Feb 9, 2018

Bangladesh faces spring of discontent ahead of election

Bangladesh Nationalist Party (BNP) leader Khaleda Zia speaks at a press conference in Dhaka on Feb. 7. She proclaimed her innocence of corruption ahead of a court verdict that authorities fear could spark violence. (Photo by Munir Uz Zaman/AFP)
February is one of the most pleasant months in Bangladesh. Besides enjoyable weather, it features a month-long book fair and a commemoration program dedicated to Language Movement heroes of Feb. 21, 1952. It also showcases the colorful spring festival, Valentine's Day and many other cultural feasts.    
But this year, February has come to make Bangladeshis visibly tense and scared.
After a few years of relative peace and stability, Bangladesh is bracing for a political storm poised to hit the entire Muslim-majority nation of 160 million.
A Dhaka court is due to deliver a verdict on Feb. 8 in a corruption case against Khaleda Zia, chief of the Bangladesh Nationalist Party (BNP), the second largest political party. 

Jan 27, 2018

রাগী লোক, ভা‌লো লোক


Photo Credit: knowledge.instead.edu
ভা‌লো লোক কড়া ও রাগী চ‌রি‌ত্রের হ‌য়ে থা‌কে। কারণ তারা অন্যায়, অসঙ্গ‌তি ও বিশৃংখলা বরদাশত কর‌তে পা‌রে না, কাউ‌কে সন্তুষ্ট করার জন্য মিথ্যাচার ক‌রে না, অাত্নতু‌ষ্টির জন্য মিথ্যা প্রশংসাও হজম ক‌রে না।

একজন ম‌নিষী ব‌লে‌ছেন, "যার রাগ বে‌শি সে নীর‌বে অ‌নেক ভা‌লোবাস‌তে জা‌নে।" প্রয়াত কথাসা‌হি‌ত্যিক হুমায়ূন অাহ‌মেদ ব‌লে গে‌ছেন, "রাগী মানুষই ভা‌লো মানুষ, অার যারা শয়তান তারা লা‌থি খে‌য়েও মিচকা হা‌সি দি‌তে পা‌রে।" রাগ একটা শ‌ক্তি, যে তা স‌ঠিকভা‌বে ব্যবহার কর‌তে জা‌নে, সে জীব‌নে সফল হ‌তে সক্ষম। যেমন অাগুন দি‌য়ে বা‌তি জ্বালা‌নো যায়, রান্না করা যায়, অাবার অাগুন দি‌য়ে ঘরও পোড়া‌নো যায়। সুতরাং কে কীভা‌বে রাগ‌কে ব্যবহার কর‌বে তার উপর ভা‌লো বা মন্দ ফলাফল নির্ভর কর‌বে। অাপ‌নি য‌দি রাগী লোক হন তা‌তে সমস্যা নেই, এর উপযুক্ত ব্যবহার করুন।

এক‌টি শিক্ষনীয় গল্প এখা‌নে প্র‌ণিধান‌যোগ্য। এক হাইস্কু‌লে দুই বন্ধু পড়া‌শোনা কর‌তো, একজন বু‌দ্ধিমান অার অন্যজন কিছুটা বোকা স্বভা‌বের। দুজ‌নের কা‌রোই পড়া‌শোনায় তেমন ভা‌লো ছি‌লো না, কারণ পড়া‌শোনা বা‌দে অন্য সব‌কিছু, যেমন, মাছ ধরা, পা‌খি শিকার করা, বাজ‌া‌রে যাওয়া, সি‌নেমা দেখা ও খেলাধুলা করা সবটা‌তেই  তা‌দের প্রচুর অাগ্রহ ছি‌লো। দশম শ্রেণী‌তে ১ম ও ২য় সাম‌য়িক দুইজনই সব বিষ‌য়ে ফেল কর‌লো। প্রধান শিক্ষক দুইজন‌কে ডে‌কে অাচ্ছাম‌তো তিরস্কার কর‌লেন, এবং বল‌লেন, "‌তোমরা দুই গাধা, তোমা‌দের পড়া‌শোনা যা হাল তা‌তে অাগামী দশ বছ‌রেও ‌তোমরা এসএস‌সি পাশ কর‌তে পার‌বে না।" তিরস্কারের ফলশ্রু‌তি‌তে দুইজ‌নের দুইরকম প্র‌তি‌ক্রিয়া হ‌লো। বু‌দ্ধিমান বন্ধু‌টির খুব রাগ ও অপমান‌বোধ হ‌লো। যে ম‌নে ম‌নে জেদ কর‌লো সে তার শিক্ষক‌কে ভুল প্রমাণ ক‌রে ছাড়‌বে এবং এক চা‌ন্সেই পাশ ক‌রবে। সে ব্যাপকভা‌বে পড়া‌শোনা শুরু কর‌লো। অার বোকা বন্ধু রাগ ও জেদ ক‌রে পড়া‌শোনা একপ্রকার বন্ধই ক‌রে দি‌লো। ফ‌লে তার অার এসএস‌সি পাশ করা হ‌লো না কোন‌দিন।

সুতরাং এখন বি‌বেচনার বিষয় অা‌মি বা অাপ‌নি কোন বন্ধুর দ‌লে পড়‌তে চাই। রাগ ক‌রে ক‌রে যে ভা‌লো কিছু ক‌রে সে যেমন লো‌কের শ্রদ্ধা ও সম্মান অর্জন কর‌তে পা‌রে, কিন্তু যে কিনা রা‌গের ব‌শে নি‌জের ও অ‌ন্যের ক্ষ‌তি ক‌রে, তার নি‌জের জীব‌নে তো উন্ন‌তি হয়ই না বরং তার প‌রিবার ও সমাজ তা‌তে ক্ষ‌তিগ্রস্ত হয়, সক‌লের নিকট সে অবজ্ঞার পা‌ত্রে প‌রিণত হয়।।

