Jul 28, 2020

Poetry, art and songs of broken souls

 

A young Rohingya refugee reads ‘Exodus: Between Genocide and Me’ by Rohingya poet Mayyu Ali at a refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. (Photo: New Ali)


The river separates Arakan and Bengal

The river that Rohingya startle to hear

The crossing is to escape or to die

Where many are swallowed alive

The East becomes a roaring inferno

The West is world’s largest makeshift camp

Some leave their limbs behind, bodies are carried

Others cross with bullets embedded

A bullet in the chest is bigger than a heart

A body falls into the water

Another dances on the riverbank

The world just watches on

Whilst criminals erase their marks

The river cradles irrefutable evidence

Whilst the human solidarity is a lie

Waves bear witness to what victims suffer. (The Naf River)

This heart-rending poem embodies the agony of one of the world’s most persecuted minorities — Rohingya Muslims. And it has been composed by a young Rohingya poet in exile.

Mayyu Ali, 28, lives with his parents at Balukhali refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. He is on the front line of a cultural resurgence among the beleaguered community.

Born and brought up at Maungdaw in Rakhine (Arakan) state of Myanmar, Ali studied for a BA degreee in English at the University of Sittwe in the state capital before sectarian violence in June 2012 stopped his education in the second year, forcing him to work for an aid agency in Maungdaw.

His family fled following the Aug. 25, 2017, military crackdown. “My home and village were burned down by the Burmese security forces and my parents and I escaped to Bangladesh for our lives,” Ali told UCA News.

Jul 22, 2020

Corruption plagues battle against pandemic

Frauds by Mohammad Shahed and Dr. Sabrina are just a tip of iceberg of corruption during Covid-19 pandemic in Bangladesh (Photo: tbsnews.net)

With more than 14.7 million infections and 610,000 deaths in over seven months, COVID-19 could well be a catalyst for social, political and economic changes for good in the world.

Sadly, it has done little to nothing to trigger any positive outcome by eliminating social evils like corruption, both individual and institutional, in the national and global orders heavily dominated by extreme globalization and crony-capitalism.

Corruption costs a staggering US$3.6 trillion each year, United Nations chief Antonio Guterres said in 2018. Corruption in global health sectors is estimated at $455 billion annually, the highest, according to Berlin-based Transparency International.

During the COVID-19 outbreak, corruption has emerged in diverse and innovative forms at the expense of human lives.

Somalia, currently the world's most corrupt country, has seen medical equipment being stolen from hospitals and sold in markets openly.

Zimbabwe sacked its health minister for the purchase of low-quality testing kits. Greek police are investigating a hospital for releasing elderly patients before they had recovered from COVID-19 so that it could admit new patients for more income.

In March, police in London arrested a man for selling counterfeit testing kits. Recently, a hospital in Amritsar, India, has been accused of issuing fake COVID-19 positive certificates to healthy people to earn big money.

However, Bangladesh has moved extra miles in innovative and massive corruption. From buying substandard medical equipment to the distribution of food and cash aid to poor people, corruption has engulfed the entire COVID-19 response system in this South Asian country.

When intolerance marches to religious extremism

 

Muslims protest against a possible move to change status of State Religion Islam in the Constitution at Dhaka, the capital city of Bangladesh. (Photo: AFP)

On July 1 Bangladesh marked the 4th anniversary of a black day, but it passed silently as the nation continues to shiver under the spell of the Covid-19 pandemic.

On the fateful evening of 2016, five local extremists, linked with global terror outfit Islamic State (IS), barged into a café in capital Dhaka and opened fire, killing 20 guests, mostly foreigners.

The worst terror attack in Bangladesh's history was the culmination of a deadly campaign by homegrown Islamic extremists since 2013. The campaign left some 50 people dead, including atheist bloggers, liberal writers, publishers and academics, LGBT activists, religious minorities, and foreigners. Dozens of atheist bloggers and writers fled to Europe and America following death threats.

It was a lethal blow to Bangladesh's long-held image as a liberal Muslim country, and its economic and political fallout threatened the political future of ruling Awami League.

The government response was heavy-handed. Some 50 leaders and operatives of extremist outfits were eliminated in a series of police raids, and dozens were arrested and put on trial in the following months. Amid this massive crackdown, extremist outfits almost broke down.

On the other hand, political and non-political Islamists were fought on two fronts.

First, the leadership of Jamaat-e-Islami, the country's largest Islamist party and long-time opponent of Awami League, were put on trial, leading to executions and jailing by War Crimes Tribunals, for their crimes against during 1971 war of independence from Pakistan. The party is gasping for survival because of its weak organization, infighting, and lack of influential leaders.

Awami League was also successful in neutralizing some top radical Islamic groups like Hefazat-e-Islam (Protectors of Islam) allegedly by buying out their leaders.

In 2013, Hefazat organized a rally of half of million Muslims in Dhaka to demand a strict blasphemy law and execution of atheist bloggers for defaming Islam. The rally turned violent as protesters attacked vehicles, shops and clashed with police, leaving dozens dead and scores injured.

Four years since the café attack, has Bangladesh overcome religious extremism? Not really.

Three recent incidents show that extremism is alive and active in the naiton's social psyche, and the efforts to uproot it by brute force and political tact have failed.

