7.


The 2012 barbaric assault on a 23-year-old medical student triggered massive street demonstrations and a nationwide reckoning over rape and sexual violence against women in India.



It led to changes in the anti-rape law, including the introduction of the death penalty. But changes in legislation have done little to change the scenario in India.

In 2018, India was ranked the most dangerous country in the world to be a woman due to the high risk of sexual violence and slave labor, according to a global survey by the Thomson Reuters Foundation.


Each day on average, some 100 women are raped in India. In 2016, India recorded 39,608 rape cases, at least 520 of them of children below the age of six, according to data released by the National Crime Records Bureau.

A burning flame of enlightenment for 100 years

Guests and dignitaries on stage during the 100-year jubilee celebrations of church-run St. Nicholas High School in Gazipur district near Bangladeshi capital Dhaka on Jan. 2. (Photo: Robin Noel)
Subir Kashmir Pereira is disappointed that he missed out on an event that he had been looking forward to for years: attending the centenary jubilee celebrations of his beloved alma mater, St. Nicholas High School.
Geographical distance and other complications restricted him from attending the Catholic school's reunion in the first week of January.
Pereira, 49, is a Bangladeshi-born American citizen who settled in Maryland in 2007 with his wife and daughter.
St. Nicholas, where he studied from 1988 to 1991, is located in Nagari in Gazipur district of central Bangladesh, about 40 kilometers from the capital Dhaka.
"When the school marked 75 years [in 1995], I could not attend due to personal reasons. I told myself that I would have to attend the 100-year jubilee, but I missed out again. This failure is likely to upset me for the rest of my life," said Pereira, a Catholic.
Employed at a pharmacy of a multinational company in the US capital Washington, Pereira was a youth activist back home. He is also a seasoned poet with several titles published in recent years.
He credits his days at St. Nicholas, run by the Brothers of Holy Cross, for laying the foundation for what he has become today.

Bangladesh's dismal human rights record even murkier in 2019

A suspect inside a vehicle following a court verdict last October that sentenced 16 people to death over the murder of a 19-year-old female student who was burned alive last April in a crime that provoked outrage across Bangladesh. (Photo: AFP)


Rights activists including a leading church official have blamed poor law enforcement, a culture of impunity and negligence by state agencies for the increasing violations of human rights in Bangladesh.

In 2019, Bangladesh faltered in stopping human rights abuses such as extrajudicial killings, rape and sexual violence and curtailing of freedom of expression, according to a report by Ain-O-Salish Kendra (ASK), a rights watchdog based in Dhaka, published Dec. 31.

The human rights situation overview was based on media reports and ASK investigations.

Bangladesh recorded 388 extrajudicial killings and enforced disappearances in 2019, slightly lower than 466 cases in 2018, the ASK report said.

Rape cases almost doubled, from 732 in 2018 to 1,413. A total of 76 women were killed after being raped and 10 committed suicide, the ASK report revealed.

Some 487 children were killed and 1,696 were tortured in 2019, up from 419 and 1,011 respectively in the previous year.

A total of 1,087 children were raped or sexually assaulted, a massive rise from 444 cases in 2018.

Mob beatings claimed 65 people, most under the suspicion of being child kidnappers.

A total of 142 journalists were abused and harassed by law enforcement agency members, influential people, public representatives, miscreants and ruling party leaders and activists, mostly by exploiting repressive sections of the 2018 Digital Security Act.

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...