Jan 25, 2018

ন্যায্যতা, মানবাধিকার ও শান্তি


Justice, Human Rights and Peace. Photo: Justice and Peace Foundation, Archdiocese of Kingston, Canada

সমাজে বসবাসকারী সকল মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের সাথে ন্যায্যতা, মানবাধিকার ও শান্তি নিবিড়ভাবে জড়িত। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যদিও সবাই সমানভাবে জন্মগ্রহণ করে না, তথাপি মানব মর্যাদার দিক থেকে সকলেই সমান অধিকার লাভের যোগ্য। “যা সিজারের তা সিজারকেই দাও! আর যা ঈশ্বরের, তা ঈশ্বরকেই দাও (মথি ২২:২১)।” মানবপ্রেমী যীশুখ্রীষ্টের এই অসাধারণ বাণীর মাঝেই ন্যায্যতা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর নিহিত আছে। ন্যায্যতা মানে হলো ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা দেওয়া এবং তার মানবাধিকার মৌলিক অধিকারের প্রতি ন্যায়ানুগ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। অর্থাৎ সহজ কথায়, যার যা প্রাপ্য তা তাকে প্রদান করাই হচ্ছে ন্যায্যতা।

Jan 18, 2018

জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ

Photo: Stephan Uttom/ucanews.com

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাবলী অন্যতম প্রধান আলোচিত বিষয় মূলত মানবসৃষ্ট কারণে উদ্ভুত এই সর্বনাশা পরিবর্তনের হেতু বাংলাদেশ ও বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখিন। সাম্প্রতিক বন্যা, তীব্র শীত সবই এ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মত। তারা আরও একটি আশংকাজনক তথ্য দিয়েছেন যে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রীন হাউজ গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠ ৮৮-৮৯ সে.মি বৃদ্ধি পাবে। ফলে মালদ্বীপের মত ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় ২০টি জেলা ডুবে যাবে, প্রায় ২ কোটি মানুয বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।

Jan 14, 2018

একজন আদর্শ সমবায়ীর খোঁজে

Photo: Piyas Biswas/ucanews.com

ছেলেবেলাতেই মিতব্যয়ীতা ও সঞ্চয় শব্দযুগলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল; কিন্তু যতদূর মনে পড়ে হাইস্কুলে পড়ার আগে বোধহয় এসবের মানে ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারি নি ।

খুব সম্ভবত ক্লাশ সেভেন/এইটের বইয়ে একটা চমৎকার শিক্ষণীয় গল্প ছিল- Mr. Ant and Mr. Grasshopper (মি. পিঁপড়া ও মি. ফড়িং) । পিঁপড়া ও ফড়িং দুজনে প্রতিবেশী, কিন্তু দুজনের চরিত্রে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি । পিঁপড়া খুবই পরিশ্রমী, মিতব্যয়ী ও দূরদর্শী, অন্যদিকে ফড়িং কুঁড়ের হদ্দ, বেহিসাবী ও ভবিষ্যতের ভাবনা-চিন্তাহীন । প্রতিদিন পিঁপড়া কঠোর পরিশ্রম করে খাদ্য জোগাড় করত আর ফড়িং মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াত, মাঝে মধ্যে পিঁপড়াকে তার সঙ্গে যোগ দিতে বলত, তার কথায় কান না দেয়ায় পিঁপড়াকে ‘বোকা’ ‘গাধা’ বলে গালমন্দ করতেও ছাড়ত না । শীতকাল সন্নিকট হলে পিঁপড়া শীতের খাদ্য সঞ্চয়ে তার কাজের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল, সে এমনকি ফড়িংকেও সে খাদ্য জোগাড়ের পরামর্শ দিল । কিন্তু ফড়িং তাতে কোন কান দিল না, সে আগের মতই গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে লাগল । সে বছর বেশ আগে-ভাগেই শীত পড়তে শুরু করল এবং ক্রমশই ভয়াবহ ঠান্ডা পড়ল । ফড়িংয়ের ঘরের খাদ্য দ্রুত নি:শ্বেষ হয়ে গেল, কারণ সে সময়মত তেমন কিছুই সঞ্চয় করে নি । ক্ষুধার্ত ও অবসন্ন অবস্থায় সে তখন পিঁপড়ার কাছে গেল খাবার চাইতে, কিন্তু পিঁপড়া তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, “আমি যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ করেছি তা দিয়েই গোটা শীতকাল পার করতে হবে । তোমাকে খাবার দিলে শেষে আমাকেই না খেয়ে মরতে হবে ।” হতাশ ফড়িং ফিরে গেল, এবার তার আফসোস হতে লাগল ‘ইস! কেন যে সময়মত খাবার জোগাড় করে রাখলাম না?’ এসব ভাবতে ভাবতেই অনাহারে দুর্বল হয়ে একসময় ফড়িং মারা গেল ।

Jan 13, 2018

Liberal and Reformist Pope Francis

Pope Francis (Photo: www.telegraph.co.uk)
Pope Francis, the supreme leader of world's 1.2 billion Catholic Christians, is visiting Bangladesh. Francis is the third pope to visit this land after Pope Paul VI on Nov. 26, 1970 and Pope John Paul on Nov. 19, 1986.

