ইনানী বিচ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ (ছবিঃ এএফপি) |
"I speak of legend, I speak of my ancestor, I speak of the restless present, and of the final struggle in future." --- Abu Zafar Obaidullah
Jun 17, 2022
করোনা মহামারী ও আমাদের পরিবেশগত পাপসমুহ
May 19, 2022
৫০ বছরে বাংলাদেশ: স্বাধীনতা, অধিকার ও উন্নয়ন
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ প্রজ্জলন (ছবিঃ এএফপি) |
সারা বিশ্বের ন্যায় করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও ২০২১ সালটি ছিল জাতির জন্য একটি উৎসবমুখর ও তাৎপর্য্যপূর্ণ বছর। সে বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত ‘মুজিব বর্ষ’-র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানমালার বর্ণাঢ্য সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের জেষ্ঠ্যা কন্যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের শেষদিকে ডিসেম্বর মাসে জাতি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।
শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোটা বছর জুড়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তার চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালা মঞ্চস্থ হয়েছে ১৭-২৬ মার্চ। দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ একগুচ্ছ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে শামিল হয়েছেন।
মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে এরূপ উচ্চমার্গীয় শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শ্রেষ্ঠ দাবিদার। কারণ তার সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণেই বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। আক্ষরিক অর্থেই মুজিব ছিলেন এক মহান ও দূরদর্শী নেতা, যিনি তার গোটা জীবন জনগণের সুখ ও দু:খে পাশে থেকে অতিবাহিত করেছেন এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যে বারংবার অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এ কারণে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের অধিকাংশ সময়ই জেলখানায় কাটাতে হয়েছে।
স্বাধীনতার পর চরমভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে তাকে সর্বগ্রাসী দারিদ্র ও ক্ষুধাসহ এবং অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু জনগণ ও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল সর্বদা অতুলনীয় ও অতলস্পর্শী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে তার বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো এবং মর্মান্তিক অধ্যায়।
যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, তেমনিভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও দেশের জনগণ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী উদ্বেলিত ছিল।
৫০ বছর আগের এই দিনে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি বাঙালি আনন্দ ও স্বস্তির অশ্রুজল বিসর্জন করেছিল। কেননা সেদিন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নি:শর্ত আত্মসমর্পণের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।
Dec 5, 2021
জন ক্ল্যানসি: হংকংয়ের অকুতোভয় গণতন্ত্রকামী ও মানবাধিকার প্রবক্তা
John J. Clancy (Photo: https://hotsewai.com.hk) |
জানুয়ারি ৬, ২০২১। হংকংয়ের স্বনামধন্য আইনগত সহায়তা প্রতিষ্ঠান হো সে ওয়াই এন্ড পার্টনার্সের সামনে একদল সাংবাদিক অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। তাদের সামনে দিয়েই পুলিশ প্রখ্যাত আমেরিকান আইনজীবী জন জে. ক্ল্যানসিকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেল।
হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রবাদপুরুষ ৭৯ বছর বয়সী ক্ল্যানসি যখন ক্রাচে ভর করে পুলিশ প্রহরায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জানতে চাইলেন জনগণের উদ্দেশ্যে তার কোন কিছু বলার আছে কিনা।
কিছুটা নিচু গলায় কিন্তু স্পষ্টস্বরে ক্ল্যানসি বললেন, “হংকংয়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।”
সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মী ও গনতন্ত্রপন্থীগণ ৬ জানুয়ারিকে হংকংয়ের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের “অন্ধকারতম দিন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কেননা সেদিন ক্ল্যানসিসহ ৫৫ জন গণতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদ ও কর্মীকে ক্যারি ল্যামের নেতৃত্বাধীন হংকং সরকার গ্রেফতার করে। এদেরকে সকলকে বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকারের মদদে গত বছরের জুনে প্রণীত কুখ্যাত জাতীয় নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করা হয়। চীনের অন্তর্ভুক্ত এ স্বায়ত্বশাসিত নগরীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর এত বৃহৎ পরিসরের দমন-পীড়ন এক নজিরবিহীন ঘটনা।
জন ক্ল্যানসি এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন পাওয়ার ফর ডেমোক্রেসির কোষাধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি “সরকারকে অস্থিতিশীল করা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল” করার এক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন।
পাওয়ার ফর ডেমোক্রেসি সংগঠনটি হংকংয়ের স্থগিত নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুলাই মাসে একটি অনানুষ্ঠানিক, স্বাধীন ভোটের আয়োজন করেছিল।