Jul 19, 2020

আর্চ‌বিশপ ম‌জেস এম. কস্তা, সিএস‌সি: এক‌টি ব্য‌ক্তিগত সাক্ষাৎ ও পর্যা‌লোচনা



সদ্য প্রয়াত আর্চ‌বিশপ ম‌জেস মন্টু কস্তা, সিএস‌সি ম‌হোদ‌য়ের সা‌থে আমার প্রথম প‌রিচয় ১৯৯৬ খ্রিস্টা‌ব্দে, জাতীয় ক্যাথ‌লিক প‌ত্রিকা সাপ্তা‌হিক প্র‌তি‌বেশীর সৌজ‌ন্যে। তখন আ‌মি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র, বয়স স‌বে দশ পে‌ড়ি‌য়ে এগা‌রো। প্র‌তি‌বেশী প‌ড়ে জানলাম ৪৬ বছর বয়সী ফাদার ম‌জেস‌কে পোপ ২য় জন পল দিনাজপুর ধর্মপ্র‌দে‌শের বিশপ নিযুক্ত ক‌রে‌ছেন। সে সময় ‌তি‌নি ছি‌লেন বাংলা‌দে‌শের সর্বক‌নিষ্ঠ ক্যাথ‌লিক বিশপ। ১৯৮১ খ্রিস্টা‌ব্দে প‌বিত্র ক্রুশ (Holy Cross) সম্প্রদা‌য়ের যাজক হি‌সে‌বে অ‌ভি‌ষে‌কের ১৫ বছ‌রের মাথায় তি‌নি এ মান্ড‌লিক গুরুদা‌য়িত্ব পান। তাঁর সম্প‌র্কে খুব বে‌শি কিছু জানা সম্ভব ছিল না, কারণ এ‌কে তো আমার বয়স ছিল কম এবং তখন বর্তমা‌ন জমানার ম‌তো গণমাধ্যম (মূলধারা ও ধর্মীয়) ও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌ম ছিল না, তথ্য পাওয়া ছিল ক‌ঠিন ব্যাপার।

পরবর্তীকা‌লে আমার সে‌মিনারী জীব‌নে (১৯৯৯-২০০৭) যাজক ও বিশপ ম‌জেস সম্প‌র্কে জানার সু‌যোগ হ‌য়ে‌ছে এবং বি‌ভিন্ন প্রোগ্রা‌মে উনার সা‌থে সাক্ষাৎ হ‌য়ে‌ছে। এক অজ্ঞাত কারণে, অ‌ধিকাংশ সেমিনারীয়া‌নের ম‌ধ্যে বিশপ ও আর্চ‌বিশপ‌দের সম্প‌র্কে বি‌শেষ ভী‌তি কাজ ক‌রে, তারা তা‌দের কাছ থে‌কে দূরত্ব বজায় রা‌খে। আমিও তাঁর ব্য‌তিক্রম ছিলাম না। সুতরাং সে‌মিনারী জীব‌নে বিশপ ম‌জেসসহ অন্যান্য ধর্মগুরু‌দের সা‌থে অ‌নেকবার সাক্ষাৎ হ‌লেও ব্য‌ক্তিগত আলা‌পের সু‌যোগ ঘ‌টে‌নি। উনার সা‌থে স‌ত্যিকার সাক্ষাত ও প‌রিচয় হয় ২০০৯ খ্রিস্টা‌ব্দে ময়মন‌সিং‌হের বিড়ইডাকুনী ধর্মপল্লী‌তে যেখা‌নে ২৪তম জাতীয় যুব দিব‌সের আসর ব‌সে‌ছিল, যার মূলভাব ছিল: "আমরা তো আশা-ভরসা রে‌খে‌ছি স্বয়ং জীবনময় ঈশ্ব‌রেরই উপর" (১ তিম‌থি ৪:১০)।

বিশপ ম‌জেস তখন বিশপীয় (CBCB) যুব ক‌মিশ‌নের চেয়ারম্যান। আ‌মি তখন সদ্য সে‌মিনারী ছে‌ড়ে হংকংভি‌ত্তিক ক্যাথ‌লিক সংবাদ মাধ্যম UCAN-এ চাকু‌রি শুরু ক‌রে‌ছি এবং বিশপীয় যুব ক‌মিশ‌নের সে‌ক্রেটা‌রি ফাদার প্যা‌ট্রিক শিমন গ‌মে‌জের উৎসা‌হে ক‌মিশনের নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য প‌দে যোগদান ক‌রে‌ছি। যুব দিব‌সে অংশ নি‌য়ে‌ছিলাম রি‌পো‌র্টিং ও ডকু‌মে‌ন্টেশন উপ-ক‌মি‌টির আহ্বায়ক হি‌সে‌বে এবং UCAN এর জন্য রি‌পোর্ট করার উ‌দ্দে‌শ্যে।  চারদি‌নের প্রোগ্রা‌মে প্র‌তি রা‌তে মূল্যায়ন মি‌টিং হ‌তো কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সদস্যবৃন্দ ও সকল ক‌মি‌টির আহ্বায়কদের সমন্ব‌য়ে। বিশপ ম‌জেস সকল মি‌টিং‌য়ে উপ‌স্থিত থাকার চেষ্টা কর‌তেন এবং যে‌কোন প্রকার সমস্যার সমাধান ক‌রে দি‌তেন। অ‌নেক সময় বি‌ভিন্ন বিষয় নি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি কিংবা সদস্যরা উত্তপ্ত হ‌লেও তি‌নি বরাবর সহনশীল ছি‌লেন, এবং যা সব‌চে‌য়ে ভা‌লো সেটার বিষ‌য়ে সিদ্ধা‌ন্তে আস‌তে সহায়তা কর‌তেন। তখন থে‌কে তাঁর প্র‌তি আমার বি‌শেষ শ্রদ্ধা জ‌ন্মে। যুব দিব‌সে তি‌নি খুব বে‌শি বক্তব্য দেন নি য‌দিও পু‌রো সময় তি‌নি ‌গোটা প্রোগ্রা‌মে উপ‌স্থিত ছি‌লেন। ‌তাঁর বলা অ‌নেক সুন্দর কথার মা‌ঝে যেটা বে‌শি ম‌নে প‌ড়ে তা হ‌লো, "যুব দিবস এক‌টি উৎসব এবং এক‌টি তীর্থযাত্রা, যেখা‌নে আমরা যীশুর স‌ঙ্গে পথ চল‌তে ও বে‌ড়ে উঠ‌তে শি‌খি প্রার্থনায় ও আনন্দময়তায়।"