Pope Francis beholds a liberal worldview that includes everyone and excludes none.
A prolific change-maker, Pope Francis is determined to turn the Church "a guiding light and moral conscience" in an ultramodern and increasingly secular world.

  
On 13 March 2013, as he emerged as pope, he renounced traditional red papal mozetta, and worn a simple white cloak and a wooden cross. Thus, he sent out strong signals that he was there for change. 



Dec 19, 2017

Dark clouds hang over Bangladesh judiciary and democracy

Surendra Kumar Sinha, former Chief Justice of Bangladesh Supreme Court (Photo: Dhaka Tribune)

A Bangladeshi photographer in late July took a shot of a crow flying into a dark storm cloud over the nation’s Supreme Court building.
The photograph, beautiful in itself, came to be seen as both prophetic and highly symbolic.
This was because Chief Justice Surendra Kumar Sinha, 66, was subsequently forced to resign, two months before his due retirement, after a government campaign of character assassination. 

Dec 18, 2017

Takeaways from Pope Francis’ visit to Bangladesh


Tens of thousands of Christians from all over Bangladesh attend a Holy Mass offered by Pope Francis at Suhrawardy Udyan Park in Dhaka on Dec. 1, 2017 (Photo: Rock Ronald Rozario)
Pope Francis’s apostolic journey to Bangladesh on Nov. 30—Dec. 2 was welcoming, peaceful and meaningful as expected.

In some counts, the pontiff’s Bangladesh trip made more buzz than it made in Myanmar, and it was due to the politically sensitive issue he avoided in Myanmar—Rohingya.   

Francis’ three-day interactions with broader sections of Bangladeshi society have touched the lives of people cutting across caste, creed and social status not to mention country’s minority Christians.


Dec 16, 2017

স্বাধীনতা: ১৯৭১ বনাম ২০১৯


স্বাধীন বাংলাদেশে আজও অধিকাংশ বাঙালি প্রকৃত মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ পায় নি। (Photo: Rock Ronald Rozario)
১৯৭১। বাঙালি জাতি এক স্বর্ণালু স্বপ্নে বিভোর হয়েছিল–পরাধীনতার বন্ধন থেকে মুক্ত হবার নেশায় । এ মুক্তিপাগল জাতিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বঞ্চনার অবসানে একটি  শোষণহীন, সাম্যবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিমুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্রহীন ও সর্বজনের মঙ্গল ও উন্নয়নে ব্রতী দেশ ও জাতি গঠনের সে স্বপ্নে সওয়ার করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুখ-শান্তি-সাম্যের জয়োগান গেয়ে নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে কত লাখো তাজা প্রাণ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, কত না নারী সম্ভ্রম খুঁইয়েছে, কত কোটি মানুষ ভিটে-মাটি-সম্পদ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ১৯৪৭ সালের তথাকথিত ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদী উন্মাদনায় ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের যে ঐতিহাসিক ভ্রান্তিবিলাস, তার প্রায়শ্চিত্ত বলির নামান্তর সে সংগ্রাম । আর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য এই যে বিপুল আত্মদান, বিশ্ব ইতিহাসেই তা বিরল।


Dec 10, 2017

Persecution, neglect and silence deepen Rohingya crisis


A Rohingya mother with her children at Kutupalong refugee camp in Cox's Bazar, Bangladesh on Dec. 7, 2017.
(Photo: Stephan Uttom/ucanews.com)

Ethnic cleansing of Rohingya in Myanmar has strong parallels with the genocide of ethnic Tutsis in Rwanda, one of the worst atrocities of modern times.

From April-July 1994, Hutu militias backed by the Hutu-majority government and military, massacred up to one million minority Tutsis.

The genocide was the culmination of long-time ethnic conflict in Rwanda, a small equatorial republic straddling central and eastern Africa. 

Dec 8, 2017

Why Bangladeshi elections are a time for violence against minorities

Hindus walk past a burned down house after a Muslim mob attack in northern Bangladesh in this file photo


A rally of 19 minority rights' groups in Bangladesh has condemned "ethnic cleansing" of Rohingya Muslims in Myanmar.
The rally also called for protection of minorities in Bangladesh, particularly Buddhists, amid rising anger against Buddhist-majority Myanmar.   
The mass gathering was held in the capital, Dhaka, on Sept. 14.
By some estimates, more than 400,000 Rohingya have fled Myanmar's Rakhine State as refugees since a new round of ethnic violence flared in late August.
Islamic radicals have reportedly threatened to avenge persecution of Rohingya, prompting the Bangladesh government to beef-up security in the Buddhist-majority areas of Cox's Bazar and Chittagong.


The Forgotten People: Bihari Refugees of Bangladesh


The Bihari refugees - 160,000 people who have lived like animals in congested makeshift camps, all over Bangladesh, for more than 40 years.

No relief for Bangladesh's most vulnerable communities

An elderly female tea-plucker works in one of Bangladesh's many tea gardens in this file image. (Photo by Mufty Munir/AFP)
There are many venerable communities in Bangladesh, among them suffering the worst are those working on tea plantations in conditions akin to slavery, the Biharis who are scorned for siding with West Pakistan during Bangladesh's Liberation War of 1971 and the stateless Rohingya who have fled neighboring Myanmar.
These communities find themselves facing dire challenges with historical roots that are hard to untangle.  


