Jan 7, 2024

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in Dhaka on April 8, 2007. (Photo: AFP)

 ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান - একদার ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি জনবহুল দেশে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। এ বছরের মধ্যে তিনটি দেশেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর জের ধরেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো চিরাচরিত সাংঘর্ষিক রাজনীতি, পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং দমন-পীড়ণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

বিশে^র আটশ কোটির বেশি জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে। কিন্তু দরিদ্র সীমার নিচে বাসকারী পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক বাস করে এ অঞ্চলে। সাত দশকের বেশি আগে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও এ বিপুল দরিদ্র এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষম মানুষের জীবনের চরম দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সত্যিকার গণতন্ত্রের অভাব, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্চাচারী এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সীমাহীন দুর্নীতি এবং সমাজের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দরিদ্র, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নীতিমালা এবং কার্যক্রমের ঘাটতি।

দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশেই জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত, নির্যাতিত এবং ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠীর অন্তভুক্ত। ভারতে যেমন মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সম্প্রদায় অবহেলা এবং নিপীড়ণের শিকার, তেমনি পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু এবং উপজাতি জনগোষ্ঠী অধিকতর বঞ্চিত এবং নির্যাতিত। নেপালে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ও মুসলিম, শ্রীলংকায় হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা একইভাবে অবহেলিত এবং পশ্চাৎপদ। 

এক মহাজীবন ও পরিবর্তন ভাবনা

 

Photo: The Brilliance

আজ হতে দুই হাজারের বছরেরও বেশি সময় পূর্বে এক হিম শীতল রাতে জীর্ণ একটি গোশালায় এক মহামানবের জন্ম হয়েছিল। ঈশ্বরের মনোনীত ইহুদী (ইস্রায়েল) জাতিকে মুক্তি দিতে মারীয়া ও যোসেফের ঘরে দেবশিশু হিসেবে তাঁর আবির্ভাব। তাঁর নিজ জাতির মানুষ তাঁকে ত্রাণকর্তা হিসেবে মেনে নেয় নি এবং পরবর্তীতে ক্রুশে ঝুঁলিয়ে তাকে হত্যা পর্যন্ত করেছে। কিন্তু যীশুর প্রবর্তিত খ্রিস্ট ধর্মকে বিশ্বের প্রায় ২৪০ কোটির মতো মানুষ পালন ও হৃদয়ে ধারণ করে চলেছে। নানা তথ্য ও উপাত্ত ঘেঁটে বেশ কয়েক বছর আগে গবেষকেরা বের করেছেন যে “যীশু নামটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত।” 

খ্রিস্টানগণ যীশুকে নানা উপাধিতে ভূষিত করেন এবং সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেন, যেমন, খ্রিস্ট (মুক্তিদাতা), মশীহ (ত্রাণকর্তা) এবং ইম্মানুয়েল (ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন) প্রভৃতি। দুই সহস্রাব্দ পূর্বে তাঁর অবিস্মরণীয় জন্ম এবং তাঁর মহাজীবনকে উদ্যাপন করতে প্রতি বছর তাঁর অনুসারী কোটি কোটি ভক্ত ডিসেম্বরের পঁচিশ তারিখ ক্রিসমাস বা বড়দিন পালন করে থাকেন। 

বাইবেল বিশেষজ্ঞরা বলেন মহামানব যীশু মাত্র তেত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তার বাল্যকালের কিছু সময় এবং ক্রুশীয় মৃত্যুর আগে তাঁর তিন বছরের প্রকাশ্য জীবন ছাড়া তেমন কিছু জানা যায় না। অথচ এ সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি এমন অসামান্য কীর্তি সাধন ও জীবন যাপন করেছেন এবং বাণী রেখেছেন তা যীশুকে পৃথিবীর হাজার বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম মহাপুরুষের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। ঈশ্বরপুত্র হয়েও তাঁর চরম দীনবেশে জন্ম যেমন এক বিস্ময়কর ও অভূতপূর্ব ঘটনা, তেমনি তাঁর গোটা মানব জীবনই এক অমূল্য শিক্ষা ও অবিস্মরণীয় ইতিহাস। যীশুর জন্ম না হলে পৃথিবীর ইতিহাস ভিন্ন হতো এবং অপূর্ণ রয়ে যেতো। প্রাচ্যদেশে জন্ম হলেও পাশ্চাত্যে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার ও প্রসার সভ্যতার ইতিহাসে অভাবনীয় অবদান রেখেছে এবং কালক্রমে তার সুফল গোটা বিশ্ব‌কে আলোকিত করেছে।

যীশু: পরিবর্তনের পথিকৃৎ

জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি যীশুর জীবন পরিবর্তনের বার্তা রেখে গেছে -- যেভাবে কেউ আগে ভাবে নি, যে কথা কখনো বলা হয় নি এবং যে কাজ আগে কেউ করে নি -- সবটাই তিনি করে দেখিয়েছেন তাঁর এক ক্ষুদ্র মহাজীবনে। সমাজের তথাকথিত নেতা ফরিশীদের তিনি তিরস্কার করেছেন তাদের ভন্ডামি এবং লোক দেখানো কথা ও কাজের জন্য। করগ্রাহকের মতো সমাজে ঘৃণিত মানুষকে তিনি কাছে টেনেছেন, ব্যভিচারী নারীর মতো অত্যাচারিত এবং অসহায় বিধবার মতো অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

যে পরিবর্তনের বাণী ও শিক্ষা যীশু রেখে গেছেন পরবর্তীতে তাঁর শিষ্যগণ এবং প্রথম যুগের খ্রিস্টানগণ তা বিশ্বব‌্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। সারা বিশ্ব জুড়ে আজ শিক্ষা, চিকিৎসা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, মানবাধিকার এবং সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস তার মূলসূত্র মহামানব যীশুর জীবন ও শিক্ষা।

প্রতি বছর বড়দিন আসে এবং খ্রিস্টানগণ ঘটা করে তা পালন করে। কিন্তু ভাববার বিষয় হলো এ উৎসব কি শুধুমাত্র আনন্দ আয়োজন এবং বাহ্যিকতায় সীমাবদ্ধ? প্রতিটি বড়দিনের বার্তা হওয়া উচিৎ জীবনের পরিবর্তন - ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুষম উন্নয়ন এবং সাম্যভিত্তিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে। 

বৃহৎ পরিসরে না হোক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে যীশুর আদর্শ ও শিক্ষা মেনে জীবন উন্নয়নে পরিবর্তনের পথে শামিল হওয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য। অনেক বড় কিছু করতে না পারি ছোট ছোট কাজ অনেক বেশি উৎসাহ ও ভালোবাসা নিয়ে আমরা করার চেষ্টা করতেই পারি। জীবনকে পরিবর্তনের জন্য কিছু আসক্তি আমরা যদি ছাড়তে পারি এবং সুঅভ্যাস গড়ে তুলি, তবে তা আমাদের জীবন এবং আশেপাশের অনেকের জীবনকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।