‌বিড়ইডাকুনীর প‌রে রাজশাহী‌র পালকীয় সেবা‌কে‌ন্দ্র (২০১০), ঢাকার কেওয়াচালা ধর্মপল্লী (২০১১) ও চট্টগ্রা‌মের দিয়াং আশ্র‌মে আঞ্চ‌লিক ( ২০১১) ও জাতীয় (২০১৩)  যুব দিব‌সে বিশপ ম‌জে‌সের সাহচর্য্য লা‌ভের সু‌যোগ হ‌য়ে‌ছে। ২০১১ খ্রিস্টা‌ব্দে চট্টগ্রা‌মের বিশপ প‌দে আসীন হওয়ার এবং ২০১৭ খ্রিস্টা‌ব্দে আর্চ‌বিশপ প‌দে অ‌ধিষ্ঠান অনুষ্ঠান কাভার করে‌ছি। এছাড়াও বি‌ভিন্ন সম‌য়ে নানা সামা‌জিক ও ধর্মীয় ইস্যুভি‌ত্তিক রি‌পোর্ট কর‌তে গি‌য়ে বেশ ক‌য়েকবার তাঁর সাক্ষাৎকার নি‌য়ে‌ছি। ব্য‌ক্তিগত সম্মান ও শ্রদ্ধার বাই‌রে ধর্মগুরু ম‌জে‌সের সা‌থে আমার প‌রিচয় ও সম্পর্ক মূলত পেশাদা‌রিত্বের এবং একদার যুবকর্মী হি‌সে‌বে। তাঁর সা‌থে কোন ব্য‌ক্তিগত ও প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক লেন‌দেন করার প্র‌য়োজন বা সু‌যোগ হয় নি কোন‌দিন। তবুও ক‌রোনা ভাইরা‌সে তাঁর রোগ‌ভোগ, রোগমু‌ক্তি এবং সর্ব‌শেষ বিগত ১৩ জুলাই ম‌স্তি‌স্কে রক্তক্ষরণজ‌নিত স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে অকস্মাৎ মৃত্যু আমা‌কে যারপরনাই ব্য‌থিত ক‌রে‌ছে। তাঁর ম‌তো একজন সু‌যোগ্য ধর্মগুরুর সহসা প্রস্থান বাংলা‌দে‌শের ক্ষুদ্র ক্যাথ‌লিক খ্রিস্টান সম্প্রদা‌য়ের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষ‌তি। তাঁর জীবন ও ক‌র্মের নি‌র্মোহ বি‌শ্লেষণ ক‌রে এবং তাঁর সা‌থে ব্য‌ক্তিগত অ‌ভিজ্ঞতার বরা‌তে একথা নি‌র্দ্বিধায় বলা যায় তি‌নি ছি‌লেন এক‌মেবা‌দ্বিতীয়ম (অনন্য, তুলনাহীন)। মানুষমা‌ত্রেই সক‌লের সবলতা ও দুর্বলতা থা‌কে, তি‌নিও তাঁর ব্য‌তিক্রম ছি‌লেন না। কিন্তু তাঁর সবলতাগু‌লো অসামান্য ও অভাবনীয়, যা তাঁ‌কে বাংলাদেশ ক্যাথ‌লিক মন্ডলী‌তে ও ভক্ত‌দের হৃদ‌য়ে চিরস্থায়ী আসনে প্র‌তি‌ষ্ঠিত ক‌রে‌ছে। সে কার‌ণে দিনাজপুর ও চট্টগ্রা‌মের পর ঢাকার আগামী আর্চ‌বিশপ প‌দে তি‌নি একজন জোরা‌লো প্রার্থী ছি‌লেন, বিশ্বস্ত সূ‌ত্রে তা জানা গে‌ছে। কিন্তু ৭০ বছর বয়‌সে তাঁর মহাপ্রয়াণ মন্ডলী‌তে অ‌ধিকতর সেবাদা‌নের পথ রুদ্ধ ক‌রে‌ছে। তাঁর মহাজীব‌নের মূল্যায়ন করা বেশ দুস্কর, তবুও আমার ক্ষুদ্র অ‌ভিজ্ঞতায় তাঁর কী‌র্তি ও প্রয়া‌সের প্র‌তি আ‌লোকপাত করার প্র‌য়াস।

Jul 10, 2020

The scourge of fair and lovely

 

There were muted cheers among feminists and women’s rights campaigners in South Asia at the news at the end of June that the Indian arm of global consumer goods giant Unilever would rebrand its popular skin-whitening cream for females, Fair & Lovely, to Glow & Lovely. It also announced dropping the words “fair, light and white” from its line of beauty products.

Other global conglomerates like L’Oreal made similar announcements to drop words like “fairness” and “whitening” from its products, while Johnson & Johnson said it might step away from the beauty products business.

For decades, these companies have made millions from skin-lightening products and have been accused of promoting colorism or light-skin supremacy in their prime markets in Asia, Africa and the West. There was little objection because whitening is big business. The global skin-lightening industry made over US$8.3 billion in 2017 and is expected to peak at $31.2 billion by 2024, according to Global Industry Analysts, a market intelligence firm.