Dec 7, 2017

Pope Francis' Liberalism and Reforms


Pope Francis

Pope Francis, the supreme spiritual leader of world’s 1.2 billion Catholic Christians, made his highly anticipated apostolic journey to Bangladesh on Nov. 30 to Dec. 2.

Francis is the third pope to visit this land and the second in independent Bangladesh.

Pope Paul VI made few hours stopover at Dhaka airport in erstwhile East Pakistan on Nov. 26 in 1970, in order to express sympathy for victims of a devastating cyclone that killed tens of thousands, on his way to Manila in the Philippines.

Pope John Paul II visited independent Bangladesh on Nov. 19, 1886.

A man of simplicity and humility, Pope Francis beholds a liberal worldview that includes everyone and excludes none. 

Nov 30, 2017

পোপ ফ্রান্সিসের উদারনীতি ও সংস্কার

পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস এমন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব, যিনি এমন এক উদারনৈতিক বিশ্বচেতনার অনুসারী, যা পৃথিবীর সব মানুষকে যুক্ত করে এবং কাউকেই বাদ দেয় না। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টবিশ্বাসীর সর্বোচ্চ ধর্মগুরু নিজেকে বহুমাত্রিক পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ তথা দক্ষিণ গোলার্ধের প্রথম পোপ এবং প্রায় ১ হাজার ৩০০ বছরের মধ্যে প্রথম অ-ইউরোপীয় পোপ।

পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তিনি যখন রোমের সাধু পিতরের মহামন্দিরের বিখ্যাত ব্যালকনিতে আবির্ভূত হন, তখন দেখা গেল তিনি খুব সাধারণ সাদা পোশাক পরিহিত এবং গলায় কাঠের তৈরি একটি ক্রুশ। তিনি ঐতিহ্যবাহী ও জমকালো লাল রঙের ‘পোপীয় মোজেত্তা’ পরিহার করলেন। বিগত পাঁচ বছরের পোপীয় কার্যকালে মণ্ডলীর নীতিগত ও মৌলিক ধর্মতত্ত্বের কোনো বড় পরিবর্তন না করেই বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথায় ও কাজে ক্যাথলিকমণ্ডলীর কট্টর অবস্থানকে লঘু করার প্রয়াস নিয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস মঙ্গলসমাচারের বর্ণিত যিশুর শিক্ষা অনুসারে ক্যাথলিক মণ্ডলীর শক্তি-সামর্থ্যকে ব্যবহারের দিকে অধিকতর মনোযোগী। তিনি তেমন বিশপদের চান না, যারা ‘রাজপুত্র’ (Princes) হতে চায় কিন্তু ‘একনায়কসুলভ’ মনোভাব পরিহার করে ‘পালক’ হিসেবে জনগণকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।

একটি ইতালীয় সংবাদপত্রের বিশ্লেষণ অনুসারে পোপ তাঁর উপদেশবাণী ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, তা হলো ‘আনন্দ (Joy)’। পোপ বিশ্বাসের জীবনকে চিত্তাকর্ষক ও আনন্দময় করে তোলার প্রয়াসে যে পরিবর্তনের সূচনা করেছেন, তা কোনো কোনো ধর্মীয় নেতার রক্ষণশীল ও আক্রমণাত্মক শিক্ষার চেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়, মানবিক ও সহনশীল।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে পোপ ফ্রান্সিস এক পালকীয় শ্বেতপত্র (Apostolic Exhortation) প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো ‘ইভানজেলি গাউদিউম’ বা ‘মঙ্গলসমাচারের আনন্দ’। এই পত্রটি তাঁর পোপীয় শাসন আমলের প্রায় সব শিক্ষা ও কর্মোদ্যোগের প্রাণকেন্দ্র। এই পত্রের দ্বারা তিনি পুঁজিবাদের গড্ডালিকাপ্রবাহে ভেসে চলা চরম ও বল্গাহীন বিশ্বায়নের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি ভোগবাদী সংস্কৃতি, ব্যবসায়িক লোলুপতা ও ধনীদের ধনী করে এবং দরিদ্রদের দরিদ্রতর করে এরূপ অর্থনীতিকে আঘাত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, যা বহু মানুষকে বঞ্চিত করে এবং সামাজিক অসমতাকে উসকে দেয়। এমন অর্থনীতি মানুষকে মেরে ফেলে। এ কেমন বিশ্বব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, যেখানে একজন বয়স্ক, দরিদ্র ও বাস্তুহীন মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা গেলেও তা কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হিসেবে গণ্য হয় না, কিন্তু শেয়ারবাজারে দুই সূচক পতন হলেই তা সংবাদের শিরোনাম হয়?’ পোপ ফ্রান্সিস তথাকথিত কট্টরপন্থী মাণ্ডলিক নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাঁরা যেন সেবাকাজের কথা ভুলে না যান। তিনি তাঁদের ক্ষমতা ও উচ্চপদের পিচ্ছিল সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ইঁদুর দৌড়ে মত্ত না হতে পরামর্শ দেন।
পোপ ফ্রান্সিস পরিবেশদূষণকে ‘পাপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বিশ্ববাসীর প্রতি আবেদন জানান, যেন তারা ‘ফেলে দেওয়ার সংস্কৃতি’, ভোগবাদ ও ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন উন্নয়ন’ পরিত্যাগ করে। তিনি দৃঢ়ভাবে নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে বিশ্বনেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রতি আহ্বান জানান এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ‘দ্রুত, সমন্বিত ও একীভূত’ উদ্যোগ নিতে জোরালো আবেদন জানান।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রান্সিস সাময়িক কালের জন্য এক বিশেষ ‘দয়ার জানালা’ উন্মুক্ত করেন, যাতে যেসব নারী গর্ভপাত ঘটিয়েছেন, তাঁরা যাজকের কাছে গিয়ে পাপ স্বীকার করেন এবং পুনরায় মণ্ডলীতে ফিরে আসেন। তাঁর আরও অনেক প্রতীকী উদ্যোগের মতো এটিও বিশেষ প্রতীকী তাত্পর্য বহন করে। কারণ, খ্রিষ্টমণ্ডলী গর্ভপাতকে হত্যা ও ক্ষমার অযোগ্য পাপ হিসেবে বিবেচনা করে। পোপ গর্ভপাত বিষয়ে মণ্ডলীর এই অবস্থানের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করেননি, কিন্তু দয়া ও করুণার মাধ্যমে এক নতুন বার্তা দিলেন।
 ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে পোপ ফ্রান্সিস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশপদের পালকীয় বিশেষ সভা আহ্বান করেন, যার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল মণ্ডলীতে বিবাহ ও পরিবার জীবন। এই সভার পরপরই পোপ ক্যাথলিক মণ্ডলীর বিবাহ বাতিলকরণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার অবসানে গোটা প্রক্রিয়াকে সহজ-সরল ও সংক্ষিপ্ত করেন।
বিভিন্ন সময়ে পোপ ইসলাম ধর্মের প্রতি সহনশীল মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার সঙ্গে ইসলামকে মিলিয়ে ফেলার ভ্রান্ত প্রবণতাকে পরিহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ‘ইসলামভীতির’ (Islamophobia) সমালোচনা করেছেন। বরং তিনি মুসলিমদের সমর্থনে পশ্চিমা বিশ্বেও নৈতিক অবক্ষয়ের সমালোচনা করেন।
সুতরাং এ কথা বলাই বাহুল্য যে পোপ ফ্রান্সিস একজন মহান বিপ্লবী, যিনি তাঁর কথা ও কাজের দ্বারা অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটিয়েছেন বিগত পাঁচ বছরে। তঁার উদারনীতি ও সংস্কার কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আর তাই পোপ ফ্রান্সিসের শাসনকাল খ্রিষ্টমণ্ডলী ও বিশ্বের ইতিহাসের এক অসামান্য ও চিরস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।