সুখী হতে চাইলো তুলনা করো না

পিটার পার্ক মাধ্যমিক স্কুলের পর আর পড়াশোনা করতে পারে নি। তার বাবা মোটর মেকানিক বাবা জোসেফ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় যখন তার বয়স মাত্র দশ বছর। তার মা ক্যাথেরিন এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন এবং তিনি অনেক কষ্টে পিটার ও ছোট ছেলে পলকে বড় করেন। কিন্তু ব্রেন ক্যান্সারে ক্যাথেরিন মারা যান এবং তাদের দুই ভাই তাদের আন্টি (মায়ের বোন) ক্রিস্টেনের পরিবারে থাকতে শুরু করে। অল্প বয়সে পিতা-মাতা হারানো এবং আশ্রিত জীবন পিটারের মনে গভীর দাগ কাটে। সে যখন দেখতো তার কাজিনরা বাবা-মার সাথে আনন্দ করছে এবং সুন্দর সময় কাটাচ্ছে, তার তখন খুব রাগ হতো। খেলার সময় সে ইচ্ছে করে তার কাজিনদের আঘাত করার চেষ্টা করতো। তার পড়াশোনায় মন বসতো না, শুধু বাইরে বেড়াতে ইচ্ছে করতো। 

স্কুল ছাড়ার পর পিটার একটি বারে চাকুরি নেয়, কিন্তু খুব দ্রুত মদের নেশা ধরে যাওয়ায় তার চাকরি চলে যায়। পরে সে তার বাবার মতো এক মোটর গ্যারেজে কাজ শুরু করে, যদিও নেশা সে ছাড়তে পারে নি। একদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয় এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালে এক যুবতী নার্স তাকে অনেক যত্ন করে, তাকে পিটারের বেশ ভালো লেগে যায়। কথা প্রসঙ্গে রেবেকাকে সে তার জীবনের সব কিছু খুলে বলে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পিটারের অসহায়ত্ব এবং অকপট স্বীকারোক্তি রেবেকাকে স্পর্শ করে। সে তাকে সঙ্গ দিতে এবং সাহায্য করতে রাজি হয়। সুস্থ হওয়ার পর পিটার এবং রেবেকা এক পার্কে দেখা করে এবং তাদের ভালো লাগাকে ভালোবাসায় রুপ দিতে মনস্থ করে। রেবেকা পিটারকে তার দু:খের অতীত ভুলে যেতে এবং সব কিছু নতুন করে আরম্ভ করতে অনুরোধ করে। “প্লিজ ফরগেট ইউর ব্যাড ডেজ। লেট আস স্টার্ট অল অভার এগেইন। স্টপ কমপেয়ারিং ইউরসেল্ফ উইদ আদার্স প্লিজ!” রেবেকার কথা পিটার মন দিয়ে শোনে। সে থেকে তার নতুন জীবনের শুরু। পনের বছর পরে পিটার আজ নিজে এক মোটর গ্যারেজের মালিক এবং রেবেকা তার হাসপাতালের মেট্রন। স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে ও মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।

পিটারের মতো অন্যের কথা, কাজ, জীবন, সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে নিজের সাথে তুলনা মানুষের মজ্জাগত স্বভাব, যা সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আনে বেশি। তুলনা করার অভ্যাস জীবন নিয়ে মানুষকে অসন্তুষ্ঠ এবং নেতিবাচক করে তোলে। সুপ্ত পরশ্রীকাতরতা বা ঈর্ষা থেকে অনেক মানুষ অন্যকে টপকে যাওয়ার অহেতুক চেষ্টা করে, নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অর্জনের জন্য নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে। কখনো কখনো অন্যজনকে অকারণে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তার ক্ষতি করার নানা অশুভ চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে নিজে, কারণ সুখ, সাফল্য ও শান্তি নাগালের বাইরে থেকে যায়। নিজের সাথে লড়াই করতে করতে এক সময় শারীরিক এবং মানসিক অবসাদ থেকে কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে, এবং কখনো কখনো আকস্মিক মৃত্যু জীবনের ইতি টেনে দেয়। 

তুলনা করার নেশা থেকে মুক্তি অভ্যাসের ব্যাপার। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে আরেকটি নতুন দিন এবং নতুন সুযোগের জন্য যদি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারি এবং রাতে শয্যা গ্রহণের আগে যদি জীবনে যা পেয়েছি এবং যা হয়েছি তার জন্য আনন্দিত হতে শিখি, তবে এক সময় তুলনার আসক্তি জীবন থেকে বিদায় নিতে বাধ্য।

সততা, পরিশ্রম ও উদ্যমতা

রবিন রোজারিও এবং রোবেন গমেজ একটি আইটি ফার্মে জুনিয়র এ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে জয়েন করেছে। দুজনেই আইসিটিতে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত, সৎ এবং শৃংখলাপরায়ণ। ভালো মানুষ এবং কর্মী হিসেবে অফিসে দুজনেরই সুনাম রয়েছে। দুজনেরই ক্যারিয়ারে অনেকদূর যাওয়ার আকাঙ্খা আছে। 

কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা বিষয়ে সুষ্পষ্ট পার্থক্যও আছে। রোবেন রুটিনমাফিক কাজ করে, সকাল ৯টা থেকে ৫টা এবং অফিস টাইমের বাইরে সে কোন কাজ করে না। ছুটির দিনে জরুরী কোন কাজে ডাক পড়লে সে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যায়। অফিস এবং বাসা ছাড়া সে তেমন কোথাও যায় না। কোনভাবে এড়াতে পারলে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসাতেও সে তেমন যায় না। অবসর সময় সে বই পড়ে এবং টিভি দেখে পার করে দেয়। অন্যদিকে রবিন অফিস টাইমের বাইরে প্রয়োজনে এক দুই ঘন্টাও কাজ করে। ছুটির দিনে কাজে ডাকলে সে খুব কমই না করে। সময় পেলে সে পরিবার নিয়ে আত্মীয় ও বন্ধুদের বাসায় বেড়াতে যায়। শহরে আইটি মেলা ও প্রদর্শনী হলে সময় করে রবিন তাতে যোগ দেয় এবং এক্সপার্টদের কাছ থেকে নানা পরামর্শ নিয়ে থাকে।

পাঁচ বছর শেষে রবিন এখন তার বিভাগের প্রধান। অন্যদিকে রোবেন কোনক্রমে প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র থেকে সিনিয়র এ্যাপ ডেভেলপার হয়েছে।

রোবেনের মতো অনেকেই স্বপ্ন দেখে জীবনে বড় হওয়ার বা বড় কিছু করার। কিন্তু সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না বা কাজ করে না। তারা বর্তমানের আরামপ্রদ বা সুবিধাজনক অবস্থান থেকে বের হয়ে আসতে চান না এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য সামান্য ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে রাজি নয়। এখন সিদ্ধান্ত নেবার পালা আমার ও আপনার -- আমরা কার দলে থাকতে চাই।

হাল ছেড়ো না বন্ধু

অয়ন পিটার রোজারিও’র জন্ম গ্রামের এক গরীব কৃষক পরিবারে। পিতা-মাতার তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড়। অনেক কষ্ট করে পরিবারের সহায়তা এবং টিউশনি করে ঢাকার নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সে ইংরেজি সাহিত্য এবং যোগাযোগ বিদ্যায় দুটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে। একটি নামী বহুজাতিক মিডিয়া ফার্মে জয়েন করে এখন সিনিয়র ম্যানেজার পদে আছে। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে পলিসি নিয়ে বেশ বড় ধরণের বিতর্ক ও বিবাদ হয়। পরিচালনা পর্ষদ বিভক্ত হয়ে যায় এবং দুই গ্রুপ ফার্মের দখল নিতে মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহী গ্রুপ মামলায় হেরে গিয়ে নতুন আরেকটি ফার্ম চালু করে এবং বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে পুরানো ফার্মের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়োগ করে। মূল ফার্মটি বিবাদ ও মামলার জেরে অনেক ক্লায়েন্ট হারিয়ে ফেলে এবং বিরাট আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। আগের মতো বেতন দিতে না পেরে অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয় এবং যারা তারপরও রয়ে যায় তাদের বেতন হ্রাস করা হয়। 