জন ক্ল্যানসি বেইজংপন্থী ক্যারি ল্যামের নেতৃত্বাধীন হংকং সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া প্রথম বিদেশী নাগরিক। আটক হওয়ার একদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
এই গ্রেফতার ও আটক হওয়া ক্ল্যানসির জীবনে এক অভুতপূর্ব ঘটনা। ক্যাথলিক ধর্মযাজক থেকে মানবাধিকার আইনজীবী বনে যাওয়া ক্ল্যানসি তার জীবনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় এই সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশে কাটিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি নিজেকে হংকংয়ের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ল্যানসি বলেন যে তিনি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঘটনায় “ভয় পান নি, কিন্তু বিস্মিত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আপনি যখন মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কল্যাণ কামনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কোন কাজ করেন, তখন আপনার ভয় পাবার কিছু নেই। আমি ভুল কোন কিছু করি নি। আমি সব সময় মনে করে এসেছি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করা অতি উত্তম। মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামো যা মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে, তার বিষয়ে যারা উদ্বিগ্ন তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি কাজ করে গেছি।”
ক্ল্যানসির অকুতোভয় বাণী যেন তার সুদীর্ঘ, বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত প্রতিবিম্ব। তিনি তার প্রায় গোটা জীবন নানা শ্রেণীর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, বিশেষ করে হংকং ও অন্যান্য স্থানে যারা সুবিধাবঞ্চিত এবং দু:খ-কষ্ট জর্জরিত, তাদের তাদের সেবায় কাটিয়ে দিয়েছেন।
Dec 25, 2020
নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠায় হৃদয় রুপান্তর প্রয়োজন
“আমার
স্বামী যখন আমাকে নির্যাতন করে, তখন আমি মনে করি আমি সেটা আমার কোন ভুলের পরিণাম”—এমন
কথা বিবেকবান পুরুষ ও নারীর কাছে ভয়ংকর আঘাতের মত মনে হলেও বাংলাদেশে অনেক বিবাহিত
নারীর জীবনে এটাই এক কঠিন বাস্তবতা।
এ
বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি জরিপের ফলাফল দেখে দেশ
ও বিদেশের অনেকে, বিশেষ করে নারীবাদী ও নারী অধিকার কর্মীগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
বিবিএস-র Multiple Indicator Cluster Survey 2019-র মতে, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জন বিবাহিত
নারীর মধ্যে ১ জন অথবা শতকরা ২৫ ভাগ মনে করেন বিভিন্ন তুচ্ছ ভুল বা ক্ষুদ্র অধিকার
প্রয়োগ করার কারণেও স্বামীর নির্যাতন যৌক্তিক। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে, স্বামীর অনুমুতি
ছাড়া বাড়ীর বাইরে যাওয়া, সন্তানের যত্ন সঠিকভাবে করতে না পারা, স্বামীর সাথে তর্ক করা,
ভালভাবে রান্না করতে না পারা এবং স্বামীর ইচ্ছামত যৌন সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়া।
বিবিএস-র
সাম্প্রতিক জরিপ কতটা বাস্তবসম্মত সেটা তর্কসাপেক্ষ, তবে বাংলাদেশ নারীর প্রতি সহিংসতা,
বিশেষ করে গৃহ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষে তাতে কোন সংশয় নেই। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (UNFPA) অর্থায়নে পরিচালিত বিবিএস-এর একটি জরিপ মতে, বাংলাদেশে
শতকরা ৮০ ভাগ বিবাহিত নারী তাদের জীবদ্দশায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকদের দ্বারা বিভিন্ন
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।
বিশ্ব
জুড়েই গৃহ নির্যাতন নারীর প্রতি সহিংসতার মধ্যে অন্যতম। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের পর
গৃহ জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার মতে, গৃহ নির্যাতন বিশ্ব জুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতার
অন্যতম কারণ এবং প্রায় ৩৫ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় নানা প্রকার গৃহ নির্যাতনের শিকার
হয়ে থাকেন।
দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার মত রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর প্রতি সহিংসতা একটি নিত্য নৈমিত্তিক ও বিয়োগান্তক বাস্তবতা।
Sep 24, 2020
Covid-19 deals mortal blow to freedom of speech
Sirajum Munira, 28, a lecturer at Begum Royeka University in northern
Bangladesh, was arrested under the country's controversial Digital Security Act
(DSA) on June 14. Her arrest was soon followed by dismissal from her job.
Her crime was a one-line Facebook post that mocked Mohammed Nasim, the former home and health minister who died of Covid-19 on June 13. She later apologized and deleted the post, yet she became one of a string of arrests and abuses over social media posts related to the pandemic.
Munira’s derogatory remarks against Nasim, an influential politician from the ruling Awami League party elected to parliament six times, were inappropriate, but the reason for them is well known. Nasim’s 2014-19 tenure at the health and family welfare ministry was mired in massive corruption, which probably cost him a cabinet post in the current government. His legacy in the health sector continues.
Bangladesh has drawn strong criticism at home and abroad for its inability to stem Covid-19. From its first three reported cases on March 8, the country had recorded 115,786 cases and 1,502 deaths as of June 22.