রক রোনাল্ড রোজারিও: লেখক এবং বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান, ইউনিয়ন অব ক্যাথলিক এশিয়ান নিউজ।

Nov 29, 2017

What can Pope Francis and Bangladesh achieve from upcoming trip?


Pope Francis’s apostolic journey to Bangladesh (Nov. 30-Dec. 2) is highly expected to be welcoming, joyful and peaceful, unlike his somewhat prickly trip to ethnically and religiously divided Myanmar days before.

Francis will be the third pontiff to visit the Muslim-majority nation. 

Oct 14, 2017

শ্রদ্ধাঞ্জ‌লি: ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, সিএস‌সি (১৯৪২-২০১৭)

ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, সিএস‌সি (Photo: Stephan Uttom)

২০০১ খ্রিস্টা‌ব্দের জুলাই মা‌সে মাধ্য‌মি‌কের গ‌ন্ডি পে‌রি‌য়ে উচ্চ মাধ্য‌মি‌কে পড়‌তে ঢাকায় আ‌সি। সে সময় অব‌ধি গ্রাম ও মফ:স্ব‌লের আ‌লো-বাতা‌সে বড় হওয়া ও সদ্য কৈ‌শোরের চৌকাঠ মাড়া‌নো দুরুদুরু ব‌ক্ষের একজন ছে‌লের জন্য ঢাকার মতো ব্যস্ত ও বিপুলায়তন নগরী‌তে আসাটাই  এক অ‌বিস্মরণীয় ঘটনা। তদুপ‌রি দেশ‌সেরা নটর ডেম ক‌লে‌জের স্বপ্ন ছিল দু‌চো‌খে, য‌দিও মাধ্য‌মি‌কের রেজাল্ট ছিল নিতান্তই সাদামাটা। এখা‌নেই দেখা পাই  একজন পক্ক‌কেশ জ্ঞানী কিন্তু নিতান্তই সাধা‌সি‌ধে সন্ন্যাসব্রতী যাজকের। তি‌নি আর কেউ নন ফাদার বেঞ্জা‌মিন কস্তা, নটর ডেম ক‌লে‌জের অধ্যক্ষ।