তখন অয়নের বিয়ের তিন বছর এবং ছোট ভাইয়ের বিয়ের কথা চলছে। পুরো সংসারের দায়িত্ব তার উপর। তার উপর বিয়ের সময় যে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন করেছিলো, সেটাও প্রায় অর্ধেক বাকি। ফার্মের এহেন দশায় তার মাথায় বজ্রপাতের মতো আঘাত হানে। সে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং এ অবস্থায় তার কী করা উচিত তা ভেবে দুশ্চিন্তায় তার রাতের ঘুম এক প্রকার হারাম হয়ে যায়। একবার সে ভাবে চাকরিটা ছেড়ে দেবে এবং নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেবে। পরে আবার ভাবে যে প্রতিষ্ঠান থেকে সে এত কিছু শিখেছে এবং যে প্রতিষ্ঠান নানা বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন সুযোগ বুঝে বিপদের সময় স্বার্থপরের মতো সরে পড়বে? অবশেষে আর্থিক অনটনকে মাথা পেতে নিয়ে বিবেকের তাড়নায় অয়ন পুরোনো প্রতিষ্ঠানেই রয়ে যায়। সংকটের মাঝেও হাল ছেড়ে না দিয়ে নিজের সর্বোচ্চ মেধা ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।

পরবর্তী তিন বছরে ফার্মটি আর্থিক সংকট অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়, অনেক পুরোনো ক্লায়েন্টও ফিরে পায়। আর্থিক অবস্থা উন্নতির পর কর্মচারীদের বেতন বাড়তে থাকে এবং প্রমোশন হয়। অয়ন ম্যানেজারের পদ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার পদে নিয়োগ পায়। সংসারের টানাপোড়েনও বহুলাংশে কেটে যায়। এদিকে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে বিদ্রোহী প্রতিষ্ঠানটি এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম হয় এবং বেশির ভাগ কর্মচারী চাকুরি ছেড়ে চলে যায়।

মানব জীবনে সুখ-দু:খ এবং হাসি-কান্না একটি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠের মতো। মণীষীরা বলেন যে, “পৃথিবীতে নিরবচ্ছিন্ন সুখ বা দু:খ বলে কিছু নেই।” সুখের পরে দু:খ আসে, কান্নার পরে হাসি -- জগতের এটাই নিয়ম। কঠিন সময়ে মনে বেদনা জাগে, হতাশা গ্রাস করে এবং জীবনকে অর্থহীন মনে হয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, “দু:খের মতো পরশ পাথর আর নেই।” সোনা যেমন আগুনে পুঁড়ে নিখাঁদ হয়, তেমনি দু:খের নদী পেরিয়ে সুখের দেখা পাওয়া যায়। আর সংকটে বিপন্ন হলেও নিরাশ হওয়া চলবে না এবং কোনভাবে হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। 

জীবনে চলতে গিয়ে সবাই কম-বেশি হোঁচট খায় এবং ব্যথা পায়। কিন্তু তারাই জীবনে উন্নতি করে যারা ধুলো ঝেড়ে আবার উঠে দাঁড়ায় এবং পথ চলতে শুরু করে। একথা আমরা প্রায়ই শুনি, “এগিয়ে চলার নামই জীবন, থেমে যাওয়া মানে মৃত্যু।” কালভেরীর পথে ভারী ক্রুশ বয়ে আহত এবং রক্তাক্ত যীশু যদি পড়ে গিয়ে বারবার উঠে না দাঁড়াতেন, ক্রুশে কঠিনতম মৃত্যু না বরণ করতেন এবং মৃত্যু বিজয় না করতেন তাহলে তো খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তনই হতো না। 

আমরা যারা যীশুকে গুরু এবং মুক্তিদাতা হিসেবে মান্য করি, তাদের সবার জীবনের আশা-ভরসা, আদর্শ এবং জীবন গঠন, পরিবর্তন এবং উন্নয়নের প্রতিভূ তিনি। কবিগুরু রবি ঠাকুরের গান এবং কবিতা যেমন মানুষের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে মিলে যায়, তেমনি জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মহামানব যীশুর জীবন, বাণী এবং আদর্শ হয়ে উঠুক আমাদের জীবন পথের অমূল্য পাথেয়।।

Dec 22, 2023

বিজয়: ১৯৭১ বনাম ২০২৩

Photo: AFP

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্ত, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম, হাজারো স্বজনহারা পরিবারের আর্তনাদ এবং কোটি শরনার্থীর বাস্তুহারা হবার বেদনার মহাসাগর পেরিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয় সেদিন। 

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় সত্ত্বা যা ভেতো বাঙালিকে যোদ্ধা জাতিকে রুপান্তরিত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছে, বিজয়ের দিন বাঙালির সেই “চির উন্নত মম শির” উদযাপ‌নের দিন। এই সোনালি দিন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের শত বিপত্তির মুখেও অটল বিশ্বাস, সুদক্ষ পরিচালনা এবং “জ্ব‌লে পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়” সত্ত্বার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হবার দিন। 

বিপুল ত্যাগ এবং অমূল‌্য রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা, আর তাই বিজয়ের দিনে পাঁচ দশকের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বর্তমানকে মূল্যায়ন করে ভাবার দিন -- পাকিস্তানি শোষণ এবং বঞ্চণা থেকে বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমরা কি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়সহ সামগ্রিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি? 

Jun 25, 2023

জন্মভূমি ও শরণার্থী

Rohingya refugee in a camp in Bangladesh. (Photo: UNOPS)

বাড়ি সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা, শুধুমাত্র এই কারণেই নয় যে আমরা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, বড় হয়েছি এবং সেখানেই বাস করি। প্রকৃতপক্ষে বাড়ি বলতে ইট, পাথর, টিন, কাঠ বা বাঁশের কোন কাঠামো বোঝায় না। বাড়ি হলো সেই জায়গা যা ভালবাসা, মায়া এবং যত্নে লালিত।

আমাদের মাতৃভূমি বাড়িরই একটি বর্ধিত সংস্করণ, যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। 

কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আমরা ভালোবাসা এবং যত্নের বাইরেও মূলত জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই দীর্ঘ বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ সময় হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকুরি ও আয় রোজগারের পথ হারিয়ে নিঃস্ব এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।

এহেন অবস্থা সত্ত্বেও শান্তি ও ভরসার বিষয় ছিলো যে বিশ্বের কোটি কোটি ঘর-বাড়িহীন ও দেশহীন মানুষের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান। কারণ আর যাই হোক আমাদের ঘর-বাড়ি ও জন্মভূমি আছে, যা তাদের নেই। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-র তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখের মতো।

মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়, এবং তাদের অনেক নামে ডাকা হয় - উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ইত্যাদি। তারা সবাই তাদের প্রিয় স্থান - বাড়ি এবং স্বদেশ থেকে বঞ্চিত।

Jul 7, 2022

বিয়ের অনুষ্ঠানে আতিশয্য আর নয়

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য (Photo: Unsplash)