Since its inception in 1971, Fair & Lovely became Unilever’s most iconic beauty product found in markets and supermarkets of Asia, Africa and the West, selling to some 300 million teenagers and women annually. This is despite the fact the product has faced extensive criticism for promoting colorism and making darker-skinned girls feel insecure and worthless. It has been quite evident as the brand has always used lighter-skinned actresses and models from countries like India, Bangladesh and elsewhere to advertise the cream and promote the unethical and unfair idea that light skin means a good marriage and a good job. 

Jun 30, 2020

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোঃ এশীয় মন্ডলীর গণমাধ্যম অগ্রদূত

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো (সিঙ্গাপুর, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ)

আজ হতে সাতাত্তর বছর আগে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে একটি ইতালীয় অভিবাসী পরিবারে যে এক দেবশিশুর জন্ম, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের কালে নীরবে তাঁর জীবনের যবনিকাপাত। সাত দশকের বেশি সময়ের জীবন তাঁর মহিমান্বিত কর্মগাঁথায় আলোকিত, এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর একজন মহান মিশনারী ও গণমাধ্যম দিশারী হিসেবে অতুলনীয়।

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো (ফাদার বব নামে সমধিক পরিচিত) নিউ ইয়র্ক শহরের একটি হাসপাতালে বিগত ২৫ জুন, ২০২০ খ্রিস্টাব্দে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শতবর্ষী  মিশনারী ধর্মসংঘ মেরীনল সম্প্রদায়ের যাজক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ফাদার ববের বোন জ্যানেট এস্টোরিনো তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ৩০ জুন মেরীনল সংঘের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরিতগণের রাণী গির্জায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিস্টযাগ শেষে তাঁকে অন্তিম শয্যায় শায়িত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে এমন এক মহান মিশনারী পুরোহিতের দেহাবসান ঘটল যিনি তাঁর পাঁচ দশকের যাজকীয় ও মিশনারী জীবনের অধিকাংশ সময় এশিয়া মহাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর সেবায় কাটিয়েছেন।

ফাদার বব ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম ইউনিয়ন অব ক্যাথলিক এশিয়ান নিউজ (UCAN) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুদীর্ঘ ৩০ বছর প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে অবসর নেন।

রবার্ট এস্টোরিনোর জন্ম নিউ ইয়র্ক শহরে ২৭ মে, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ইতালি থেকে অভিবাসী হিসেবে আমেরিকাতে এসে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। মেরীনল সম্প্রদায়ে সেমিনারিয়ান হিসেবে প্রবেশের পূর্বে তিনি বিভিন্ন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন। যাজকীয় প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে মেরীনল যাজক হিসেবে অভিষেক লাভ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কের ফোরডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যায় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এশীয় মন্ডলীতে মিশনারী

ফাদার বব ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ মিশনারী হিসেবে কাজ করতে আসেন। প্রাথমিকভাবে তিনি একদল মেরীনল যাজকের সাথে চাইনিজ ভাষা শেখেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ড হতে হংকং-এ পালিয়ে আসা শরণার্থী এবং তাদের সন্তান যুবক-যুবতীদের মধ্যে কাজ করেন।

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ প্রেরণ কাজে মনোনিবেশ করেন এবং পরবর্তীতে সেটা এশীয় ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য তাঁর আজীবনের পালকীয় ও মিশনারী সেবাকাজে পরিণত হয়। তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ কমিশন ও সেটার কার্যালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখেন এবং কয়েক বছর তিনি সেটার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫-১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি হংকং-এর চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও সংবাদধর্মী লেখার বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

ফাদার বব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্যাথলিক গণমাধ্যম সংস্থার এশীয় শাখার নানা পদে দায়িত্ব পালন করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইস্ট এশিয়া ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন (EACPA)। সে সময় তিনি উপলব্ধি করেন এশিয়ার ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদানে অনেক ঘাটতি রয়েছে। ১৯৭০-৮০’র দশকে দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার আলোকে এশীয় ক্যাথলিক মন্ডলীতে এক নবজাগরণ চলছিল এবং দেশে দেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিশপীয় কনফারেন্স এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে উঠছিল। কিন্তু সে অনুপাতে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও বজায় রাখার ভাল কোন গণমাধ্যম ছিল না।

মূলত এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান এবং ইউরোপ, আমেরিকা তথা বিশ্ব মন্ডলীর কাছে এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীর কার্যক্রম, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ, সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরতেই ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ তিনি ইউকানের প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ১৪টি সংবাদ ব্যুরো স্থাপিত হয়, যা ২২টির মত দেশকে ইউকানের কভারজে নিয়ে আসে । ইটালির রাজধানী রোমেও ইউকান স্থায়ী সংবাদদাতা নিয়োগ দেয়। কালক্রমে ইউকান শুধু এশিয়া নয় বরং গোটা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পত্র-পত্রিকা, জার্নাল, রেডিও, টিভিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টান গণমাধ্যম ইউকানের সংবাদ ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে শুরু করে। প্রথমে মূলত ইংরেজি ভাষায় যাত্রা শুরু করলেও ইউকান পরবর্তীতে চাইনিজ, কোরিয়ান, ভিয়েতনামী, ইন্দোনেশীয় ও ফিলিপিনো ভাষায় অনুবাদিত সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে।

এশীয় মণ্ডলীর পালকীয় সেবার লক্ষেই ক্যাথলিক সাংবাদিকতাকে তিনি তাঁর মিশনারী জীবনের কেন্দ্রবিন্দু করেছিলেন। সে কারণে (UCAN)-এর মিশন হিসেবে তিনি বেছে নেন “এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর সম্পর্কে এবং ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য সংবাদ।“ ইউকান মূলত অনলাইন মিডিয়া হলেও ফাদার বব তাঁর সময়কালে “এশিয়া ফোকাস” (Asia Focus) নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদ বুলেটিন ছাপানোর ব্যবস্থা করেন, যা চাঁদার বিনিময়ে এয়ার মেইলের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো।