Sep 5, 2017

Countering extremism needs more than just force

A woman leaves a floral arrangement on a roadblock leading to an upscale cafe in Dhaka on July 3, 2016 that was the site of a bloody siege. (Photo by Roberto Schmidt/AFP)
Radical outfits such as the so-called Islamic State and Al-Qaeda are exploiting digital communications and the Internet to push disaffected Bangladeshi Muslims into committing terrorist acts.
However, there are concerns that complacency is setting in nearly 14 months after a bloody Islamist siege at a cafe in the capital Dhaka.
Of the 20 people killed, nine were Italian, seven Japanese, one Indian and three Bangladeshi.
And of the five militants who carried out the attack, three hailed from affluent urban families and two came from poor rural backgrounds.
The cafe carnage followed several years' of deteriorating religious and cultural tolerance in Bangladesh.
Since 2013, there have been at least 25 targeted killings by radicals of atheist bloggers, liberal writers, academics, gay and lesbian activists, religious minorities and foreigners.
As with global jihadists, the dream of Bangladeshi militants is to establish an Islamic state.
Attacks, such as the one on the Dhaka cafe, aim to undermine the economy, create political instability and instill fear among liberal Muslims critical of radical Islam.
The government of Bangladesh, concerned the nation could face a Taliban-style insurgency akin to those in Afghanistan and Pakistan, killed 70 alleged militants in a crackdown that lasted until June.
The government ordered that "anti-militancy" sermons be delivered weekly in all mosques. And about 100,000 Islamic clerics issued a fatwa (Islamic ruling) denouncing militancy.
However, that initial energetic campaign to promote communal harmony waned.
Now the pace of anti-extremist action has slowed to mostly sporadic hunts for militants.
A danger is that radicals will make use of the hiatus to re-group and reappear.
Culture of denial still exists
During the past four years, Al-Qaeda-linked groups in Bangladesh have claimed responsibility for killings bloggers, writers, publishers and academics.
Radicals in the country professing allegiance to Islamic State, meanwhile, took credit for attacks on foreigners and religious minorities.
At the beginning, the government sought to portray violent acts as at least partly attributable to opposition political parties trying to 'destabilize' the government.
However, it subsequently conceded that the two main groups involved were Ansarullah Bangla Team (ABT) and the revived militant outfit, Jamaatul Mujahedin Bangladesh (JMB).
The first organization is said to be influenced by Al-Qaeda ideology while the JMB pledges allegiance to Islamic State.
Islamic State and Al-Qaeda don't need to set up bases in Bangladesh to launch attacks. In this digital age, they can influence others to carry out attacks in different parts of the world, including Bangladesh.
Bangladesh has more than eight million expatriate workers spread across the globe and many become radicalized while abroad.
Surprisingly, when militants launched deadly attacks on atheist bloggers and writers, the government rebuked the bloggers for their critical writings instead of protecting them.
This culture of denial still exists.
No holistic approach to counter-terrorism
Bangladesh has no national counter-terrorism strategy that involves 'all of government' and society.
This contrasts with the United States where, following a commission of inquiry into Al-Qaeda's 9/11 attacks of 2001, there was a major counter-terrorism overhaul. That included creation of a special agency, Homeland Security, to overcome rivalry between the FBI and the CIA.
The government of Bangladesh, though, has yet to adopt a highly coordinated approach, not overwhelmingly dependent on the use of force.
The Bangladeshi Mujahidin of Afghan War formed the first batch of Islamic militants in 1990s. A second batch arose from fleeing Taliban operatives after the 2001 U.S. invasion of Afghanistan.   
Each time the government responded by using force: arresting and executing extremists. However, they have re-emerged in new forms and with new leaders. Networks were weakened, but not annihilated. 
Arguably, the most important step towards combating extremism is to present a 'counter ideology' to those individuals and groups that have already been radicalized. However, there is no such policy in place, even in prisons where radicals are held.
To combat the existential threat posed by militants, there needs to be an alliance between government and concerned sections of the society to develop and implement anti-terrorism policies.
Lack of political consensus
Major political parties — the ruling Awami League  and opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) — are "blood-feud" rivals unable to reach a consensus on important national issues. Even in the wake of the bloody cafe attack, no consensual counter-terrorism strategy was formulated.
The center-right BNP has traditionally had warm relations with some radical Islamist political parties. And the BNP came to power twice — in 1991 and 2001 — through alliances with what have been branded as "political Islamists."
Meanwhile, the avowedly secular Awami League has also been trying to appease radical groups in different ways, including through recognition of religious madrasa educational degrees and the 'Islamizing' of school textbooks.  
Cyber radicalism
More needs to be done to combat on-line propaganda, including through social media, by radical groups such as Islamic State and Al-Qaeda. Disgruntled and detached people, often young, can be too easily influenced to become violent.
Instead, in recent years, Bangladeshi authorities have targeted dissidents and government critics. Some on-line articles critical of aspects of religious practice, including Islam, have been removed. Dozens of bloggers, journalists and government critics have been harassed under the Information and Communication Technology Act.
After so much bloodshed, Bangladesh must look to countering extremism with a coordinated, multi-dimensional approach.
END
Click for original piece here 