সময়কাল ২০২০। গোটা পৃথিবী করোনা মহামারীর প্রকোপে আক্রান্ত। বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় এক খ্রিস্টান এক যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে করোনা মহামারী সংক্রান্ত সরকারি বিধিমালা মেনে। গির্জায় বিয়ে আশীর্বাদ এবং বরের বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের মাত্র দশজন করে আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা নামার আগেই গোটা অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

করোনা মহামারীকালে এমন অনেক সংক্ষিপ্ত ও অনাড়ম্বর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ অবস্থায় এমন বিয়ে একপ্রকার অকল্পনীয় বটে।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে বিয়ে মানেই হলো সপ্তাহজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় আতিশয্য। এসব অনাবশ্যক বাগাড়ম্বরের সাথে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোন মিল নেই বললেই চলে। 

এহেন জৌলুসপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার উল্টোপিঠে আমরা দেখতে পাই দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক দূরাবস্থা যেখানে বিশ্বের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ বাস করে যাদের মাথাপিছু দৈনিক আয় দুই মার্কিন ডলারেরও নিচে।  

ভারতীয় ধনী ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে বর্তমানে “বিগ ফ্যাট ইন্ডিয়ান ওয়েডিং” (Big Fat Indian Wedding) কথাটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে

২০১৮ সালে ভারতের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়েতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এ যাবত কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। 

Jun 17, 2022

ক‌রোনা মহামারী ও আমাদের পরিবেশগত পাপসমুহ

ইনানী বিচ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ (ছবিঃ এএফপি)

২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়। সারা বিশ্ব তখন করোনা মহামারীর প্রবল প্রতাপে বিপর্যন্ত। ইতালীয় একজন প্রাণীবিদ একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন যেখানে একটি জেলিফিশকে ভেনিস শহরের হ্রদের নির্মল জলে বিশাল অট্টালিকার প্রতিবিম্বের সাথে খেলা করতে দেখা যায়। করোনা মহামারীর কারণে শূন্য হয়ে পড়ার পূর্বে ভেনিস ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সে বছরের মার্চ মাসের ৯ তারিখে কঠোর লকডাউন শুরু হলে ভেনিস শহর পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। জেলিফিশের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং অনেকে বলতে শুরু করে, “প্রকৃতি আবার ভেনিস শহরকে ফেরৎ নিয়ে নিচ্ছে।”

ভেনিস তার অসামান্য পরিবেশগত সৌন্দর্য, নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে একাধারে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং ইউরোপের অন্যতম রোমান্টিক নগরী হিসেবে নন্দিত। কিন্তু ভেনিসের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য তার বোঝাস্বরুপ, কারণ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক এ নগরীতে ঘুরতে আসেন।        

সচরাচর দ্রুতগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও প্রমোদতরীর অন্তহীন চলাচলে ভেনিসের খাল ও হ্রদের জল বিরতিহীনভাবে আন্দোলিত হতে থাকে। তাতে ভেনিস যেন অসহায়ভাবে হাঁপিয়ে ওঠে। পর্যটনের এ দূষণ ছাড়াও নিকটবর্তী পোর্তো মার্ঘেরা শিল্প এলাকা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য নি:সরণ ভেনিসের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরুপ। আর তাই করোনাকালে জনজীবনে স্থবিরতা ভেনিসের পরিবেশের জন্য শাপে বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।

হাজারো মাইল দূরে বাংলাদেশের সাগরদুহিতা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে করোনা মহামারীকালে এক প্রাকৃতিক পুনর্জাগর লক্ষ্য করা গেছে। এর সূচনা হয় ২০২০ সালের ২৬ মার্চে দেশব্যাপী লকডাউনের পর।

এপ্রিল মাসে বহু বছর পর বঙ্গোপসাগরে ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গেছে। সাগরতটের প্রতিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সাগরলতা (Beach Morning Glory) আবার নতুন করে জেগে উঠতে শুরু করে। এ লতাগুল্মটি রেলরোড ভাইন নামেও পরিচিত। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্তহীন চলাচল, নির্বিচার দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে এ গুরুত্বপূর্ণ গুল্মটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে পরিবেশবিদগণ মনে করতেন।

যদিও কক্সবাজার ভেনিসের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র নয়, তবুও জনবহুল বাংলাদেশের এ নগরীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক বেড়াতে আসে। কিন্তু দু:খজনক হলো এ বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সিংহভাগ পৃথিবীর এ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না এবং যত্রতত্র ময়লা ও আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা করেন।

যদিও করোনা মহামারী গোটা বি‌শ্বের জন্য এক মহাবিপর্যয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, কিন্তু ভেনিস ও কক্সবাজারে প্রকৃতির নবজাগরণ ছিল এ মহাসংকটের কতিপয় ইতিবাচক দিকের মধ্যে অন্যতম। 

May 19, 2022

৫০ বছরে বাংলাদেশ: স্বাধীনতা, অধিকার ও উন্নয়ন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ প্রজ্জলন (ছবিঃ এএফপি)

 সারা বিশ্বের ন্যায় করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও ২০২১ সালটি ছিল জাতির জন্য একটি উৎসবমুখর ও তাৎপর্য্যপূর্ণ বছর। সে বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত ‘মুজিব বর্ষ’-র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানমালার বর্ণাঢ্য সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের জেষ্ঠ্যা কন্যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের শেষদিকে ডিসেম্বর মাসে জাতি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।

শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোটা বছর জুড়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তার চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালা মঞ্চস্থ হয়েছে ১৭-২৬ মার্চ। দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ একগুচ্ছ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে শামিল হয়েছেন।

মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে এরূপ উচ্চমার্গীয় শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শ্রেষ্ঠ দাবিদার। কারণ তার সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণেই বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। আক্ষরিক অর্থেই মুজিব ছিলেন এক মহান ও দূরদর্শী নেতা, যিনি তার গোটা জীবন জনগণের সুখ ও দু:খে পাশে থেকে অতিবাহিত করেছেন এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যে বারংবার অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এ কারণে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের অধিকাংশ সময়ই জেলখানায় কাটাতে হয়েছে।

স্বাধীনতার পর চরমভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে তাকে সর্বগ্রাসী দারিদ্র ও ক্ষুধাসহ এবং অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু জনগণ ও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল সর্বদা অতুলনীয় ও অতলস্পর্শী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে তার বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো এবং মর্মান্তিক অধ্যায়।

যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, তেমনিভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও দেশের জনগণ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী উদ্বেলিত ছিল। 

৫০ বছর আগের এই দিনে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি বাঙালি আনন্দ ও স্বস্তির অশ্রুজল বিসর্জন করেছিল। কেননা সেদিন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নি:শর্ত আত্মসমর্পণের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।

Dec 5, 2021

জন ক্ল্যানসি: হংকংয়ের অকুতোভয় গণতন্ত্রকামী ও মানবাধিকার প্রবক্তা

John J. Clancy (Photo: https://hotsewai.com.hk)

জানুয়ারি ৬, ২০২১। হংকংয়ের স্বনামধন্য আইনগত সহায়তা প্রতিষ্ঠান হো সে ওয়াই এন্ড পার্টনার্সের সামনে একদল সাংবাদিক অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। তাদের সামনে দিয়েই পুলিশ প্রখ্যাত আমেরিকান আইনজীবী জন জে. ক্ল্যানসিকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেল। 

হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রবাদপুরুষ ৭৯ বছর বয়সী ক্ল্যানসি যখন ক্রাচে ভর করে পুলিশ প্রহরায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জানতে চাইলেন জনগণের উদ্দেশ্যে তার কোন কিছু বলার আছে কিনা। 

কিছুটা নিচু গলায় কিন্তু স্পষ্টস্বরে ক্ল্যানসি বললেন, “হংকংয়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।”

সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মী ও গনতন্ত্রপন্থীগণ ৬ জানুয়ারিকে হংকংয়ের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের “অন্ধকারতম দিন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কেননা সেদিন ক্ল্যানসিসহ ৫৫ জন গণতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদ ও কর্মীকে ক্যারি ল্যামের নেতৃত্বাধীন হংকং সরকার গ্রেফতার করে। এদেরকে সকলকে বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকারের মদদে গত বছরের জুনে প্রণীত কুখ্যাত জাতীয় নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করা হয়। চীনের অন্তর্ভুক্ত এ স্বায়ত্বশাসিত নগরীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর এত বৃহৎ পরিসরের দমন-পীড়ন এক নজিরবিহীন ঘটনা।

জন ক্ল্যানসি এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন পাওয়ার ফর ডেমোক্রেসির কোষাধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি “সরকারকে অস্থিতিশীল করা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল” করার এক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন।

পাওয়ার ফর ডেমোক্রেসি সংগঠনটি হংকংয়ের স্থগিত নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুলাই মাসে একটি অনানুষ্ঠানিক, স্বাধীন ভোটের আয়োজন করেছিল।

জন ক্ল্যানসি বেইজংপন্থী ক্যারি ল্যামের নেতৃত্বাধীন হংকং সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া প্রথম বিদেশী নাগরিক। আটক হওয়ার একদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

এই গ্রেফতার ও আটক হওয়া ক্ল্যানসির জীবনে এক অভুতপূর্ব ঘটনা। ক্যাথলিক ধর্মযাজক থেকে মানবাধিকার আইনজীবী বনে যাওয়া ক্ল্যানসি তার জীবনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় এই সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশে কাটিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি নিজেকে হংকংয়ের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ল্যানসি বলেন যে তিনি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঘটনায় “ভয় পান নি, কিন্তু বিস্মিত হয়েছেন।”

তিনি বলেন, “আপনি যখন মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কল্যাণ কামনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কোন কাজ করেন, তখন আপনার ভয় পাবার কিছু নেই। আমি ভুল কোন কিছু করি নি। আমি সব সময় মনে করে এসেছি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করা অতি উত্তম। মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামো যা মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে, তার বিষয়ে যারা উদ্বিগ্ন তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি কাজ করে গেছি।”

ক্ল্যানসির অকুতোভয় বাণী যেন তার সুদীর্ঘ, বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত প্রতিবিম্ব। তিনি তার প্রায় গোটা জীবন নানা শ্রেণীর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, বিশেষ করে হংকং ও অন্যান্য স্থানে যারা সুবিধাবঞ্চিত এবং দু:খ-কষ্ট জর্জরিত, তাদের তাদের সেবায় কাটিয়ে দিয়েছেন।

Dec 25, 2020

নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠায় হৃদয় রুপান্তর প্রয়োজন

 


“আমার স্বামী যখন আমাকে নির্যাতন করে, তখন আমি মনে করি আমি সেটা আমার কোন ভুলের পরিণাম”—এমন কথা বিবেকবান পুরুষ ও নারীর কাছে ভয়ংকর আঘাতের মত মনে হলেও বাংলাদেশে অনেক বিবাহিত নারীর জীবনে এটাই এক কঠিন বাস্তবতা।

এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি জরিপের ফলাফল দেখে দেশ ও বিদেশের অনেকে, বিশেষ করে নারীবাদী ও নারী অধিকার কর্মীগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। বিবিএস-র Multiple Indicator Cluster Survey 2019-র মতে, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জন বিবাহিত নারীর মধ্যে ১ জন অথবা শতকরা ২৫ ভাগ মনে করেন বিভিন্ন তুচ্ছ ভুল বা ক্ষুদ্র অধিকার প্রয়োগ করার কারণেও স্বামীর নির্যাতন যৌক্তিক। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে, স্বামীর অনুমুতি ছাড়া বাড়ীর বাইরে যাওয়া, সন্তানের যত্ন সঠিকভাবে করতে না পারা, স্বামীর সাথে তর্ক করা, ভালভাবে রান্না করতে না পারা এবং স্বামীর ইচ্ছামত যৌন সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়া।

বিবিএস-র সাম্প্রতিক জরিপ কতটা বাস্তবসম্মত সেটা তর্কসাপেক্ষ, তবে বাংলাদেশ নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে গৃহ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষে তাতে কোন সংশয় নেই। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (UNFPA) অর্থায়নে পরিচালিত বিবিএস-এর একটি জরিপ মতে, বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ বিবাহিত নারী তাদের জীবদ্দশায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকদের দ্বারা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।

বিশ্ব জুড়েই গৃহ নির্যাতন নারীর প্রতি সহিংসতার মধ্যে অন্যতম। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের পর গৃহ জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার মতে, গৃহ নির্যাতন বিশ্ব জুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতার অন্যতম কারণ এবং প্রায় ৩৫ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় নানা প্রকার গৃহ নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।

দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার মত রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর প্রতি সহিংসতা একটি নিত্য নৈমিত্তিক ও বিয়োগান্তক বাস্তবতা।

Sep 24, 2020

Covid-19 deals mortal blow to freedom of speech

A guard of honor pays tribute to late Awami League leader and former health minister Mohammed Nasim as officials and activists attend his burial at the Banani graveyard in Dhaka on June 14. (Photo: AFP)

Sirajum Munira, 28, a lecturer at Begum Royeka University in northern Bangladesh, was arrested under the country's controversial Digital Security Act (DSA) on June 14. Her arrest was soon followed by dismissal from her job.

Her crime was a one-line Facebook post that mocked Mohammed Nasim, the former home and health minister who died of Covid-19 on June 13. She later apologized and deleted the post, yet she became one of a string of arrests and abuses over social media posts related to the pandemic.

Munira’s derogatory remarks against Nasim, an influential politician from the ruling Awami League party elected to parliament six times, were inappropriate, but the reason for them is well known. Nasim’s 2014-19 tenure at the health and family welfare ministry was mired in massive corruption, which probably cost him a cabinet post in the current government. His legacy in the health sector continues.

Bangladesh has drawn strong criticism at home and abroad for its inability to stem Covid-19. From its first three reported cases on March 8, the country had recorded 115,786 cases and 1,502 deaths as of June 22.

Much of the blame lies with poor state health services — lack of resources and coordination, poor services, mismanagement and discrimination — that have become more exposed in the time of a pandemic. Even Nasim’s family couldn’t trust the state health services he once led and he was treated in a private facility, but he didn’t survive.

The top brass of the health sector have not only failed to adopt effective policies and courses of action to curb the spread of the virus but have also put the lives of medics in grave danger by not providing high-quality personal protective equipment in time. Media reports busted a syndicate that provided substandard N95 masks for doctors, putting their lives at risk.

Some 3,301 health workers including 1,041 doctors, 901 nurses and 1,360 medical staff have been infected with the coronavirus. About 50 doctors, most of them specialists, have died from Covid-19, according to the Bangladesh Medical Association.