Much of the blame lies with poor state health services — lack of resources and coordination, poor services, mismanagement and discrimination — that have become more exposed in the time of a pandemic. Even Nasim’s family couldn’t trust the state health services he once led and he was treated in a private facility, but he didn’t survive.
The top brass of the health sector have not only failed to adopt effective policies and courses of action to curb the spread of the virus but have also put the lives of medics in grave danger by not providing high-quality personal protective equipment in time. Media reports busted a syndicate that provided substandard N95 masks for doctors, putting their lives at risk.
Some 3,301 health workers including 1,041 doctors, 901 nurses and 1,360 medical staff have been infected with the coronavirus. About 50 doctors, most of them specialists, have died from Covid-19, according to the Bangladesh Medical Association.
On the other hand, dozens of ruling party leaders and local government officials have been accused of stealing food aid intended for the poor under the government’s relief schemes.
Yet criticizing has become more dangerous than ever as the state and non-state actors are quick to vent anger on whistleblowers to wash their hands.
Aug 19, 2020
Dreaming of a world free from violence against children
About one billion children have faced various forms of violence in the last year, according to the World Health Organization. (Image: Pixabay) |
The recent brutal killing of three children at a state-run
juvenile correction facility in southwest Bangladesh has brought to the fore
state violence against children in the country.
At first it was reported the children died at Jessore
Juvenile Development Center following a clash between two groups of inmates on
Aug. 13. Later, a police investigation found the children died from injuries
resulting from merciless beatings by staff. Public shock quickly turned to fury
and strong calls for justice.
On the day, a guard of the facility — which holds 280 boys
either convicted or awaiting trial for juvenile delinquencies including theft,
rape and murder — allegedly ordered some boys to have haircuts, leading to
a scuffle. The attack left the guard with a broken hand.
In response, the staff held a meeting and decided to beat
up the children “to teach them a lesson.” Some 18 boys were allegedly sorted
out, tied with ropes and had their mouths gagged with towels. They were beaten
for an hour with steel pipes, sticks and cricket stumps before they passed out.
The seriously injured children died before they were
rushed to a local hospital. Police detained five staff for the assault and
launched a probe into the incident.
Such inhuman treatment of children in state-run juvenile
rehabilitation centers is not new. In 2015, some 20 children cut their
wrists protesting torture by staff in another juvenile center, forcing the
government to suspend the head of the facility.
Child rights activists have complained on many occasions that these facilities were more for punishment of children than rehabilitation in the absence of effective correctional mechanisms and monitoring.
Aug 7, 2020
Extrajudicial killings are no mark of a civilized society
The scourge of extrajudicial killings has become commonplace in South Asia. (Photo supplied) |
A group of rights
activists defied the scorching sun on Aug. 3 and took to a busy street in
Bangladesh’s capital Dhaka to stage a silent protest, holding placards to
demand an end to the reign of extrajudicial killings in the country.
“Is Bangladesh a crossfire state?” read one placard.
“Crossfire” is a common euphemism for extrajudicial killings by
law enforcers in Bangladesh. Other terms including "encounter,"
"gunfight" and "fire-in-self-defense" have a similar
meaning.
The activists were enraged over the latest and one of the most
talked about extrajudicial killings in Bangladesh in recent times.
On July 31, a police officer shot dead Sinha Mohammad Rashed
Khan in Teknaf in Cox’s Bazar district. Khan, 36, was a retired army
major who once served as an officer of the Special Security Force that provides
protection to top government officials including the prime minister and foreign
dignitaries.
Police said the firing was in self-defense as Sinha pointed his
gun when police sought a routine inspection of his vehicle and asked him to
come out at a checkpoint. Police also allegedly found drugs in the car
including 50 pieces of yaba (methamphetamine), a drug produced in Myanmar.
On numerous occasions, law enforcement agencies have presented similar stories of firing in self-defense and possession of drugs after crossfire deaths. It is a too common story in Teknaf, a beautiful coastal area just across from Myanmar and close to Rohingya camps sheltering over one million refugees.
Aug 2, 2020
Remembering a shepherd who smelled the sheep
A nun greets Archbishop Moses Montu Costa, CSC on his 22nd Episcopal Ordination anniversary in 2018 (Photo: Chittagong Catholic Archdiocese) |
About three weeks after Holy Cross Archbishop
Moses Montu Costa’s sudden and shocking demise, Bangladeshi Catholics at home
and abroad continue to remember him online and offline every day by posting his
photos, prayers for eternal rest and sharing memories.
After apparently recovering from Covid-19, he
died from a brain hemorrhage caused by multiples strokes on July 13 at the age
of 70.
Head of Chittagong Archdiocese, the cradle of
Catholicism in Bangladesh, from 2011 until his death, Archbishop Costa earlier
served as the bishop of predominantly indigenous Dinajpur Diocese from 1996 to
2011.