Aug 29, 2017

Ending sexual violence against women requires major changes


Despite political strife, poverty and natural disasters, Bangladesh takes pride in having many women in top leadership positions, including the Prime Minister, Sheikh Hasina.  
And Bangladesh is probably the only country in the Islamic world where more girls go to school than the boys.
A majority of the 4 million workers in the US$25 billion garment industry are women.
However, it is not all good news when it comes to female empowerment.
Many Bangladeshi women are routinely denied their rights, equality and justice.
Humiliation and denial of justice
A recent upsurge in rape, ongoing harassment of victims and denial of justice constitute the ugly side of what on many levels is still a male-dominated society.
Violence and sexual crimes against women can be met with apathy and vilification by members of the public and the state.
A recent rape case underscored the scale and gravity of the problem. In March, two young university students were allegedly raped by Shafaat Ahmed and two of his friends in a Dhaka hotel during Shafaat's birthday party. His driver and bodyguard allegedly held the women at gunpoint and filmed the entire incident.
Fearing the social stigma associated with rape, and claimed threats from the culprits, the women kept silent for weeks, but went to police when they could no longer bear the torment. 
Initially, police refused to register the case when the identities of the alleged rapists were revealed. Shafaat is the son of the owner of a top gold trading company, Apan Jewelers. It was only after a public outcry and street protests that police accepted charges and the accused men were arrested.
A clash of classes  
Even though in this case there was an angry public reaction to the rape, the names and photos of the victims were posted on social media, despite it being illegal to do so. Some people tried to portray the victims as "bad girls," who went to a night party wearing "revealing clothes." Even worse, they were accused of trying to extort money by filing the case.
Despite, reported confessions, doctors failed to establish forensic evidence, citing the time that had elapsed between the alleged attack and it being reported to police.
It now appears unlikely that the victims will get justice despite the trauma they have gone through.
Many police investigations and court procedures are so lengthy that poor victims compromise with offenders out of court, avoiding public humiliation.
Until 2010, rape investigations required victims to undergo a ridiculous "two-finger" medical test. To do the test, a doctor would put two fingers into female genitalia to determine whether the victim was "used to" sexual intercourse or not. It was nonsense because for a married woman, for example, the test might well be positive without having any bearing on whether she was raped or not.
The test was so humiliating that some women activists termed it "second rape." The controversial test was scrapped after a court verdict, and a series of objections from rights' groups.
Rape can be portrayed as a "loss of honor" for a girl or woman. In 2013, a schoolgirl, aged 14, was gang-raped over several days. The crime went unreported for weeks because the family tried to keep the girl in hiding to prevent it becoming widely known that she had lost her her virginity.
This girl recovered from the physical trauma after a period, but it seemed all but inevitable that she will face a lifelong social stigma.
Disturbing figures
Rights group Ain-O-Salish Kendra recorded 93 reported rapes, 21 attempted rapes and five cases of murder after rape from January to March, while the Bangladesh National Women Lawyers' Association estimates 3,992 women were victims of rape between 2010 and 2014.  
Children are not spared. A total of 446 children were victims of rape and 48 were gang raped, while 21 were murdered after rape, according to the Bangladesh Child Rights Forum.
The rate of trials and punishment of rapists is very low.
Figures from the government-run One Stop Crisis Center, which provides medical, legal and police support for female victims of violence, show 4,361 rape cases were filed with police between 2001 and 2017, of which only 578 cases completed trials and in 68 cases offenders were punished.  
Most sexual and other forms of violence go unreported and justice is often denied. Attackers can wield immense social, political and financial influence.
Patriarchal society
In many rural families, a daughter is rarely considered equal to a boy and is often provided with fewer opportunities for education. She is taught not to go outside home alone and never after dusk.
In most cases, the parents of a girl choose a husband for her even if she is under 18 years of age or not wishing to marry. In Bangladesh, one in every three girls marries before 15, and 64 percent of girls get married before they reach 18, making them vulnerable to 'marital rape.'
Child marriage has been a major driving factor behind domestic and sexual violence in marriage. Instead of battling child marriage, the government this year amended the child marriage law, to allow marriage of girls under 18 in "special circumstances" like rape and teen pregnancy. In other words, it legalizes child marriage and even sexual violence such as rape.
Many men, by virtue of marriage, believe that they have unlimited access to their wife's body. Yet, sexual violence or rape in marriage is not considered an offense and is hardly ever talked about.
Often violence against women is seen as a correcting tool. People think a woman was abused because she had done something wrong. Many conclude that a woman was raped because she dared to move about alone or wore "revealing clothes," thus inviting the rape.
In order to eliminate violence against women, especially sexual violence and rape, Bangladesh needs to implement major change.
It must start from the family, with both boys and girls having equal rights and opportunities. Families need to teach their sons to respect women, instead of telling girls what to wear or restricting their movements.
When a woman faces violence, people need to stand up to ensure justice for her, instead taking the side of the culprit.
The state needs to realize rape is no petty crime, but a serious human rights violation. It needs to empower law enforcement agencies and the judiciary further, so that no sexual offender is spared or allowed to repeat their crime.
A humane society is possible only if women have equal rights and are protected from all forms of violence.
END
Click for the original story on ucanews.com