On the other hand, dozens of ruling party leaders and local government officials have been accused of stealing food aid intended for the poor under the government’s relief schemes.

Yet criticizing has become more dangerous than ever as the state and non-state actors are quick to vent anger on whistleblowers to wash their hands.

Aug 19, 2020

Dreaming of a world free from violence against children

 

About one billion children have faced various forms of violence in the last year, according to the World Health Organization. (Image: Pixabay)

The recent brutal killing of three children at a state-run juvenile correction facility in southwest Bangladesh has brought to the fore state violence against children in the country.

At first it was reported the children died at Jessore Juvenile Development Center following a clash between two groups of inmates on Aug. 13. Later, a police investigation found the children died from injuries resulting from merciless beatings by staff. Public shock quickly turned to fury and strong calls for justice.

On the day, a guard of the facility — which holds 280 boys either convicted or awaiting trial for juvenile delinquencies including theft, rape and murder — allegedly ordered some boys to have haircuts, leading to a scuffle. The attack left the guard with a broken hand.

In response, the staff held a meeting and decided to beat up the children “to teach them a lesson.” Some 18 boys were allegedly sorted out, tied with ropes and had their mouths gagged with towels. They were beaten for an hour with steel pipes, sticks and cricket stumps before they passed out.

The seriously injured children died before they were rushed to a local hospital. Police detained five staff for the assault and launched a probe into the incident.

Such inhuman treatment of children in state-run juvenile rehabilitation centers is not new. In 2015, some 20 children cut their wrists protesting torture by staff in another juvenile center, forcing the government to suspend the head of the facility.

Child rights activists have complained on many occasions that these facilities were more for punishment of children than rehabilitation in the absence of effective correctional mechanisms and monitoring.

Aug 7, 2020

Extrajudicial killings are no mark of a civilized society

The scourge of extrajudicial killings has become commonplace in South Asia. (Photo supplied)

A group of rights activists defied the scorching sun on Aug. 3 and took to a busy street in Bangladesh’s capital Dhaka to stage a silent protest, holding placards to demand an end to the reign of extrajudicial killings in the country.

“Is Bangladesh a crossfire state?” read one placard.

“Crossfire” is a common euphemism for extrajudicial killings by law enforcers in Bangladesh. Other terms including "encounter," "gunfight" and "fire-in-self-defense" have a similar meaning.

The activists were enraged over the latest and one of the most talked about extrajudicial killings in Bangladesh in recent times.

On July 31, a police officer shot dead Sinha Mohammad Rashed Khan in Teknaf in Cox’s Bazar district. Khan, 36, was a retired army major who once served as an officer of the Special Security Force that provides protection to top government officials including the prime minister and foreign dignitaries. 

Police said the firing was in self-defense as Sinha pointed his gun when police sought a routine inspection of his vehicle and asked him to come out at a checkpoint. Police also allegedly found drugs in the car including 50 pieces of yaba (methamphetamine), a drug produced in Myanmar.

On numerous occasions, law enforcement agencies have presented similar stories of firing in self-defense and possession of drugs after crossfire deaths. It is a too common story in Teknaf, a beautiful coastal area just across from Myanmar and close to Rohingya camps sheltering over one million refugees.

Aug 2, 2020

Remembering a shepherd who smelled the sheep

A nun greets Archbishop Moses Montu Costa, CSC on his 22nd Episcopal Ordination anniversary in 2018 (Photo: Chittagong Catholic Archdiocese)

About three weeks after Holy Cross Archbishop Moses Montu Costa’s sudden and shocking demise, Bangladeshi Catholics at home and abroad continue to remember him online and offline every day by posting his photos, prayers for eternal rest and sharing memories.

After apparently recovering from Covid-19, he died from a brain hemorrhage caused by multiples strokes on July 13 at the age of 70.

Head of Chittagong Archdiocese, the cradle of Catholicism in Bangladesh, from 2011 until his death, Archbishop Costa earlier served as the bishop of predominantly indigenous Dinajpur Diocese from 1996 to 2011.

As secretary-general of the Catholic Bishops’ Conference of Bangladesh (CBCB) for more than a decade, he also served as chairman of the episcopal commissions for liturgy and prayer, youth, seminary and healthcare.

The prelate was a strong candidate for the post of archbishop of Dhaka in the nation’s capital to succeed Archbishop Cardinal Patrick D’Rozario, who is set to retire in October.

His death is indeed an irreparable loss, not only for Chittagong but also for the whole Bangladesh Church.     

It is common for minority Christians in South Asian countries to revere their bishops and archbishops as demigods.

Archbishop Costa won the hearts of many thanks to his extraordinary life and work in the services of the people of God for about four decades (including 24 years as a bishop) in various roles — a pastor in parishes, a director of future priests and teaching psychology and pastoral theology in the major seminary, and then as the head of Dinajpur and Chittagong dioceses.

He was able to overcome his human follies with great love for people as a model of a good pastor and church leader, very much in line with Pope Francis’ version of “a shepherd who smells the sheep.”

Jul 28, 2020

Poetry, art and songs of broken souls

 

A young Rohingya refugee reads ‘Exodus: Between Genocide and Me’ by Rohingya poet Mayyu Ali at a refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. (Photo: New Ali)


The river separates Arakan and Bengal

The river that Rohingya startle to hear

The crossing is to escape or to die

Where many are swallowed alive

The East becomes a roaring inferno

The West is world’s largest makeshift camp

Some leave their limbs behind, bodies are carried

Others cross with bullets embedded

A bullet in the chest is bigger than a heart

A body falls into the water

Another dances on the riverbank

The world just watches on

Whilst criminals erase their marks

The river cradles irrefutable evidence

Whilst the human solidarity is a lie

Waves bear witness to what victims suffer. (The Naf River)

This heart-rending poem embodies the agony of one of the world’s most persecuted minorities — Rohingya Muslims. And it has been composed by a young Rohingya poet in exile.

Mayyu Ali, 28, lives with his parents at Balukhali refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. He is on the front line of a cultural resurgence among the beleaguered community.

Born and brought up at Maungdaw in Rakhine (Arakan) state of Myanmar, Ali studied for a BA degreee in English at the University of Sittwe in the state capital before sectarian violence in June 2012 stopped his education in the second year, forcing him to work for an aid agency in Maungdaw.

His family fled following the Aug. 25, 2017, military crackdown. “My home and village were burned down by the Burmese security forces and my parents and I escaped to Bangladesh for our lives,” Ali told UCA News.

Jul 22, 2020

Corruption plagues battle against pandemic

Frauds by Mohammad Shahed and Dr. Sabrina are just a tip of iceberg of corruption during Covid-19 pandemic in Bangladesh (Photo: tbsnews.net)

With more than 14.7 million infections and 610,000 deaths in over seven months, COVID-19 could well be a catalyst for social, political and economic changes for good in the world.

Sadly, it has done little to nothing to trigger any positive outcome by eliminating social evils like corruption, both individual and institutional, in the national and global orders heavily dominated by extreme globalization and crony-capitalism.

Corruption costs a staggering US$3.6 trillion each year, United Nations chief Antonio Guterres said in 2018. Corruption in global health sectors is estimated at $455 billion annually, the highest, according to Berlin-based Transparency International.

During the COVID-19 outbreak, corruption has emerged in diverse and innovative forms at the expense of human lives.

Somalia, currently the world's most corrupt country, has seen medical equipment being stolen from hospitals and sold in markets openly.