একজন সুদক্ষ সাংবাদিক, গণমাধ্যম অগ্রদূত ও শিক্ষক হিসেবে তিনি বছরের পর বছর এশিয়ার নানা দেশ চষে বেরিয়েছেন। অজস্র প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করে বহু ক্যাথলিক সাংবাদিককে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে কাজ করার দক্ষতা অর্জনে অসামান্য সহায়তা করেছেন। তাঁর শিক্ষা পেয়ে পরবর্তীকালে অনেকে শুধুমাত্র ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম নয় বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে ও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের শিক্ষাবিদ ও ইউকান বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান চাইনারং মন্থিয়েনভিচিএঞ্চাই ফাদার ববকে “তাঁর সময়ের একজন গণমাধ্যম অগ্রদূত” হিসেবে আখ্যা দেন যিনি তাঁর “অসামান্য নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণা দিয়ে এক দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন।“

তিনি বলেন, “তাঁর সময়ে যারা অধীনে কাজ করেছে তারা মূলত তাঁর মতই সাংবাদিকতাকে একটি প্রেরণ কাজ হিসেবে গ্রহণ করে সেটা করত, আর্থিক বা পেশাদারি অর্জন তাদের কাছে মুখ্য ছিল না।“

আমেরিকান ক্যাথলিক গণমাধ্যম ক্যাথলিক নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক বারবারা ফ্রেজ বলেন, “ইউকান শুরুর পর প্রথমদিকে ফাদার বব যখন আমাদের অফিসে আসতেন, তিনি বলতেন ইউকানের সংবাদ পুরনো হলেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এশীয়রা এগুলো লিখে এবং তা এশীয় মন্ডলীর কথা বলে যা কেউ বলছে না বা লিখছে না।“  

স্বনামধন্য ভারতীয় সাংবাদিক এ. জে. ফিলিপ বলেন, “বব এস্টোরিনো ছিলেন একজন দূরদর্শী, যিনি সাংবাদিকতাকে তাঁর প্রেরণকাজ (Mission) হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর কাছে বাণীই ছিল ঈশ্বর।  

জীবদ্দশায় ফাদার বব তাঁর অসামান্য কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন তাঁকে “বিশপ জন ইংল্যান্ড” পুরস্কারে ভূষিত করে এবং জানায় যে এ পুরস্কার “ক্যাথলিক প্রেসকে ব্যবহার করে ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সুরক্ষার এবং মুক্ত সমাজ গঠনের অবিরাম প্রয়াসের স্বীকৃতি।“

এছাড়াও ফাদার বব এশীয় ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী (FABC)-এর একজন উপদেষ্টা এবং ভাটিকানের পোপীয় সামাজিক যোগাযোগ পরিষদের (PCSC)-এর একজন সদস্য হিসেবে অনেক বছর দায়িত্ব পালন করেন।

ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো ইউকান বাংলাদেশ সংবাদদাতা প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় কারিতাস কেন্দ্রীয় অফিস চত্বরে, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
 এশিয়ার মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা

ফাদার ববের হাতে গড়া সাংবাদিক ও সাবেক সহকর্মীরা তাঁকে শুধুমাত্র একজন অসামান্য গুরু বা শিক্ষক হিসেবেই নয়, পাশাপাশি তাঁকে একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবেও মনে রেখেছেন। তাদের অনেকের কাছে তিনি ছিলেন সাহসী সাংবাদিক, সহজ-সরল জীবন, সাধু চরিত্র এবং স্নেহশীল পিতার ন্যায়।

ইউকান ইন্ডিয়ার সাবেক ব্যুরো প্রধান জোসেফ কাভি বলেন, “তিনি আমার সাংবাদিক জীবনের গুরু। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি তাঁর সাথে কাজ করেছি। তিনি ছিলেন একজন চীন বিশেষজ্ঞ এবং এশিয়ার একজন সত্যিকার মিশনারী। তিনি এশিয়ার মানুষ ও সংস্কৃতিকে অনেক ভালবাসতেন। তিনি আমাদের উৎসাহ দিতেন যেন আমরা ছোট বা বড় সব ঘটনার মাঝে ঈশ্বরকে খুঁজে পাই।“

সিঙ্গাপুর নিবাসী ও ইউকানের সাবেক উপ-সম্পাদক খ্রিস্টফার খো লিখেছেন, “ইউকানকে ফাদার বব একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে দেখতেন এবং তাঁর কাছে কর্মীরা ছিল পরিবারের একেকজন সদস্য।“

দেশে বিদেশে তাঁর দীক্ষা পাওয়া অনেকে তাঁর অসাধারণ সব শিক্ষা ও উক্তির কথা আজ মনে রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতমঃ Show, Don’t Tell (বোলো না, দেখতে দাও). তিনি প্রায়ই বলতেনঃ When we change the way we look at things, the things we look at change (যখন আমরা কন কিছুর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই, তখন গোটা বিষয়টাই বদলে যায়)।

ফাদার বব ক্যাথলিক মন্ডলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী পরিবর্তনের প্রতিভূ দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার শিক্ষায় আলোকিত মনিষী ছিলেন। তাঁর সব কাজ, আচরণ ও শিক্ষায় তাঁর সুস্পষ্ট ছাপ ছিল। তিনি এশিয়াতে ক্যাথলিক মণ্ডলীর আন্তঃধর্মীয় সংলাপের অনেক প্রশংসা করতেন এবং পরধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, “এশিয়াতে খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু, কিন্তু তারা ভালভাবে টিকে আছে। এর কারণ হল তারা অন্য ধর্মের অনুসারীদের আস্থা অর্জন করেছে এবং তারা তাদের সহায়তা করেছে। এটাই হল আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সৌন্দর্য।“