Aug 23, 2017

Bullying Bangladesh govt clamping down on free speech



Bangladeshi activists shout slogans as they march in the street protesting the deaths of secular publishers and bloggers, in Dhaka, in this file photo. (Photo by Munir uz Zaman/AFP)
The Arab crisis surrounding Qatar and the demands by the Saudi Arabia-led campaign to shut down its influential Al-Jazeera news agency shines a light on the growing threats against freedom of speech in the region.
David Kaye, the United Nations special rapporteur on freedom of opinion and expression, described the demand as a "blow to media pluralism" in a recent statement.
As media freedom continues to plummet in the wake of populist, authoritarian leaders in Europe and America, such as Donald Trump, Digital Content Next, an influential media alliance that includes the BBC, The GuardianThe New York Times and Washington Post, has unequivocally leaped to the defense of Al-Jazeera.
Meanwhile, in Bangladesh, a war is raging, both covertly and publicly, against free speech despite the constitution ensuring its people freedom of expression.
Attacks on media and freethinking
Increasingly arbitrary restrictions have been placed on media and written works in Bangladesh by each regime since it gained independence from Pakistan in 1971. The current austere regulations imposed by the ruling Awami League, the party that led the struggles for independence and has been in power since 2008, has surpassed those of its predecessors.
The government, led by Prime Minister Sheikh Hasina came to power after a controversial election on Jan. 5, 2014 boycotted by the major opposition parties. The absence of an effective political opposition has allowed the increasingly authoritarian rulers to adopt a policy of muzzling dissent.
The state apparatus has forced several newspapers and online sites to shut down or curtail their operations, pulled the plug on two television stations, while half a dozen prominent journalists are being hounded with criminal charges.
According to Ain-O-Salish Kendra, a Dhaka-based rights organization, 117 journalists experienced abuse and harassment in 2016, including nine at the hands of government forces and 20 who faced police charges.
The Committee to Protect Journalists, meanwhile, says 21 journalists have been killed since 1992, including 16 with impunity. Horrific murders of seven secular bloggers by Islamic militants since 2013 add to the tally of egregious acts.
The combined onslaught of restrictions and attacks on freedom of speech mean Bangladesh has scored very poorly in a 2017 report by Freedom House, a U.S.-based democracy and media freedom monitor, with the status "not free" attributed to the South Asian state.
Aside from infrequent and ineffective public protests by rights groups such as Amnesty International and the Committee to Protect Journalists and Reporters Without Borders, journalists and freethinkers in Bangladesh have no good friends to defend or protect them.
Muzzling dissent and intimidation
Last year, Mahfuz Anam, editor of leading Bangladeshi English newspaper the Daily Star, came under fire from the government after he conceded in a TV interview he had published unsubstantiated reports of corruption fed by the military intelligence agency during an army-backed state of emergency, 2007-2008.
Prime Minister Hasina called for Anam's resignation, while her son called for his prosecution for treason. This encouraged Awami League activists to file 62 criminal defamation and 17 sedition cases against Anam in 53 courts across the country. The lawsuits altogether totaled over US$8 billion.
Anam was forced to move across the country to secure bail orders before the High Court ruled against the court cases.
Matiur Rahman, editor of Prothom Alo (First Light), Bangladesh's highest-selling Bengali daily, and journalists associated with the paper are currently facing court charges for criminal defamation and "hurting religious sentiments."
Many believe the ire against the country's top two newspapers is payback for criticizing the government for failing to hold free and fair elections in 2014. The two papers have experienced significant financial setbacks thanks to the government wrath.
In August 2015, the military intelligence agency reportedly ordered some 20 large companies not to advertise in the Daily Star or Prothom Alo. The ban was allegedly triggered by their respective reports on the killings of five men in the restive Chittagong Hill Tracts. They labeled the slain as "indigenous peoples" rather than "terrorists," as the army officials would have preferred.
Overnight, the papers lost 30 percent of their advertising income, putting their very existence at stake. The government and military have denied allegations of the ban order, but it continues today.
The government's actions have clearly sent a chill down the spines of the media establishment. None of their peers have dared to report on the unwritten and unlawful ban. A senior correspondent at the Daily Star recently claimed in a private meeting that the paper's reporters are "unofficially banned" from attending events with Prime Minister Sheikh Hasina.
Abuse of restrictive, ambiguous laws
Bangladesh has a British colonial-era 1898 code of criminal procedure in which articles 295-298 rule that anyone who offends the religious sentiment of its citizens be punished.
This law doesn't provide any clear-cut definition of religious sentiment, nor how religious sentiment can be hurt. Clearly however, it is widely abused by the state and non-state actors, including Islamic radicals, against journalists and so-called atheist bloggers to intimidate them and to force them from writing on radicalism and any cohesion between politics and religion.
Section 57 of the Information and Communication Technology (ICT) Act 2013 has made it the most draconian law against freedom of speech in Bangladesh's modern history. The law makes it illegal to publish any material over the internet that would "deteriorate law and order," prejudice the image of the state or an individual or defame religion. It gives police the powers to make an arrest without a warrant, with a maximum sentencing of 14 years' jail time and a fine of 1 million taka (US$12,288).
This law has been used to harass journalists, bloggers, writers and publishers in recent years. In 2015, a disabled journalist was arrested for reporting on Hindu property-grabbing by a Muslim government minister, while four bloggers were arrested for "hurting religious sentiment."
Amid the criticism at home and abroad, the government recently decided to drop Section 57 of the ICT law. Now, activists and critics have been alarmed with the forthcoming Digital Security Act, where this repressive law is poised to make comeback in a reworded format.
Last year, the Foreign Donations (Voluntary Activities) Regulation Act 2016 was passed equivocally. It allows the NGO Bureau — a state body under the Prime Minister's Office — to suspend registration or to close an organization down if it makes any "derogatory" remarks about the constitution or "constitutional bodies," which includes the parliament, the election commission, the comptroller and auditor general, the attorney general's office, the public service commission and the judiciary.
Critics say the law is aimed at silencing outspoken non-government agencies that press government to check on corruption, to ensure good governance and human rights.
While Islamic militants targeted secular bloggers and writers for their criticisms of religious malpractices, especially of Islam, the government didn't stand beside them. Instead, the prime minister and police chief publicly admonished the writers for crossing a line.
Amidst a dark atmosphere and death threats, more than a dozen bloggers and freethinkers have fled the country and settled in Europe and America. Those who couldn't leave have employed self-censorship in their writings and continue to maintain a low profile.
A blow to democracy and development
Bangladesh had endured 15 years of military rule before 1990. Yet, the country made significant strides in socio-economic development over recent decades, including almost self-sufficient food production, poverty reduction, lowering maternal and infant mortality, and almost 100 percent primary school enrollment.
A big credit for these advancements goes to a vibrant media, the tireless activities of development groups and critical appraisal by civil society groups. Despite the dirty-rotten, blood-feuding politics between the two major political parties, the fledgling democracy has thrived thanks to public support for free speech and media freedom.
Thus, the growing threat to free speech, from both the state and non-state actors, undermines Bangladesh's democratization and development progress. Bangladesh needs to wake up and the international community must act on restoring free speech before it's too late.
END

দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...