As secretary-general of the Catholic Bishops’
Conference of Bangladesh (CBCB) for more than a decade, he also served as
chairman of the episcopal commissions for liturgy and prayer, youth, seminary
and healthcare.
The prelate was a strong candidate for the
post of archbishop of Dhaka in the nation’s capital to succeed Archbishop
Cardinal Patrick D’Rozario, who is set to retire in October.
His death is indeed an irreparable loss, not
only for Chittagong but also for the whole Bangladesh
Church.
It is common for minority Christians in South
Asian countries to revere their bishops and archbishops as demigods.
Archbishop Costa won the hearts of many
thanks to his extraordinary life and work in the services of the people of God
for about four decades (including 24 years as a bishop) in various roles — a
pastor in parishes, a director of future priests and teaching psychology and
pastoral theology in the major seminary, and then as the head of Dinajpur and
Chittagong dioceses.
He was able to overcome his human follies with great love for people as a model of a good pastor and church leader, very much in line with Pope Francis’ version of “a shepherd who smells the sheep.”
Jul 28, 2020
Poetry, art and songs of broken souls
A young Rohingya refugee reads ‘Exodus: Between Genocide and Me’ by Rohingya poet Mayyu Ali at a refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh. (Photo: New Ali) |
The river separates Arakan and
Bengal
The river that Rohingya startle
to hear
The crossing is to escape or to
die
Where many are swallowed alive
The East becomes a roaring
inferno
The West is world’s largest
makeshift camp
Some leave their limbs behind,
bodies are carried
Others cross with bullets
embedded
A bullet in the chest is bigger
than a heart
A body falls into the water
Another dances on the riverbank
The world just watches on
Whilst criminals erase their
marks
The river cradles irrefutable
evidence
Whilst the human solidarity is
a lie
Waves bear witness to what
victims suffer. (The
Naf River)
This heart-rending poem
embodies the agony of one of the world’s most persecuted minorities — Rohingya
Muslims. And it has been composed by a young Rohingya poet in exile.
Mayyu Ali, 28,
lives with his parents at Balukhali refugee camp in Cox’s Bazar of Bangladesh.
He is on the front line of a cultural resurgence among the beleaguered community.
Born and brought up at Maungdaw in Rakhine (Arakan) state of Myanmar, Ali studied for a BA degreee in English at the University of Sittwe in the state capital before sectarian violence in June 2012 stopped his education in the second year, forcing him to work for an aid agency in Maungdaw.
His family fled following the Aug. 25, 2017, military crackdown. “My home and village were burned down by the Burmese security forces and my parents and I escaped to Bangladesh for our lives,” Ali told UCA News.
Jul 22, 2020
Corruption plagues battle against pandemic
Frauds by Mohammad Shahed and Dr. Sabrina are just a tip of iceberg of corruption during Covid-19 pandemic in Bangladesh (Photo: tbsnews.net) |
With more than 14.7 million infections and
610,000 deaths in over seven months, COVID-19 could well be a catalyst for social, political and
economic changes for good in the world.
Sadly,
it has done little to nothing to trigger any positive outcome by eliminating
social evils like corruption, both individual and institutional, in the
national and global orders heavily dominated by extreme globalization and
crony-capitalism.
Corruption
costs a staggering US$3.6 trillion each year, United Nations chief Antonio
Guterres said in 2018. Corruption in global health sectors is estimated at $455
billion annually, the highest, according to Berlin-based Transparency
International.
During
the COVID-19 outbreak, corruption has emerged in diverse and innovative forms
at the expense of human lives.
Somalia,
currently the world's most corrupt country, has seen medical equipment being
stolen from hospitals and sold in markets openly.
Zimbabwe
sacked its health minister for the purchase of low-quality testing kits. Greek
police are investigating a hospital for releasing elderly patients before they
had recovered from COVID-19 so that it could admit new patients for more
income.
In
March, police in London arrested a man for selling counterfeit testing kits.
Recently, a hospital in Amritsar, India, has been accused of issuing fake
COVID-19 positive certificates to healthy people to earn big money.
However, Bangladesh has moved extra miles in innovative and massive corruption. From buying substandard medical equipment to the distribution of food and cash aid to poor people, corruption has engulfed the entire COVID-19 response system in this South Asian country.
When intolerance marches to religious extremism
Muslims protest against a possible move to change status of State Religion Islam in the Constitution at Dhaka, the capital city of Bangladesh. (Photo: AFP) |
On July 1
Bangladesh marked the 4th anniversary of a black day, but it passed silently as
the nation continues to shiver under the spell of the Covid-19 pandemic.
On the fateful
evening of 2016, five local extremists, linked with global terror outfit
Islamic State (IS), barged into a café in capital Dhaka and opened fire,
killing 20 guests, mostly foreigners.
The worst
terror attack in Bangladesh's history was the culmination of a deadly campaign
by homegrown Islamic extremists since 2013. The campaign left some 50 people
dead, including atheist bloggers, liberal writers, publishers and academics,
LGBT activists, religious minorities, and foreigners. Dozens of atheist
bloggers and writers fled to Europe and America following death threats.