ইউকানের ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ফাদার বাংলাদেশে আসেন। সে বছর ২২-২৬ জুলাই ঢাকার কারিতাস মিলনায়তনে তিনি দেশের পাঁচটি ধর্ম প্রদেশ হতে আগত ১৪ জন ভাবী ইউকান সংবাদদাতাকে তিনি ইউকান কী, কেন এবং কিভাবে ইউকানের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করতে ও লিখতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক ও সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর প্রাক্তন সম্পাদক জেরোম ডি’কস্তা ছিলেন ইউকানের প্রথম বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং ব্যুরো প্রধান। তিনি এই কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।

সে প্রশিক্ষণে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইউকানের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রখ্যাত হলিক্রস মিশনারী ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম এবং কারিতাস বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডঃ বেনেডিক্ট আলো ডি’ রোজারিও।

বর্তমানে কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডঃ আলো ডি’রোজারিও ফাদার ববের মহাপ্রয়াণে বিশেষ শোক প্রকাশ এবং তাঁর অসাধারণ অবদানের কথা স্মরণ করেছেন।

তিনি এক বার্তায় বলেনঃ “ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোর হাতে আমাদের সাংবাদিকতা শিক্ষার হাতেখড়ি। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন কিভাবে সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সরাসরিভাবে রিপোর্ট লিখতে হয়। এশিয়া মহাদেশ এবং তার বাইরেও বহু সাংবাদিকের কাছে ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।“

এরপরেও ফাদার বব কয়েকবার বাংলাদেশে আসেন এবং সর্বশেষ আসেন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি ইউকান বাংলাদেশের ১৬জন সংবাদদাতাকে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকার কারিতাস সিডিআই মিলনায়তনে। সে সময় অমিয় জেমস এসেনসন ( বর্তমানে কানাডা প্রবাসী) ছিলেন ইউকানের ব্যুরো প্রধান। বাংলাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রতি তাঁর মূল্যায়ন ছিল খুবই ইতিবাচক। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলী খুব ক্ষুদ্র হলেও দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে, স্থানীয় মন্ডলী শক্ত ভিত্তির উপর স্থাপিত এবং উপাসনার সংস্কৃত্বায়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বাস্তবিক অর্থেই ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো একজন মহান মিশনারী ছিলেন। এশিয়াতে ক্যাথলিক মন্ডলীর যোগাযোগ ও মিডিয়া ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য, অভূতপূর্ব ও তা নিশ্চিতভাবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মিশনারী জীবন ও সেবাকাজ যুগ যুগ ধরে অনেকের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।।


Jun 26, 2020

Glowing tribute to a great missionary


Father Robert Astorino, MM (1943- 2020) Photo: Christopher Khoo
Grief has overtaken me since the news came out of the blue. Maryknoll priest Father Robert Astorino (popularly known as Father Bob) passed away in New York on June 25. He was 77. Following his ordination in 1970 he came to Hong Kong as a missionary and spent most of his 50 years of priestly life in Asia. Father Bob was my first guru in journalism and I believe if I did not meet him 2009 I could not stay in this field and accept it as a personal and collective mission. I am so shocked as if I have lost my father, but I am unable cry. I have resorted to writing, what he has taught me like many others, to pay a tribute to him.
Literally, Father Bob was the messiah for the Catholic Church in Asia when it comes to social communication. In the 1970s, he found local Catholic Churches didn't know each other well in absence of effective communication channels. Thus, he dedicated himself in developing and leading the media mission for the Catholic Church in Asia for over next three decades. In 1979, he founded Union of Catholic Asian News (UCAN), the largest Christian news agency in Asia, in Hong Kong. He led the agency as the executive director until 2008. He traveled across Asia, developed 14 bureaus covering 22 countries and trained dozens journalists for UCAN, many of whom went on to become journalists for the secular press as well. As a skilled trainer he taught people how to see, listen and feel everything in Asia in their originality and to put them in words properly and effectively. He was rewarded for his outstanding services. In 1998, Catholic Press Association in the United States awarded him the Bishop John England Award. For many years he served as a consulter for the Vatican's Pontifical Council for Social Communications.
Father Bob with reporters during a training in Bangladesh in 2009
Father Bob was my first and so far the best mentor in journalism. He trained me with others in journalism and Catholic Church's mission in Asia among many other things in Bangladesh and Thailand on three occasions in 2009. He is the best human communicator I have ever met in my life. I didn't have a chance to work with him, but he has made a lasting impression on my life and career path. He was a simple, saintly and fatherly figure to all who met and came in touch with him.
He was a highly trained media professional with a great heart full of love and compassion for people and culture in Asia. He always encouraged people to be committed to truth and to see extraordinary in ordinary things. I will never forget his prophetic words: "When you change the way you look at things, the things you look at change." He was a great admirer of inter-faith dialogue. I remember how he trained us to love and to see good things in non-Christians, especially Muslims during a training in Bangkok. "Christians are a minority in Asia, but they have survived because people of other faiths have supported them. That is the beauty of inter-faith harmony." He recalled that he was shocked over the 9/11 terrorist attack on Twin Towers. "I was thundered! I realized Christians have failed to have a good dialogue with people who grew up with so much hatred that exploded in such a tragic way!"