Zimbabwe sacked its health minister for the purchase of low-quality testing kits. Greek police are investigating a hospital for releasing elderly patients before they had recovered from COVID-19 so that it could admit new patients for more income.

In March, police in London arrested a man for selling counterfeit testing kits. Recently, a hospital in Amritsar, India, has been accused of issuing fake COVID-19 positive certificates to healthy people to earn big money.

However, Bangladesh has moved extra miles in innovative and massive corruption. From buying substandard medical equipment to the distribution of food and cash aid to poor people, corruption has engulfed the entire COVID-19 response system in this South Asian country.

When intolerance marches to religious extremism

 

Muslims protest against a possible move to change status of State Religion Islam in the Constitution at Dhaka, the capital city of Bangladesh. (Photo: AFP)

On July 1 Bangladesh marked the 4th anniversary of a black day, but it passed silently as the nation continues to shiver under the spell of the Covid-19 pandemic.

On the fateful evening of 2016, five local extremists, linked with global terror outfit Islamic State (IS), barged into a café in capital Dhaka and opened fire, killing 20 guests, mostly foreigners.

The worst terror attack in Bangladesh's history was the culmination of a deadly campaign by homegrown Islamic extremists since 2013. The campaign left some 50 people dead, including atheist bloggers, liberal writers, publishers and academics, LGBT activists, religious minorities, and foreigners. Dozens of atheist bloggers and writers fled to Europe and America following death threats.

It was a lethal blow to Bangladesh's long-held image as a liberal Muslim country, and its economic and political fallout threatened the political future of ruling Awami League.

The government response was heavy-handed. Some 50 leaders and operatives of extremist outfits were eliminated in a series of police raids, and dozens were arrested and put on trial in the following months. Amid this massive crackdown, extremist outfits almost broke down.

On the other hand, political and non-political Islamists were fought on two fronts.

First, the leadership of Jamaat-e-Islami, the country's largest Islamist party and long-time opponent of Awami League, were put on trial, leading to executions and jailing by War Crimes Tribunals, for their crimes against during 1971 war of independence from Pakistan. The party is gasping for survival because of its weak organization, infighting, and lack of influential leaders.

Awami League was also successful in neutralizing some top radical Islamic groups like Hefazat-e-Islam (Protectors of Islam) allegedly by buying out their leaders.

In 2013, Hefazat organized a rally of half of million Muslims in Dhaka to demand a strict blasphemy law and execution of atheist bloggers for defaming Islam. The rally turned violent as protesters attacked vehicles, shops and clashed with police, leaving dozens dead and scores injured.

Four years since the café attack, has Bangladesh overcome religious extremism? Not really.

Three recent incidents show that extremism is alive and active in the naiton's social psyche, and the efforts to uproot it by brute force and political tact have failed.

Jul 19, 2020

আর্চ‌বিশপ ম‌জেস এম. কস্তা, সিএস‌সি: এক‌টি ব্য‌ক্তিগত সাক্ষাৎ ও পর্যা‌লোচনা



সদ্য প্রয়াত আর্চ‌বিশপ ম‌জেস মন্টু কস্তা, সিএস‌সি ম‌হোদ‌য়ের সা‌থে আমার প্রথম প‌রিচয় ১৯৯৬ খ্রিস্টা‌ব্দে, জাতীয় ক্যাথ‌লিক প‌ত্রিকা সাপ্তা‌হিক প্র‌তি‌বেশীর সৌজ‌ন্যে। তখন আ‌মি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র, বয়স স‌বে দশ পে‌ড়ি‌য়ে এগা‌রো। প্র‌তি‌বেশী প‌ড়ে জানলাম ৪৬ বছর বয়সী ফাদার ম‌জেস‌কে পোপ ২য় জন পল দিনাজপুর ধর্মপ্র‌দে‌শের বিশপ নিযুক্ত ক‌রে‌ছেন। সে সময় ‌তি‌নি ছি‌লেন বাংলা‌দে‌শের সর্বক‌নিষ্ঠ ক্যাথ‌লিক বিশপ। ১৯৮১ খ্রিস্টা‌ব্দে প‌বিত্র ক্রুশ (Holy Cross) সম্প্রদা‌য়ের যাজক হি‌সে‌বে অ‌ভি‌ষে‌কের ১৫ বছ‌রের মাথায় তি‌নি এ মান্ড‌লিক গুরুদা‌য়িত্ব পান। তাঁর সম্প‌র্কে খুব বে‌শি কিছু জানা সম্ভব ছিল না, কারণ এ‌কে তো আমার বয়স ছিল কম এবং তখন বর্তমা‌ন জমানার ম‌তো গণমাধ্যম (মূলধারা ও ধর্মীয়) ও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌ম ছিল না, তথ্য পাওয়া ছিল ক‌ঠিন ব্যাপার।

পরবর্তীকা‌লে আমার সে‌মিনারী জীব‌নে (১৯৯৯-২০০৭) যাজক ও বিশপ ম‌জেস সম্প‌র্কে জানার সু‌যোগ হ‌য়ে‌ছে এবং বি‌ভিন্ন প্রোগ্রা‌মে উনার সা‌থে সাক্ষাৎ হ‌য়ে‌ছে। এক অজ্ঞাত কারণে, অ‌ধিকাংশ সেমিনারীয়া‌নের ম‌ধ্যে বিশপ ও আর্চ‌বিশপ‌দের সম্প‌র্কে বি‌শেষ ভী‌তি কাজ ক‌রে, তারা তা‌দের কাছ থে‌কে দূরত্ব বজায় রা‌খে। আমিও তাঁর ব্য‌তিক্রম ছিলাম না। সুতরাং সে‌মিনারী জীব‌নে বিশপ ম‌জেসসহ অন্যান্য ধর্মগুরু‌দের সা‌থে অ‌নেকবার সাক্ষাৎ হ‌লেও ব্য‌ক্তিগত আলা‌পের সু‌যোগ ঘ‌টে‌নি। উনার সা‌থে স‌ত্যিকার সাক্ষাত ও প‌রিচয় হয় ২০০৯ খ্রিস্টা‌ব্দে ময়মন‌সিং‌হের বিড়ইডাকুনী ধর্মপল্লী‌তে যেখা‌নে ২৪তম জাতীয় যুব দিব‌সের আসর ব‌সে‌ছিল, যার মূলভাব ছিল: "আমরা তো আশা-ভরসা রে‌খে‌ছি স্বয়ং জীবনময় ঈশ্ব‌রেরই উপর" (১ তিম‌থি ৪:১০)।