It was a lethal blow to Bangladesh's long-held image as a liberal Muslim
country, and its economic and political fallout threatened the political future
of ruling Awami League.
The government
response was heavy-handed. Some 50 leaders and operatives of extremist outfits
were eliminated in a series of police raids, and dozens were arrested and put
on trial in the following months. Amid this massive crackdown, extremist
outfits almost broke down.
On the other hand, political and non-political Islamists were fought on
two fronts.
First, the
leadership of Jamaat-e-Islami, the country's largest Islamist party and
long-time opponent of Awami League, were put on trial, leading to executions
and jailing by War Crimes Tribunals, for their crimes against during 1971 war
of independence from Pakistan. The party is gasping for survival because of its
weak organization, infighting, and lack of influential leaders.
Awami League
was also successful in neutralizing some top radical Islamic groups like
Hefazat-e-Islam (Protectors of Islam) allegedly by buying out their leaders.
In 2013, Hefazat organized a rally of half of
million Muslims in Dhaka to demand a strict blasphemy law and execution of
atheist bloggers for defaming Islam. The rally turned violent as protesters
attacked vehicles, shops and clashed with police, leaving dozens dead and
scores injured.
Four years
since the café attack, has Bangladesh overcome religious extremism? Not really.
Three recent incidents show that extremism is alive and active in the naiton's social psyche, and the efforts to uproot it by brute force and political tact have failed.
Jul 19, 2020
আর্চবিশপ মজেস এম. কস্তা, সিএসসি: একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ও পর্যালোচনা
Jul 10, 2020
The scourge of fair and lovely
There
were muted cheers among feminists and women’s rights campaigners in South Asia
at the news at the end of June that the Indian arm of global consumer goods
giant Unilever would rebrand its popular skin-whitening cream for females, Fair
& Lovely, to Glow & Lovely. It also announced dropping the words “fair,
light and white” from its line of beauty products.
Other global conglomerates like L’Oreal made similar
announcements to drop words like “fairness” and “whitening” from its products,
while Johnson & Johnson said it might step away from the beauty products
business.
For decades, these companies have made millions from
skin-lightening products and have been accused of promoting colorism or
light-skin supremacy in their prime markets in Asia, Africa and the West. There
was little objection because whitening is big business. The global
skin-lightening industry made over US$8.3 billion in 2017 and is expected to
peak at $31.2 billion by 2024, according to Global Industry Analysts, a market
intelligence firm.
Since its inception in 1971, Fair & Lovely became Unilever’s most iconic beauty product found in markets and supermarkets of Asia, Africa and the West, selling to some 300 million teenagers and women annually. This is despite the fact the product has faced extensive criticism for promoting colorism and making darker-skinned girls feel insecure and worthless. It has been quite evident as the brand has always used lighter-skinned actresses and models from countries like India, Bangladesh and elsewhere to advertise the cream and promote the unethical and unfair idea that light skin means a good marriage and a good job.
Jun 30, 2020
ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোঃ এশীয় মন্ডলীর গণমাধ্যম অগ্রদূত
ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো (সিঙ্গাপুর, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ) |
আজ
হতে সাতাত্তর বছর আগে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে একটি
ইতালীয় অভিবাসী পরিবারে যে এক দেবশিশুর জন্ম, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের
কালে নীরবে তাঁর জীবনের যবনিকাপাত। সাত দশকের বেশি সময়ের জীবন তাঁর মহিমান্বিত কর্মগাঁথায়
আলোকিত, এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর একজন মহান মিশনারী ও গণমাধ্যম দিশারী হিসেবে অতুলনীয়।
ফাদার