Father Bob with reporters from Bangladesh, Pakistan, Cambodia, Indonesia, Singapore and Mongolia at UCAN House, Bangkok, Thailand (2009)
Father Bob was a gift for the Church in Asia and world. Thus, his demise is a great loss for Catholic Church in Asia as well the universal Church. He might have ended his race of life and faith, but his great life and works will continue to inspire many in the days to come. He was a star that will keep flashing and enlightening forever. May God grant his great servant eternal rest in heaven.

*A number of prominent media outlets covered the news of the demise of Father Bob and also paid tributes to him. They are as follows:

UCAN


Asia News


Catholic News Service


National Catholic Reporter


Matters India



LiCAS News


Herald Malaysia


Jun 24, 2020

Time to say adieu to extravagant weddings

 

In India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long events full of unnecessary grandeur. (Photo: Unsplash)

A Bangladeshi Christian couple recently tied the knot at a Catholic church in Gazipur district of central Bangladesh in the presence of 10 relatives.

The wedding Mass was followed by a simple reception including lunch attended only by a handful of relatives from both sides. The whole program came to an end before sunset.

This was a Covid-19-protocoled marriage ceremony allowed under government-mandated health guidelines. There are many such weddings in the pipeline. In normal circumstances, it would have been unthinkable.

In South Asian nations including India, Pakistan and Bangladesh, weddings are often week-long extravagant events full of unnecessary grandeur. They have little in common with culture and traditions.

It is in striking contrast to the staggering socioeconomic situation in South Asia, home to one third of the world’s poor who survive on less than US$2 per day.

Jun 21, 2020

My Father



My Father Atul Bernard Rozario was born in an extended family that consisted of four sons and four daughters, at Choto Satanipara village, Kaliganj of Gazipur district. He is the seventh in order among the children of Polin Augustine Rozario, a farmer and well-known singer of Thakurer Geet (Ballad of St. Anthony).

Following footsteps of his father, he learned farming well, but also completed education upto matriculation. For a brief period in early 1980s, he was involved in clothes trade in capital Dhaka and married in late 1982. Then, he worked in Kuwait for about four years, but decided to return home forever after being seriously ill. He tried his luck in a number of jobs for years but quit for various reasons. After giving up on jobs, he devoted his attention on farming on a small amount of ancestral land he got from his late father. He randomly got into businesses of raw clothes (Than), and then into coconut, green banana, jackfruits etc. In 2001, he got a low-paid job as a caretaker of an NGO, which he continued for about seven years. In the long years between farming and NGO work, my father was cheated and denied well-deserved jobs in several places that saddened him forever. On personal and family front he was deprived of due support that could help him prosper in life.

Except for clothes trade in Dhaka and Kuwait job, my father didn't have a steady and good income. So, the family mostly struggled for survival amid poverty. He lost the first child, a daughter, within months of her birth. He fathered three sons, and for most part he couldn't afford their well-being including education due to poverty and low income. His inability to earn a better income, run the family well and negligence caused frustration, arrogance and inferiority complex in him for a long time. He ended up becoming an introvert and tried to hide pain within himself. Thus, his relationship with sons was a bit complex and formal.

Despite his shortcomings in prospering financially, my father is known for his legendary honesty, hardworking spirit and religiosity. He has always taken great pride in those virtues and dislikes dishonesty and cheating. He has been a great fan of classic movies and music, and once he had a large collection audio cassettes of Bengali and Hindi classical songs.

Today, my father is proud to see all three of his sons have become established in life after getting higher education. They became journalist, teacher and accountant in their professional arena. The family has bid farewell to poverty and life is relatively better and secure. He is happy that his lifelong struggle has paid off. May God grant him good health and mind to lead a happy life longer.

On Father's Day, I pray so that my father and all fathers in world be happy, proud and honored for their contributions in the family, the society,  the state and the world.

Happy Father's Day!

Jun 14, 2020

Children's dreams nipped in the bud

No caption needed, the picture tells it all. (Photo: GMB Akash)
Internationally acclaimed Bangladeshi photographer GMB Akash posted an image on Facebook on June 10 that showed an approximately 10-year-old girl, dressed in school uniform, riding an auto rickshaw with her father at a traffic signal in Dhaka. Standing nearby, a boy of her age was trying to sell popcorn to her.

The caption read: “At the age where he should play and study, he is earning to fill his stomach! No one deserves this childhood!”

Thousands expressed their shock at this sad reality, while dozens blamed the boy's parents and failed social and state systems for failing to ensure his proper upbringing.

The scene is shocking and heart-rending but it is a familiar picture in poorer and developing nations around the world. Millions of children continue to lose their childhood, potential and dreams every year.

Some 153 million children aged 5-17, or almost one out of 10, are engaged in child labor across the globe, including 73 million in hazardous jobs, according to the United Nations.

South Asia, which accounts for one third of the world’s poor, is home to 17 million child laborers and 50 million children are out of school, the International Labor Organization (ILO) reported.

South Asia's ticking Covid-19 time bomb

Funeral workers in Bangladeshi capital Dhaka bury a person who died from Coronavirus (Photo by Stephan Uttom/UCA News)
The Covid-19 pandemic might have hit South Asia a little late, but the damage has already been done.

More than three months after the ordeal began, the region’s 1.7 billion people, one fifth of the world’s population, are passing their days and nights in fear of a grave human tragedy.

Major South Asian countries have seen a jump in daily infections from a month ago. In early May, Bangladesh was recording 400-500 infections; now it averages 2,500 a day. India has been registering about 10,000 new cases daily, up from about 2,500 in May.

Infections and deaths continue to surge in the region every day, yet India, Pakistan, Bangladesh, Sri Lanka and Nepal have eased nationwide lockdowns that somewhat managed to tame the deadly virus but failed to stop it effectively. 