বিশপ ম‌জেস তখন বিশপীয় (CBCB) যুব ক‌মিশ‌নের চেয়ারম্যান। আ‌মি তখন সদ্য সে‌মিনারী ছে‌ড়ে হংকংভি‌ত্তিক ক্যাথ‌লিক সংবাদ মাধ্যম UCAN-এ চাকু‌রি শুরু ক‌রে‌ছি এবং বিশপীয় যুব ক‌মিশ‌নের সে‌ক্রেটা‌রি ফাদার প্যা‌ট্রিক শিমন গ‌মে‌জের উৎসা‌হে ক‌মিশনের নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য প‌দে যোগদান ক‌রে‌ছি। যুব দিব‌সে অংশ নি‌য়ে‌ছিলাম রি‌পো‌র্টিং ও ডকু‌মে‌ন্টেশন উপ-ক‌মি‌টির আহ্বায়ক হি‌সে‌বে এবং UCAN এর জন্য রি‌পোর্ট করার উ‌দ্দে‌শ্যে।  চারদি‌নের প্রোগ্রা‌মে প্র‌তি রা‌তে মূল্যায়ন মি‌টিং হ‌তো কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সদস্যবৃন্দ ও সকল ক‌মি‌টির আহ্বায়কদের সমন্ব‌য়ে। বিশপ ম‌জেস সকল মি‌টিং‌য়ে উপ‌স্থিত থাকার চেষ্টা কর‌তেন এবং যে‌কোন প্রকার সমস্যার সমাধান ক‌রে দি‌তেন। অ‌নেক সময় বি‌ভিন্ন বিষয় নি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি কিংবা সদস্যরা উত্তপ্ত হ‌লেও তি‌নি বরাবর সহনশীল ছি‌লেন, এবং যা সব‌চে‌য়ে ভা‌লো সেটার বিষ‌য়ে সিদ্ধা‌ন্তে আস‌তে সহায়তা কর‌তেন। তখন থে‌কে তাঁর প্র‌তি আমার বি‌শেষ শ্রদ্ধা জ‌ন্মে। যুব দিব‌সে তি‌নি খুব বে‌শি বক্তব্য দেন নি য‌দিও পু‌রো সময় তি‌নি ‌গোটা প্রোগ্রা‌মে উপ‌স্থিত ছি‌লেন। ‌তাঁর বলা অ‌নেক সুন্দর কথার মা‌ঝে যেটা বে‌শি ম‌নে প‌ড়ে তা হ‌লো, "যুব দিবস এক‌টি উৎসব এবং এক‌টি তীর্থযাত্রা, যেখা‌নে আমরা যীশুর স‌ঙ্গে পথ চল‌তে ও বে‌ড়ে উঠ‌তে শি‌খি প্রার্থনায় ও আনন্দময়তায়।"

‌বিড়ইডাকুনীর প‌রে রাজশাহী‌র পালকীয় সেবা‌কে‌ন্দ্র (২০১০), ঢাকার কেওয়াচালা ধর্মপল্লী (২০১১) ও চট্টগ্রা‌মের দিয়াং আশ্র‌মে আঞ্চ‌লিক ( ২০১১) ও জাতীয় (২০১৩)  যুব দিব‌সে বিশপ ম‌জে‌সের সাহচর্য্য লা‌ভের সু‌যোগ হ‌য়ে‌ছে। ২০১১ খ্রিস্টা‌ব্দে চট্টগ্রা‌মের বিশপ প‌দে আসীন হওয়ার এবং ২০১৭ খ্রিস্টা‌ব্দে আর্চ‌বিশপ প‌দে অ‌ধিষ্ঠান অনুষ্ঠান কাভার করে‌ছি। এছাড়াও বি‌ভিন্ন সম‌য়ে নানা সামা‌জিক ও ধর্মীয় ইস্যুভি‌ত্তিক রি‌পোর্ট কর‌তে গি‌য়ে বেশ ক‌য়েকবার তাঁর সাক্ষাৎকার নি‌য়ে‌ছি। ব্য‌ক্তিগত সম্মান ও শ্রদ্ধার বাই‌রে ধর্মগুরু ম‌জে‌সের সা‌থে আমার প‌রিচয় ও সম্পর্ক মূলত পেশাদা‌রিত্বের এবং একদার যুবকর্মী হি‌সে‌বে। তাঁর সা‌থে কোন ব্য‌ক্তিগত ও প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক লেন‌দেন করার প্র‌য়োজন বা সু‌যোগ হয় নি কোন‌দিন। তবুও ক‌রোনা ভাইরা‌সে তাঁর রোগ‌ভোগ, রোগমু‌ক্তি এবং সর্ব‌শেষ বিগত ১৩ জুলাই ম‌স্তি‌স্কে রক্তক্ষরণজ‌নিত স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে অকস্মাৎ মৃত্যু আমা‌কে যারপরনাই ব্য‌থিত ক‌রে‌ছে। তাঁর ম‌তো একজন সু‌যোগ্য ধর্মগুরুর সহসা প্রস্থান বাংলা‌দে‌শের ক্ষুদ্র ক্যাথ‌লিক খ্রিস্টান সম্প্রদা‌য়ের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষ‌তি। তাঁর জীবন ও ক‌র্মের নি‌র্মোহ বি‌শ্লেষণ ক‌রে এবং তাঁর সা‌থে ব্য‌ক্তিগত অ‌ভিজ্ঞতার বরা‌তে একথা নি‌র্দ্বিধায় বলা যায় তি‌নি ছি‌লেন এক‌মেবা‌দ্বিতীয়ম (অনন্য, তুলনাহীন)। মানুষমা‌ত্রেই সক‌লের সবলতা ও দুর্বলতা থা‌কে, তি‌নিও তাঁর ব্য‌তিক্রম ছি‌লেন না। কিন্তু তাঁর সবলতাগু‌লো অসামান্য ও অভাবনীয়, যা তাঁ‌কে বাংলাদেশ ক্যাথ‌লিক মন্ডলী‌তে ও ভক্ত‌দের হৃদ‌য়ে চিরস্থায়ী আসনে প্র‌তি‌ষ্ঠিত ক‌রে‌ছে। সে কার‌ণে দিনাজপুর ও চট্টগ্রা‌মের পর ঢাকার আগামী আর্চ‌বিশপ প‌দে তি‌নি একজন জোরা‌লো প্রার্থী ছি‌লেন, বিশ্বস্ত সূ‌ত্রে তা জানা গে‌ছে। কিন্তু ৭০ বছর বয়‌সে তাঁর মহাপ্রয়াণ মন্ডলী‌তে অ‌ধিকতর সেবাদা‌নের পথ রুদ্ধ ক‌রে‌ছে। তাঁর মহাজীব‌নের মূল্যায়ন করা বেশ দুস্কর, তবুও আমার ক্ষুদ্র অ‌ভিজ্ঞতায় তাঁর কী‌র্তি ও প্রয়া‌সের প্র‌তি আ‌লোকপাত করার প্র‌য়াস।

Jul 10, 2020

The scourge of fair and lovely

 

There were muted cheers among feminists and women’s rights campaigners in South Asia at the news at the end of June that the Indian arm of global consumer goods giant Unilever would rebrand its popular skin-whitening cream for females, Fair & Lovely, to Glow & Lovely. It also announced dropping the words “fair, light and white” from its line of beauty products.

Other global conglomerates like L’Oreal made similar announcements to drop words like “fairness” and “whitening” from its products, while Johnson & Johnson said it might step away from the beauty products business.

For decades, these companies have made millions from skin-lightening products and have been accused of promoting colorism or light-skin supremacy in their prime markets in Asia, Africa and the West. There was little objection because whitening is big business. The global skin-lightening industry made over US$8.3 billion in 2017 and is expected to peak at $31.2 billion by 2024, according to Global Industry Analysts, a market intelligence firm.

Since its inception in 1971, Fair & Lovely became Unilever’s most iconic beauty product found in markets and supermarkets of Asia, Africa and the West, selling to some 300 million teenagers and women annually. This is despite the fact the product has faced extensive criticism for promoting colorism and making darker-skinned girls feel insecure and worthless. It has been quite evident as the brand has always used lighter-skinned actresses and models from countries like India, Bangladesh and elsewhere to advertise the cream and promote the unethical and unfair idea that light skin means a good marriage and a good job. 

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...