রবার্ট এস্টোরিনো (ফাদার বব নামে সমধিক পরিচিত) নিউ ইয়র্ক শহরের একটি হাসপাতালে বিগত
২৫ জুন, ২০২০ খ্রিস্টাব্দে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভিত্তিক শতবর্ষী মিশনারী ধর্মসংঘ মেরীনল সম্প্রদায়ের
যাজক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ফাদার ববের বোন জ্যানেট এস্টোরিনো তাঁর ভাইয়ের
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ৩০ জুন মেরীনল সংঘের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরিতগণের রাণী
গির্জায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিস্টযাগ শেষে তাঁকে অন্তিম শয্যায় শায়িত করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে এমন এক মহান মিশনারী পুরোহিতের দেহাবসান ঘটল যিনি তাঁর পাঁচ দশকের যাজকীয়
ও মিশনারী জীবনের অধিকাংশ সময় এশিয়া মহাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর সেবায় কাটিয়েছেন।
ফাদার
বব ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম ইউনিয়ন অব ক্যাথলিক
এশিয়ান নিউজ (UCAN) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুদীর্ঘ ৩০ বছর প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালকের
দায়িত্ব পালন করে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে অবসর নেন।
রবার্ট
এস্টোরিনোর জন্ম নিউ ইয়র্ক শহরে ২৭ মে, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ইতালি
থেকে অভিবাসী হিসেবে আমেরিকাতে এসে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। মেরীনল সম্প্রদায়ে সেমিনারিয়ান
হিসেবে প্রবেশের পূর্বে তিনি বিভিন্ন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন। যাজকীয়
প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে মেরীনল যাজক হিসেবে অভিষেক লাভ করেন। শিক্ষা
জীবনে তিনি কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কের ফোরডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যায়
এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এশীয়
মন্ডলীতে মিশনারী
ফাদার
বব ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ মিশনারী হিসেবে কাজ করতে আসেন। প্রাথমিকভাবে তিনি একদল
মেরীনল যাজকের সাথে চাইনিজ ভাষা শেখেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ড হতে
হংকং-এ পালিয়ে আসা শরণার্থী এবং তাদের সন্তান যুবক-যুবতীদের মধ্যে কাজ করেন।
১৯৭৪
খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ প্রেরণ কাজে মনোনিবেশ করেন
এবং পরবর্তীতে সেটা এশীয় ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য তাঁর আজীবনের পালকীয় ও মিশনারী সেবাকাজে
পরিণত হয়। তিনি হংকং ধর্মপ্রদেশের সামাজিক যোগাযোগ কমিশন ও সেটার কার্যালয় স্থাপনে
উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখেন এবং কয়েক বছর তিনি সেটার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫-১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি হংকং-এর চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও সংবাদধর্মী
লেখার বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।
ফাদার
বব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্যাথলিক গণমাধ্যম সংস্থার এশীয় শাখার নানা পদে দায়িত্ব পালন
করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইস্ট এশিয়া ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন (EACPA)। সে সময়
তিনি উপলব্ধি করেন এশিয়ার ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান
প্রদানে অনেক ঘাটতি রয়েছে। ১৯৭০-৮০’র দশকে দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার আলোকে এশীয় ক্যাথলিক
মন্ডলীতে এক নবজাগরণ চলছিল এবং দেশে দেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিশপীয় কনফারেন্স এবং বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে উঠছিল। কিন্তু সে অনুপাতে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও বজায় রাখার
ভাল কোন গণমাধ্যম ছিল না।
মূলত
এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান এবং ইউরোপ, আমেরিকা
তথা বিশ্ব মন্ডলীর কাছে এশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীর কার্যক্রম, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ, সুখ-দুঃখের
কথা তুলে ধরতেই ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে হংকং-এ তিনি ইউকানের প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে তাঁর
অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ১৪টি সংবাদ ব্যুরো স্থাপিত হয়, যা ২২টির মত
দেশকে ইউকানের কভারজে নিয়ে আসে । ইটালির রাজধানী রোমেও ইউকান স্থায়ী সংবাদদাতা নিয়োগ
দেয়। কালক্রমে ইউকান শুধু এশিয়া নয় বরং গোটা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী ক্যাথলিক