Current trends in most South Asian nations indicate that the easing of the restrictions and heath emergency rules are most likely to fuel the spread of the pandemic that has rocked even the richest and most developed countries in the West.

South Asia’s massive population, extreme poverty, weak human resources and poor healthcare systems provide perfect conditions for a looming humanitarian disaster.

From lofty dreams to brutal deaths

Migrants from Bangladesh, Afghanistan and Pakistan wait to be taken to a Spanish NGO's boat during the rescue of 65 migrants in the Mediterranean Sea off the Libyan coast on Feb. 10. (Photo: AFP)
The brutal killing of 26 Bangladeshi and four African men in Libyan desert town Mizda by a mafia gang has grabbed global attention over the scourge of human trafficking.

Another 11 Bangladeshis, seriously wounded in the attack on May 28, were admitted to hospital. 

The horrific tragedy sent shockwaves across Bangladesh and triggered a massive media and public outcry. This was the worst massacre of Bangladeshi people in a foreign land since the country’s independence from Pakistan in 1971.

Requests from families and relatives to bring back the bodies to Bangladesh fell on deaf ears and the victims were reportedly buried where they were killed.

Media investigations revealed that the dead and the injured were victims of people smuggling and most of them were headed for Italy, which is just across the Mediterranean Sea from Libya.

Bangladesh stopped legal migration to Libya since the start of its civil war after the fall of Moammar Gadhafi in 2011, yet traffickers continued to operate effectively to smuggle Bangladeshis time and again.

The latest revelations prompted a manhunt by police and an alleged kingpin, Kamal Uddin ails Haji Kamal, accused of trafficking hundreds of Bangladeshis to Libya since 1997, was arrested.

Kamal, 55, is known as a haji who made the hajj pilgrimage to Mecca, philanthropist and respected man in his village in Kushtia district of western Bangladesh.

Lawmen alleged that Kamal used his tile and construction business as a front for human trafficking.

In a video interview, Tarikul Islam, one of the massacre survivors, recalled how he paid 450,000 taka (US$5,294) to one of Kamal’s agents and joined a group of 30 men who traveled from Bangladesh with valid passports and tourist visas via Nepal, Dubai and Egypt to finally reach Benghazi in Libya six months ago.

The agent in Libya sold them to a mafia gang on the way to Tripoli from Benghazi and they were locked up in a camp with another nine Bangladeshi men and dozens of Africans including Sudanese and Egyptians.

The mafia gang demanded US$12,000 from each of the inmates for their release and brutally tortured them with electric shocks and beatings with iron pipes every day. They were not given enough food and water, so some of them died.

Presumably frustrated over their confinement and abuse, a group of inmates attacked and killed one of their captors. Retaliation came with a barbaric revenge attack which left 30 murdered by machine gun fire.     

Such savagery is a tragic result of the unbridled scourge of human trafficking inflicted on poor people from Bangladesh and elsewhere.

Home, homeland and aliens

Rohingya refugees arrive in Bangladesh from Rakhine state of Myanmar in 2017 (Photo: AFP)

Home is a place always close to our hearts, not only because we were born, grew up and belong there but also because home is where there is love and care.

Our homeland is an extended version of home, which in addition invokes our patriotism.

Due to the Covid-19 pandemic and long lockdowns, we have been staying home not only because we love and care but mostly to save lives. But this long confinement at home has not been loving and caring for everyone as people are under pressure from loss of work and income, mental anguish and fear of death.

The troubles are even more dire for tens of thousands of internal and overseas migrant workers who returned home penniless and hopeless.

Despite this turmoil, people should remain calm and consider themselves luckier than the millions of poor souls around the world who are deprived of home and homeland.

There are nearly 70.8 million forcibly displaced people in the world, according to United Nations refugee agency UNHCR.

People are displaced by natural disasters and conflicts, and they are referred to by many names — refugees, stateless, internally displaced persons, asylum seekers, etc.

Maybe we should call them aliens, because they are alienated from what we all love — home and homeland.

Jun 10, 2020

The pandemic and our ecological sins

People gather at a beach of Cox's Bazar, Bangladesh (Photo: AFP)

In mid-April, a biologist filmed a heartwarming video of a jellyfish gliding through clean waterways with reflections of the grand places of Venice, the Italian city that used to be one of the most popular tourist destinations in the world before the Covid-19 pandemic struck.

Venice has been deserted since pandemic-stricken Italy went into lockdown on March 9. The jellyfish video went viral on social media and some were elated that nature was taking back the city.

Venice, a world heritage site, is fondly called one of the most romantic cities in Europe thanks to its environmental, architectural and cultural attractions. Its heritage has also become a burden given that an estimated 30 million tourists visit every year.

Venice gasped as the water in its canals became turbid through the endless movement of speeding boats and cruise ships. In addition to pollution by tourism, petrochemical discharges from nearby Porto Marghera industrial zone were also blamed for damaging its ecology.

Thousands of miles away, Bangladesh’s beach city of Cox’s Bazar has also experienced a natural revival since the country went into a nationwide Covid-19 shutdown on March 26.

After many years, dolphins were spotted playing in the Bay of Bengal near empty beaches in April. Sagorlota (beach morning glory), a key component of beach ecology, returned and flourished. The herb, also known as railroad vine, was thought to be have become extinct in Cox’s Bazar due to unrestrained movement of tourists, pollution and the construction of buildings along the beaches.

While Cox’s Bazar does not attract many foreign tourists, it is the most popular destination for Bangladeshi tourists, who care too little for the world’s longest unbroken stretch of sandy beaches and leave them covered in litter.

The natural reset in Venice, Cox’s Bazar and other parts of the world might be one of the few positive aspects in this time of great difficulties for the world.

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...