সংবাদ মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পত্র-পত্রিকা, জার্নাল, রেডিও, টিভিসহ পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টান গণমাধ্যম ইউকানের সংবাদ ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে শুরু করে।
প্রথমে মূলত ইংরেজি ভাষায় যাত্রা শুরু করলেও ইউকান পরবর্তীতে চাইনিজ, কোরিয়ান, ভিয়েতনামী,
ইন্দোনেশীয় ও ফিলিপিনো ভাষায় অনুবাদিত সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে।
এশীয়
মণ্ডলীর পালকীয় সেবার লক্ষেই ক্যাথলিক সাংবাদিকতাকে তিনি তাঁর মিশনারী জীবনের কেন্দ্রবিন্দু
করেছিলেন। সে কারণে (UCAN)-এর মিশন হিসেবে তিনি বেছে নেন “এশিয়ার ক্যাথলিক মন্ডলীর
সম্পর্কে এবং ক্যাথলিক মন্ডলীর জন্য সংবাদ।“ ইউকান মূলত অনলাইন মিডিয়া হলেও ফাদার বব
তাঁর সময়কালে “এশিয়া ফোকাস” (Asia Focus) নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদ বুলেটিন ছাপানোর
ব্যবস্থা করেন, যা চাঁদার বিনিময়ে এয়ার মেইলের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠানো
হতো।
একজন
সুদক্ষ সাংবাদিক, গণমাধ্যম অগ্রদূত ও শিক্ষক হিসেবে তিনি বছরের পর বছর এশিয়ার নানা
দেশ চষে বেরিয়েছেন। অজস্র প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করে বহু ক্যাথলিক সাংবাদিককে
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে কাজ করার দক্ষতা অর্জনে অসামান্য সহায়তা করেছেন। তাঁর
শিক্ষা পেয়ে পরবর্তীকালে অনেকে শুধুমাত্র ক্যাথলিক সংবাদ মাধ্যম নয় বিভিন্ন মূলধারার
গণমাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে ও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের
শিক্ষাবিদ ও ইউকান বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান চাইনারং মন্থিয়েনভিচিএঞ্চাই ফাদার ববকে
“তাঁর সময়ের একজন গণমাধ্যম অগ্রদূত” হিসেবে আখ্যা দেন যিনি তাঁর “অসামান্য নেতৃত্ব
ও অনুপ্রেরণা দিয়ে এক দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন।“
তিনি
বলেন, “তাঁর সময়ে যারা অধীনে কাজ করেছে তারা মূলত তাঁর মতই সাংবাদিকতাকে একটি প্রেরণ
কাজ হিসেবে গ্রহণ করে সেটা করত, আর্থিক বা পেশাদারি অর্জন তাদের কাছে মুখ্য ছিল না।“
আমেরিকান
ক্যাথলিক গণমাধ্যম ক্যাথলিক নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক বারবারা ফ্রেজ বলেন, “ইউকান
শুরুর পর প্রথমদিকে ফাদার বব যখন আমাদের অফিসে আসতেন, তিনি বলতেন ইউকানের সংবাদ পুরনো
হলেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এশীয়রা এগুলো লিখে এবং তা এশীয় মন্ডলীর কথা বলে যা কেউ বলছে
না বা লিখছে না।“
স্বনামধন্য
ভারতীয় সাংবাদিক এ. জে. ফিলিপ বলেন, “বব এস্টোরিনো ছিলেন একজন দূরদর্শী, যিনি সাংবাদিকতাকে
তাঁর প্রেরণকাজ (Mission) হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর কাছে বাণীই ছিল ঈশ্বর।“
জীবদ্দশায়
ফাদার বব তাঁর অসামান্য কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ক্যাথলিক প্রেস এসোসিয়েশন তাঁকে “বিশপ জন ইংল্যান্ড” পুরস্কারে ভূষিত করে এবং জানায়
যে এ পুরস্কার “ক্যাথলিক প্রেসকে ব্যবহার করে ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সুরক্ষার
এবং মুক্ত সমাজ গঠনের অবিরাম প্রয়াসের স্বীকৃতি।“
এছাড়াও ফাদার বব এশীয় ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী (FABC)-এর একজন উপদেষ্টা এবং ভাটিকানের পোপীয় সামাজিক যোগাযোগ পরিষদের (PCSC)-এর একজন সদস্য হিসেবে অনেক বছর দায়িত্ব পালন করেন।
ফাদার
রবার্ট এস্টোরিনো ইউকান বাংলাদেশ সংবাদদাতা প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় কারিতাস কেন্দ্রীয়
অফিস চত্বরে, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ |
ফাদার
ববের হাতে গড়া সাংবাদিক ও সাবেক সহকর্মীরা তাঁকে শুধুমাত্র একজন অসামান্য গুরু বা শিক্ষক
হিসেবেই নয়, পাশাপাশি তাঁকে একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবেও মনে রেখেছেন। তাদের অনেকের
কাছে তিনি ছিলেন সাহসী সাংবাদিক, সহজ-সরল জীবন, সাধু চরিত্র এবং স্নেহশীল পিতার ন্যায়।
ইউকান
ইন্ডিয়ার সাবেক ব্যুরো প্রধান জোসেফ কাভি বলেন, “তিনি আমার সাংবাদিক জীবনের গুরু।
দীর্ঘ ২৫ বছর আমি তাঁর সাথে কাজ করেছি। তিনি ছিলেন একজন চীন বিশেষজ্ঞ এবং এশিয়ার একজন
সত্যিকার মিশনারী। তিনি এশিয়ার মানুষ ও সংস্কৃতিকে অনেক ভালবাসতেন। তিনি আমাদের উৎসাহ
দিতেন যেন আমরা ছোট বা বড় সব ঘটনার মাঝে ঈশ্বরকে খুঁজে পাই।“
সিঙ্গাপুর
নিবাসী ও ইউকানের সাবেক উপ-সম্পাদক খ্রিস্টফার খো লিখেছেন, “ইউকানকে ফাদার বব একটি
বৃহৎ পরিবার হিসেবে দেখতেন এবং তাঁর কাছে কর্মীরা ছিল পরিবারের একেকজন সদস্য।“
দেশে
বিদেশে তাঁর দীক্ষা পাওয়া অনেকে তাঁর অসাধারণ সব শিক্ষা ও উক্তির কথা আজ মনে রেখেছে।
এর মধ্যে অন্যতমঃ Show, Don’t Tell (বোলো না, দেখতে দাও). তিনি প্রায়ই বলতেনঃ
When we change the way we look at things, the things we look at change (যখন আমরা
কন কিছুর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই, তখন গোটা বিষয়টাই বদলে যায়)।
ফাদার
বব ক্যাথলিক মন্ডলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী পরিবর্তনের প্রতিভূ দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার
শিক্ষায় আলোকিত মনিষী ছিলেন। তাঁর সব কাজ, আচরণ ও শিক্ষায় তাঁর সুস্পষ্ট ছাপ ছিল। তিনি
এশিয়াতে ক্যাথলিক মণ্ডলীর আন্তঃধর্মীয় সংলাপের অনেক প্রশংসা করতেন এবং পরধর্মমতের প্রতি
শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, “এশিয়াতে খ্রিস্টানরা
সংখ্যালঘু, কিন্তু তারা ভালভাবে টিকে আছে। এর কারণ হল তারা অন্য ধর্মের অনুসারীদের
আস্থা অর্জন করেছে এবং তারা তাদের সহায়তা করেছে। এটাই হল আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সৌন্দর্য।“
ইউকানের
ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ফাদার বাংলাদেশে আসেন। সে বছর ২২-২৬ জুলাই
ঢাকার কারিতাস মিলনায়তনে তিনি দেশের পাঁচটি ধর্ম প্রদেশ হতে আগত ১৪ জন ভাবী ইউকান সংবাদদাতাকে
তিনি ইউকান কী, কেন এবং কিভাবে ইউকানের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করতে ও লিখতে হবে সে বিষয়ে
প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক ও সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর প্রাক্তন
সম্পাদক জেরোম ডি’কস্তা ছিলেন ইউকানের প্রথম বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং ব্যুরো প্রধান।
তিনি এই কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।
সে
প্রশিক্ষণে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইউকানের সংবাদদাতা হিসেবে
কাজ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রখ্যাত হলিক্রস মিশনারী ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম এবং কারিতাস বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডঃ বেনেডিক্ট
আলো ডি’ রোজারিও।
বর্তমানে
কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডঃ আলো ডি’রোজারিও ফাদার ববের মহাপ্রয়াণে বিশেষ শোক প্রকাশ
এবং তাঁর অসাধারণ অবদানের কথা স্মরণ করেছেন।
তিনি
এক বার্তায় বলেনঃ “ফাদার রবার্ট এস্টোরিনোর হাতে আমাদের সাংবাদিকতা শিক্ষার হাতেখড়ি।
তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন কিভাবে সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সরাসরিভাবে রিপোর্ট লিখতে হয়। এশিয়া
মহাদেশ এবং তার বাইরেও বহু সাংবাদিকের কাছে ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো অনুপ্রেরণার উৎস
হয়ে থাকবেন।“
এরপরেও
ফাদার বব কয়েকবার বাংলাদেশে আসেন এবং সর্বশেষ আসেন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি
ইউকান বাংলাদেশের ১৬জন সংবাদদাতাকে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকার কারিতাস সিডিআই মিলনায়তনে।
সে সময় অমিয় জেমস এসেনসন ( বর্তমানে কানাডা প্রবাসী) ছিলেন ইউকানের ব্যুরো প্রধান।
বাংলাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রতি তাঁর মূল্যায়ন ছিল খুবই ইতিবাচক। তাঁর মতে, বাংলাদেশ
ক্যাথলিক মন্ডলী খুব ক্ষুদ্র হলেও দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে,
স্থানীয় মন্ডলী শক্ত ভিত্তির উপর স্থাপিত এবং উপাসনার সংস্কৃত্বায়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বাস্তবিক
অর্থেই ফাদার রবার্ট এস্টোরিনো একজন মহান মিশনারী ছিলেন। এশিয়াতে ক্যাথলিক মন্ডলীর
যোগাযোগ ও মিডিয়া ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য, অভূতপূর্ব ও তা নিশ্চিতভাবে চিরস্মরণীয়
হয়ে থাকবে। তাঁর মিশনারী জীবন ও সেবাকাজ যুগ যুগ ধরে অনেকের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার
উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।।
Jun 26, 2020
Glowing tribute to a great missionary
Father Bob with reporters during a training in Bangladesh in 2009 |
Father Bob with reporters from Bangladesh, Pakistan, Cambodia, Indonesia, Singapore and Mongolia at UCAN House, Bangkok, Thailand (2009) |
দক্ষিণ এশিয়ায় ভোটের রাজনীতি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়
Bangladeshi Christians who account for less than half percent of some 165 million inhabitants in the country pray during an Easter Mass in D...
-
সদ্য প্রয়াত আর্চবিশপ মজেস মন্টু কস্তা, সিএসসি মহোদয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে, জাতীয় ক্যাথলিক পত্রিকা সাপ্...
-
Photo: AFP ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্ত, লাখো মা-বোনের সম...
-
Holy Rosary Church at Tejgaon, Dhaka (Photo: Chandan Robert Rebeiro ) For nearly everyone in Bangladesh, Sunday is not a weeken...